কুমিল্লায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দাবি আদায়ের আন্দোলন

প্রতিনিধি।।
২০জন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকুরি থেকে অবসানের প্রতিবাদসহ বিভিন্ন দাবিতে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে আন্দোলনে নেমেছে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বৃহস্পতিবার জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার উত্তর রামপুর এলাকায় কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর অফিসে কর্মবিরতি দিয়ে আন্দোলনে অংশ নেয় তারা। এদিকে কুমিল্লার চারটি সমিতিসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয় থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সংযোগ স্ব্াভাবিক হয়েছে।
আন্দোলনকারীরা জানান, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে একীভূত করে অভিন্ন সার্ভিস কোড বাস্তবায়ন, চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিতদের চাকরি নিয়মিত করাসহ বিভিন্ন দাবি বাস্তবায়নে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা- কর্মচারীরা। এরই মধ্যে বুধবার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ১০ জন এবং বৃহস্পতিবার আরো ১০জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরি থেকে অবসান করা হয়। এর প্রতিবাদে আমরা আন্দোলনে নেমেছি। দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।
এদিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখতে বৃহস্পতিবার উত্তর রামপুর এলাকায় বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর কার্যালয়ে যান কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোঃ আমিরুল কায়ছার। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের সাথে সম্মেলন কক্ষে বৈঠকেও অংশ নেন তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের কুমিল্লা জোনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল হান্নান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ শামসুল তাবরিজ, সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়া খানমসহ সেনাবাহিনী ও পুলিশ কর্মকর্তারা।
তবে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দাবি- জরুরি সেবা বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করা, নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের নির্দেশনার প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন এবং দাপ্তরিক শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত থাকায় তাদের চাকরি অবসান করা হয়েছে।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোঃ আমিরুল কায়ছার বলেন,আমরা এবিষয়ে আন্দোলনকারীদের সাথে কথা বলেছি। তাদের বলেছি-বিদ্যুত রাষ্ট্রের সম্পদ, এটা বন্ধ করা যাবে না। তারা সংযোগ স্বাভাবিক করেছে। তাদের দাবির বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।