বাবার স্বাভাবিক মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড বলে পাওনাদারের বিরুদ্ধে মামলা!

প্রতিনিধি।।
কুমিল্লায় হাওলাতের টাকা আত্মসাত করতে স্বামীকে হত্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন এক প্রবাসীর স্ত্রী সোনিয়া রহমান। বৃহস্পতিবার ( ৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুমিল্লা নগরীর একটি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন। তিনি কুমিল্লা সদর উপজেলার আড়াইওড়া এলাকার আজাদ রহমানের স্ত্রী। সংবাদ সম্মেলনে সোনিয়া রহমান বলেন,আজাদ রহমান দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে জার্মান ও সুইজারল্যান্ডে থাকেন। গত ১১ আগস্ট তিনি দেশে আসেন। ১৬ আগস্ট প্রতিবেশী মফিজুল ইসলামের বাড়িতে বাড়ির সীমানা নিয়ে প্রতিবেশীদের আলোচনা হচ্ছিল। এ সময় মফিজুল ইসলাম অসুস্থতাবোধ করলে তাকে কুমিল্লা সিডিপ্যাথ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মফিজুল ইসলামের হার্টে বাইপাস সার্জারি করা ছিল। মফিজুল ইসলাম মারা যাওয়ার ঘটনাটিকে ষড়যন্ত্র করে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলার আবেদন করেন মফিজুল ইসলামের স্ত্রী। তাতে আমার আমার স্বামীসহ অনেককেই অভিযুক্ত করা হয়।হয়রানির ভয়ে দুদিন পর আমার স্বামী আবার জার্মানে চলে যান। মফিজুল ইসলাম হৃদরোগে মারা গেছেন। মূলত মফিজুল ইসলামের ছেলে আরিফের কাছে আমার স্বামী আজাদ ১২ লাখ টাকা পান। আরিফ নিজে হতে স্বাক্ষর করে টাকা নিয়েছেন। এ টাকা যেন না দিতে হয় সে জন্য ষড়যন্ত্র করে আজাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়। থানায় মামলাটি নথিভুক্ত না হওয়ায় মফিজুল ইসলামের ছেলে, মেয়ে, মেয়ের জামাতা অপু ও স্ত্রী মিলে গত মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) আদালতে একটি মামলার আবেদন করেন। সেখানে তদন্ত কর্মকর্তা ও চিকিৎসকদের সাক্ষী করা হয়। কোনো প্রতিবেশীকে সাক্ষী রাখেননি। এখন তাদের হুমকির কারণে ছোট দুই সন্তান নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় আছি। আমিও চাই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হোক। এতে আমার স্বামী দোষী হলে তারও শাস্তি হবে।
ফোনে চেষ্টা করে অভিযুক্ত আরিফকে পাওয়া যায়নি। আরিফের বোনের জামাতা অপুর নিকট জানতে চাওয়া হয়, মফিজুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন কি না? তিনি উত্তর এড়িয়ে গিয়ে বলেন, ‘আপনি সরাসরি আসুন।’ এ কথা বলে তিনি লাইন কেটে দেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আড়াইওড়া এলাকার আবদুল লতিফ, আবদুস সাত্তার ও ফারুক সর্দার প্রমুখ।

inside post
আরো পড়ুন