মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে যুবকে হত্যার অভিযোগ: মালামাল লুট


প্রতিনিধি।।
কুমিল্লায় একটি বেসরকারি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কাজী সোহেল (৩৪) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের পরিবারের দাবি, নিরাময় কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা নির্যাতনে তাকে হত্যা করেছেন। তবে প্রতিষ্ঠানের লোকজনের দাবি, সোহেল গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
কুমিল্লা নগরীর ঢুলিপাড়ায় নিউ যত্ন মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সোহেল কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার লতিফপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি মাদকাসক্ত হয়ে পড়ায় গত ২১ ফেব্রুয়ারি ওই মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে তাকে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, সোহেল বিকেলে মারা গেলেও বিষয়টি জানাজানি হয় সন্ধ্যার পর। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিহতের স্বজন ও স্থানীয়দের সঙ্গে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের কর্মীদের হাতাহাতি হয়। এ সময় নিরাময় কেন্দ্রে ভাঙচুর করা হয়। রাত ৯টার দিকে মাদক নিরাময় কেন্দ্রের পরিচালক সাগর আবদুল্লাহসহ কর্মীরা পালিয়ে যান। এ সময় সেখানে থাকা প্রায় ৮০ জন রোগীও পালিয়ে গেছেন।
শনিবার কুমিল্লা ইপিজেড পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে রাত ১০টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
সোহেলের আত্মীয় মো. হাবিব মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের জানানো হয় সোহেল ফাঁসি দিয়েছে। কিন্তু নিরাময় কেন্দ্রে আসার পর তারা আমাদের ঢুকতে দিচ্ছিল না। ঢোকার চেষ্টা করলে আমাদের লোকজনদের ওপর তারা হামলা করে। এমনকি আমাদের পরিবারের নারী সদস্যদের গায়েও তারা হাত তুলেছেন। নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসা নেয়া একাধিক তাদের বলেছেন সোহেলকে নির্যাতনে হত্যা হয়েছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মাদক নিরাময় কেন্দ্রের পরিচালক সাগর আবদুল্লাহ বলেন, দুপুরের পর সবাই যখন ঘুমে ছিল তখন চারতলার একটি কক্ষে গলায় ফাঁস দিয়ে সোহেল আত্মহত্যা করে। বিষয়টি টের পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। আমাদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের যে অভিযোগ ওঠে এটি সঠিক। বরং রোগীর স্বজন ও স্থানীয় লোক উল্টো সেন্টারে হামলা চালিয়েছে। মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে।

inside post
আরো পড়ুন