শালবন বিহার ও ময়নামতি জাদুঘরে দর্শনার্থীদের ভিড়

মহিউদ্দিন মোল্লা।।
কুমিল্লার শালবন বৌদ্ধ বিহার ও ময়নামতি জাদুঘর। এই দুইটিসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিনোদন কেন্দ্রে ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে দর্শনার্থীর ভিড় দেখা গেছে। শালবন বৌদ্ধ বিহার ও ময়নামতি জাদুঘরে দর্শনার্থীদের আগ্রহ বেশি থাকে। এ ছাড়া পাশের রূপবানমুড়া, কোটিলা মুড়া, নগরীর ধর্মসাগরপাড়,গোমতী নদীর পাড়,রাজেশপুর ফরেস্ট বিট ও বাণিজ্যিক পার্কগুলোতে মানুষের ভিড় জমে।
সূত্রমতে, কুমিল্লা নগরী থেকে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে শালবন বিহার। এখানে অষ্টম শতকের পুরাকীর্তি রয়েছে। রয়েছে ময়নামতি জাদুঘর। জাদুঘরের পাশে রয়েছে বন বিভাগের পিকনিক স্পট। শালবন বিহারের পাশে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড)।
বিভিন্ন সূত্র জানায়, ঈদের পরের দিন থেকে গত দুই দিনে কুমিল্লার শালবন বৌদ্ধ বিহার ও ময়নামতি জাদুঘরসহ কোটবাড়ি এলাকায় প্রায় ৩০হাজার দর্শনার্থী এসেছে।
শালবন বৌদ্ধ বিহারের ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, প্রকৃতিতে বর্ষার প্রভাব। তবু দর্শনার্থীদের উপস্থিতি কমেনি। বিভিন্ন রঙের ফুল তার রূপের পসরা সাজিয়ে বসেছে। পাতা বাহারও তার সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে। তাল গাছের মাথায় বাসা বোনায় ব্যস্ত বাবুই পাখি। খেজুর গাছে ঝুলছে ফলের কাদি।

inside post


এদিকে ঈদের ছুটিতে লাকসামের নওয়াব ফয়জুন্নেছা জমিদার বাড়ি,মুরাদনগরের দৌলতপুরে কাজী নজরুলের স্মৃতি জড়ানো স্থান ও কয়েকটি জমিদার বাড়িতেও দর্শনার্থীরা ঘুরতে গেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার উপজেলার আলাউদ্দিন বলেন, ঈদে শিশুরা কোথায়ও ঘুরতে যেতে চায়। কাছাকাছি কুমিল্লা শালবন বৌদ্ধবিহার রয়েছে। ঈদে সেখানে ঘুরতে গিয়েছি।
কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার ইকবাল আহমেদ বলেন,কুমিল্লায় ভালো কিছু আবাসিক হোটেল ও রেস্তোরাঁ গড়ে উঠেছে। সেখানে পরিবার নিয়ে থাকা ও খাওয়ার ভালো ব্যবস্থা রয়েছে। এবিষয় গুলো প্রচার হওয়া দরকার। দুই দিন হাতে নিয়ে এলে কুমিল্লার বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখা যাবে। ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে রেল ও সড়কপথে যাতায়াতের সুব্যবস্থা থাকায় দর্শনার্থীরা এখানে সহজে আসতে পারেন।
শালবন বৌদ্ধ বিহার ও ময়নামতি জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান মো. শাহীন আলম জানান, ঈদ-উল ফিতর থেকে ঈদ-উল আযহায় সাধারণত দর্শনার্থী কম হয়। ঈদের ২য় দিনে আমাদের শালবন বৌদ্ধ বিহার ও ময়নামতি জাদুঘরে লক্ষাধিক টাকার টিকেট বিক্রি হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় আমরা সজাগ দৃষ্টি রাখছি। হকার ও ক্যামেরাম্যানের উৎপাত বন্ধ করেছি। পর্যটন পুলিশ, আনসার ও আমাদের সিভিল টিম কাজ করছে। সাথে সিসি টিভির নজরদারিও রয়েছে। তাই দর্শনার্থীরা নির্বিঘ্নে ঘুরতে পারছেন।

আরো পড়ুন