বৃষ্টিতে নগরীতে স্বস্তির পর দুর্ভোগ !
মাহফুজ নান্টুঃ
সপ্তাহের প্রথম দিন থেকে তীব্র তাপদাহ শুরু হয়। শনি-রবিবার দুদিনের দুর্বিষহ গরমে ওষ্ঠাগত নগরবাসী। গ্রামেও দমবন্ধ করা গুমোট পরিবেশ। ভ্যাপসা গরমে নাভিশ^াস হয়ে উঠে প্রাণীকূল। এমন অবস্থায় সোমবার বিকেল থেকে কুমিল্লায় স্বস্তির বৃষ্টি শুরু হয়। তীব্র তাপদাহের মাঝে এমন বৃষ্টি স্বর্গীয় শীতল পরশ সৃষ্টি করে। সোমবার বিকেল থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি মঙ্গলবার দিনভর বিরাজ করে। তবে অতি বৃষ্টি রুপ নেয় অস্বস্তি ও দুর্ভোগে।
সোমবার রাতভর হাল্কা বৃষ্টিপাত হয়। মঙ্গলবার সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়তে থাকে। দুপুরে থেমে বিকেল থেকে ভারী বর্ষণ আবারো বৃষ্টি বাড়তে থাকে।
কুমিল্লা আবহাওয়া কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন ভুঁইয়া জানান, লঘুচাপের প্রভাবে দেশে এখন মৌসুমি বায়ু সক্রিয় আছে। আর এ কারণেই কুমিল্লায় বৃষ্টি হচ্ছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে কুমিল্লায় ৮০ মি.মি বেগে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। বৃষ্টি আরো দুই এক দিন থাকতে পারে।
মঙ্গলবার নগরীর অফিস পাড়ায় ব্যস্ততা চোখে পড়েনি। তবে খেটে খাওয়া ও নি¤œ আয়ের মানুষজনের দুর্ভোগ ছিলো চরমে। রাজগঞ্জের ফুটপাতের ফেরিওয়ালা ছিলেন অসহায়। বৃষ্টির কারণে বিকিকিনি কমে যায়। যাত্রী কম থাকায় পর্যাপ্ত ভাড়া পাননি রিক্সা ও অটোরিক্সা চালকরা। রাজগঞ্জ ট্রাফিক মোড় জুড়ে ছিলো রিক্সা ও সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চালকদের হাকডাক। মঙ্গলবারের দিনভর বৃষ্টি জনদুর্ভোগ তৈরি করেছে। নগরীর প্রাণকেন্দ্র কান্দিরপাড়ে বিকেল থেকে জনসমাগম কমতে থাকে। যারা অফিস থেকে বের হয়েছেন তারা সবাই কাকভেজা হয়ে বাসায় ফেরেন। নগরীর বিবিন্ন সড়কে পানি জমে দুর্ভোগ তৈরি করে।
কান্দিরপাড়ে রিক্সা চালক মানিক মিয়া জানান, সারা দিনে আড়াইশ টাকা ভাড়া পেয়েছি। বৃষ্টির কারণে ভাড়া কমে গেছে। ফুটপাতের কাপড় ব্যবসায়ী দিলু মিয়া বলেন, অন্য সময় অন্তত ৪ হাজার টাকার বিকিকিনি হয়। আজ বৃষ্টির কারণে সাড়ে ১৩ শ টাকার কাপড় বিক্রি করেছেন।