পরকীয়া প্রেমিকের হাতে প্রেমিকার চাচাতো ভাই খুন
এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ।।
স্ত্রী, দুই ছেলে থাকতেও মোবাইল ফোনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেয়ের সাথে পরকীয়া প্রেমে মজেন গোপালগঞ্জের নজরুল। আড়াই বছর ধরে সম্পর্ক চলার পর প্রেমিকা তার চাচাতো ভাইয়ের সাথে প্রেমে জড়ানোয় হন ক্ষুব্ধ। প্রেমিকাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এসে একই ঘরে দু’জনকে একসাথে দেখে প্রেমিকার চাচাতো ভাই সুমনকে ছুরিকাঘাতে করেন হত্যা। এই ঘটনার পর পরকীয়া প্রেমিকরূপী ঘাতক নজরুলকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৬ জুন) ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের বেতবাড়িয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে । নিহত সুমন মিয়া (২৬) ওই এলাকার আবদুল হাকিমের ছেলে। অপরদিকে হত্যার দায়ে আটককৃত নজরুল ইসলাম (৪৪) গোপালগঞ্জ জেলা সদরের গোপীনাথপুর গ্রামের মৃত আবদুল মালেকের ছেলে। কর্মসূত্রে ঢাকার সাভারে বসবাস করতেন।
নিহতের পরিবার, ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় এলাকাবাসী এবং পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্ত্রী ও দুই ছেলে নিয়ে সংসার থাকা সত্ত্বেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বেতবাড়িয়ার সুরমা আক্তার পাখি নামের এক মেয়ের সাথে মোবাইল ফোনে সম্পর্কে জড়ায় গোপালগঞ্জের নজরুল। গত আড়াই বছর ধরেই তাদের সম্পর্ক চলমান। প্রায়শই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এসে প্রেমিকার সাথে দেখা-সাক্ষাতও করতো। এরই মাঝে নজরুল খবর পায় পাখি তার চাচাতো ভাই সুমনের সাথে নতুন করে প্রেমে মজেছেন। এই খবরে ক্ষুব্ধ হয়ে পাখিকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসেন নজরুল। বুধবার ভোরে ছুরি নিয়ে পাখির ঘরে ঢুকে দেখেন পাখির সাথে তার চাচাতো ভাই সুমন। এই অবস্থায় নজরুল হামলা করলে ছুরিকাহত হয় সুমন। তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমনকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এদিকে ঘটনার পরপরই স্থানীয় জনতার সহায়তায় ঘাতক নজরুলকে আটক করে পুলিশ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) আসলাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আটককৃত নজরুল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনা স্বীকার করেছে। তার দেয়া তথ্যাদি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। নজরুল এবং সুরমা আক্তার পাখিসহ তার পরিবারকে মুখোমুখি করে আরো ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’