আবার ছায়াঢাকা নগরী হবে কুমিল্লা

 

মহিউদ্দিন মোল্লা।।
নগরীতে কয়েক বছর আগেও বিভিন্ন গাছের আধিক্য ছিলো। ছায়াঢাকা নগরী হিসেবে কুমিল্লার সুনাম ছিলো। তবে সেই গাছ অনেক কমে গেছে। সেই নগরীতে আবার সবুজ ফিরিয়ে আনতে চান নগর কর্তৃপক্ষ। ফৌজদারী- আদালত সড়কের বিভাজকে গাছ লাগানো হয়েছে। এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন নগরবাসী। নগরীর সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় আরো গাছ লাগানোর দাবি জানিয়েছেন নগরীর বাসিন্দারা।
সূত্রমতে,দিন দিন নগরী গাছ শূন্য হচ্ছে। বাড়ছে নগরীর উষ্ণতা। বিশেষ করে নগরীর কান্দিরপাড়, বাদুরতলা, ঝাউতলা, রাজগঞ্জ,বজ্রপুর, চকবাজার,লাকসাম রোড,টমছম ব্রিজ,রানীর বাজার এলাকায় গাছ নেই বললেই চলে। নগরীর ধর্মসাগর দিঘির পাড়ে,কাপ্তান বাজার,বিষ্ণপুর,কালিয়াজুরি,সংরাইশ,ঠাকুপাড়া এলাকায় কিছু গাছ নজরে পড়ে।
শিক্ষাবিদ ড. আলী হোসেন চৌধুরী বলেন, মানুষের মন বিভিন্ন কারণে বিষণœ হয়। সবুজে চোখ রাখলে তার মন প্রফুল্ল হয়ে ওঠে। কুমিল্লা নগরী এক সময় বিভিন্ন গাছে ভরপুর ছিলো। সেই গাছ অনেক কমে গেছে। নগরীর সৌন্দর্য বাড়াতে গাছের সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন।
কুমিল্লা গার্ডেনার্স সোসাইটির পরিচালক ডা. আবু নাঈম বলেন, গাছ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। নগরীর সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে গাছ লাগানোর বিষয়ে বন বিভাগ, জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশন উদ্যোগ নিতে পারে। বিশেষ করে নগরীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আঙিনায় গাছ লাগানো বাধ্যতামূলক করা যেতে পারে।
সামাজিক বন বিভাগ কুমিল্লার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জিএম মোহাম্মদ কবির বলেন,মানুষের বেঁচে থাকার প্রয়োজনে উদ্ভিদের বিকল্প নেই। নগরীর সৌন্দর্য বর্ধনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান গুলো ফুল জাতীয় গাছ লাগাতে পারে। এছাড়া তারা ফলের গাছ লাগানোতে গুরুত্ব দিতে পারে। এদিকে সড়ক বিভাজকে শক্ত প্রজাতির পলাশ,রাধাচূড়া ও জারুল গাছ লাগানো যেতে পারে।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে মেয়র ডা. তাহসীন বাহার সূচনা বলেন,আমরা ফৌজদারী- আদালত সড়কের বিভাজকে গাছ লাগিয়েছি। রামঘাটলার অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করেছি, সেখানে বাগান করবো। মোগলটুলী মোড়েও গাছ লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এভাবে নগরীর যেখানে জায়গা পাওয়া যাবে সেখানেই গাছ লাগানো হবে।