গোমতী চরের তাজা সবজিতে ঝলমলে মগবাড়ি বাজার

মহিউদ্দিন মোল্লা।।
মগবাড়ি বাজার। কুমিল্লা নগরীর ২নং ওয়ার্ডে গড়ে উঠে। দুই কিলোমিটার দূরে গোমতী নদীর চর। চরের তাজা সবজিতে সকালের বাজারটি ঝলমল করে। ৩৫বছর আগে বাজারটি গড়ে উঠে চরের সবজি বিক্রেতাদের হাত ধরে। শৌচাগারসহ কিছু সুযোগ বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়,এক গলির লম্বা সবজি বাজার। সকাল ৭-৮টার মধ্যে বাজার বসে। ১০-১১টা পর্যন্ত সরগরম থাকে। সাইকেল,রিকশা ভ্যান যোগে সবজি নিয়ে আসেন গোমতী নদীর চরের কৃষকরা। কেউ আনেন লাউ,বেগুন। কেউ আনেন কুমড়া,ঢেড়শ। পিকআপ ভ্যানে সবজি আসে নিমাসার বাজার থেকে। আবাসিক এলাকার পাশে বাজারটি হওয়ায় পায়ে হেঁটে এসে নারীরাও কাঁচা বাজার করতে আসেন।
স্থানীয় ক্রেতা প্রবীণ শিক্ষাবিদ জহিরুল হক দুলাল। বাসা হাঁটাপথ দূরত্বের বিষ্ণপুরে। সকালে হাঁটতে বের হন। হাঁটতে হাঁটতে বাজারে আসেন। শরীর চর্চাও হয়, সাথে কেনা হয় তাজা সবজি। প্রতিদিন তাজা সবজি পেয়ে খুশি তিনি। স্থানীয় সবজি হওয়ায় দামও তুলনামূলক কম। তিনি বলেন, মগবাড়ি চৌমুহনীর মোড়ে কিছু গোমতীর চরের সবজি আসতো। পাশে এখন যেখানে মাছ বাজার। সেখানটায় ৩৫ বছর আগে খালি ছিলো। সেখানেও কয়েকজন মাছ ব্যবসায়ী বসতেন। মোড়ে তখন একটি মুদি ও চা দোকান ছিলো।
সবজি বিক্রেতা শিমাইলখাড়ার আবুল হোসেন ও চান্দিনার মো. মহসিন বলেন, সকাল ৭টায় এখানে প্রতিদিন সবজি বাজার বসে। বাজারের সবজির অধিকাংশ স্থানীয় গোমতী চরের। বাকি গুলো আসে কুমিল্লার নিমসার বাজার থেকে। তারা বলেন,এখানে শৌচাগারের সংকট রয়েছে। পরিচিত বাসা বা দুপুরের দিকে মসজিদ ব্যবহার করা যায়।
স্থানীয় সেলুন ব্যবসায়ী বলরাম বাবু বলেন,৩৫বছর আগে এই এলাকা এত জমজমাট ছিলো না। অনেকটা গ্রামের মতো নিরিবিলি ছিলো। এই বাজার থেকে কাপ্তান বাজার,ছোটরা,বিষ্ণপুর,কালিয়াজুরী ও ভাটপাড়া এলাকার মানুষ বাজার করেন।
২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম ছারোয়ার শিপন বলেন, মগবাড়ি এই এলাকার প্রসিদ্ধ বাজার। মূলত সকাল বেলায় সবজি বাজার জমজমাট থাকে। এই বাজারকে ঘিরে মুদি,ওষুধ,সেলুন,লন্ড্রিসহ বিভিন্ন দোকান গড়ে উঠে। এটি সিটি করপোরেশনের তালিকাভুক্ত বাজার নয়। তবু ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে গণশৌচাগারসহ বিভিন্ন সংকট সমাধানের চেষ্টা করবো।