বেহাল কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক
আমোদ প্রতিবেদক ।।
দীর্ঘদিন বেহাল কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক। তাই যাত্রী ও পরিবহন চালকরা প্রতিনিয়ত মন খারাপের যাত্রা করছেন। টানা ছয়দিনের বৃষ্টিতে সড়কের গর্ত গুলো বড় হচ্ছে। গর্তে পানি জমে তা পুকুরে রূপ নিয়েছে। গর্তে গাড়ি আটকে প্রায় সড়ক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন কুমিল্লা,নোয়াখালী, লক্ষীপুর ও চাঁদপুরসহ অন্যান্য জেলার যাত্রীরা। সংস্কার না করা হলে আবার সড়কটি অচল হয়ে পড়তে পারে।
যাত্রী ও পরিবহন চালকরা জানান, দুই বছর ধরে কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। ভাঙা সড়কে গাড়ি চালাতে গিয়ে সময় নষ্ট, যানজট আর গাড়ি বিকল হওয়ায় ক্ষুব্ধ পরিবহন মালিক এবং শ্রমিকরা। ভোগান্তিতে বিরক্ত যাত্রীরা। কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের অধিকাংশই ভাঙা। এসব স্থানে গাড়ি চলে হেলেদুলে। ধীর গতিতে গাড়ি চলায় প্রায়ই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। বেশি খারাপ অবস্থা বাগমারা দক্ষিণ বাজার,বাগমারা স্কুল সংলগ্ন সৈয়দপুর রাস্তার মাথা, লাকসাম মিশ্রি,জংশন, নশরতপুর বাইপাস, হাউজিং বাইপাস এলাকায়। এ ছাড়া শ্রীভল্লবপুর,বিজয়পুর, হরিশ্চর, বিপুলাসার, সোনাইমুড়ি, বেগমগঞ্জ থানা এলাকাসহ মাইজদীর বিভিন্ন অংশে ভাঙা রয়েছে। এদিকে কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের ফোরলেন প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ অংশ লাকসামের দৌলতগঞ্জ বাজার বাইপাস ও লালমাই উপজেলার বাগমারা বাজার। এখানেই বেশি যানজটের সৃষ্টি হয়। দুই ঘন্টার পথ পাড়ি দিতে সময় লাগছে পাঁচ ঘন্টা। সড়কের দুর্ভোগ থেকে বাঁচতে অনেকে রেলপথে চলাচল করছেন।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ কুমিল্লার সূত্র জানায়, কুমিল্লা নগরীর টমছম ব্রিজ থেকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ পর্যন্ত ৫৯ কিলোমিটার ফোরলেনে উন্নীতকরণের কাজ চলছে। কাজ শেষ হলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোসহ সারা দেশের মানুষ উপকৃত হবেন। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে শুরু হওয়া কাজ ২০২০ সালের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা। এর ব্যয় ধরা হয়েছে দুই হাজার ১৭০ কোটি টাকা। এদিকে যে গতিতে কাজ চলতে এতে চলতি বছর শেষ হওয়ার সম্ভাবনা কম।
দৌলতগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী কামাল হোসেন বলেন, লাকসাম এলাকার সড়কের বেহাল অবস্থা দীর্ঘদিনের। সড়কজুড়ে গর্ত আর কাদাপানি। খালি পায়েও হাটা যায়না। দৌলতগঞ্জ বাজার বাইপাসে প্রতিদিনই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে বাণিজ্যিক কেন্দ্র খ্যাত দৌলতগঞ্জের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন।
উপকূল বাস সার্ভিসের পরিচালক অধ্যাপক কবির আহমেদ জানান,সড়কটি খারাপ হওয়ায় যাত্রীরা ফেনী হয়ে নোয়াখালী ও লক্ষীপুর যাচ্ছে। এতে যাত্রী কমে গেছে। খুব প্রয়োজন না হলে কেউ এই সড়কে যাতায়াত করতে চান না। সড়ক ভাঙা হওয়ায় ঘন ঘন গাড়ি বিকল হচ্ছে। দ্রæত সড়কটি মেরামত করা না হলে গাড়ি চালানো অসম্ভব হয়ে পড়বে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মো. আহাদ উল্লাহ বলেন,বৃষ্টির কারণে সড়কটি দ্রুত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যেখানে সংস্কারের প্রয়োজন সেখানে সংস্কার করা হচ্ছে।