দাউদকান্দিতে পৃথক স্থানে বাস চাপায় নিহত ৫
প্রতিনিধি।
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে পৃথক দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
ঢাকা-কচুয়া সড়কের উপজেলার শায়েস্তানগরের কাছে বাসের চাপায় ট্রাক্টরে থাকা দুই শ্রমিক নিহত হন। এছাড়া একই উপজেলার দৌলতপুর এলাকায় বাসের সঙ্গে অটোরিকশার সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে একজন ও হাসপাতালে নেয়ার পর আরও দুজন প্রাণ হারান। তাদের মধ্যে একজন শিশু ও দুজন নারী রয়েছেন।
শনিবার বিকেলে এসব তথ্য জানিয়েছেন গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক মো. হেলাল ও ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ওসি দেওয়ান কৌশিক আহমেদ।
শনিবার বিকেলে এসব তথ্য জানিয়েছেন গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক মো. হেলাল ও ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ওসি দেওয়ান কৌশিক আহমেদ।
জানা গেছে, সকাল ৭টার দিকে শায়েস্তানগরের কাছে একটি ইট বোঝাই ট্রাক্টরকে ঢাকাগামী আল-আরাফা পরিবহনের একটি বাস চাপা দেয়। এতে ট্রাক্টরটি উল্টে ইটভাটা শ্রমিক উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে বোরহান (২৮) ও জামালপুরের সদর উপজেলার সৈয়দ আলীর ছেলে মোহাম্মদ আলী (৩২) নিহত হন।
গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে পুলিশ উপপরিদর্শক মো. হেলাল বলেন, মরদেহ গুলোর সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি গুলো আটক করেছে পুলিশ।
অপরদিকে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দৌলতপুর বাস স্ট্যান্ডের কাছে ঢাকাগামী অর্ণিবান পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটানাস্থলে ডলি আক্তার (৩০) নামের এক যাত্রী মারা যান। আহত যাত্রী ও চালককে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুপুরের দিকে আরও দুজনের মৃত্যু হয়। তারা হলেন, জিয়ানা আক্তার (১১) ও জাহানারা বেগম (৬০)। এই দুর্ঘটনায় নিহতরা সবাই পাশের বাসরা গ্রামের বাসিন্দা।
ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ওসি দেওয়ান কৌশিক আহমেদ বলেন, সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি আটক করা হয়েছে। নিহত ডলির লাশ পুলিশ উদ্ধার করে থানায় এনেছে। কিন্তু বাকি দুজন মারা গেছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।