নৌপুলিশের ওপর চাঁদাবাজদের টেঁটা নিক্ষেপ

প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় নৌপথে চাঁদাবাজির সময় পুলিশের ওপর টেঁটা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে চালিভাঙ্গা নৌপুলিশ। গ্রেফতার আসামিরা হলেন- চালিভাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক নলচর গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে ও মেঘনা উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক হাসনাত প্রধানের ভাই মো. রানা (২৭), নলচর গ্রামের রুফ মিয়ার ছেলে সাজ্জাদ হোসেন (১৮)। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) উপজেলার চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের নলচর গ্রামের মেঘনা নদীতে চালিভাঙ্গা নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আজমগীর হোসাইনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
নৌপুলিশ সূত্রে জানা যায়, একটি বাল্কহেডের সুকানি ফোন করে জানান, কিছু চাঁদাবাজ তাদের মারধর করছে টাকার জন্য। নৌপুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে চাঁদাবাজরা তাদের লক্ষ্য করে টেঁটা নিক্ষেপ করে। এতে তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হন। তারা হলেন এএসআই মাকসুদ, কনস্টেবল সোহাগ ও সাইদুর রহমান।
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, একটি নৌকাকে তাড়া করলে সেখান থেকে এক যুবক পুলিশের স্পিডবোটে টেঁটা নিক্ষেপ করেন। এসময় পুলিশকে বলতে শোনা যায় ফায়ার করো। এদিকে পুলিশের এক সদস্যের হাতে টেঁটা লাগলে সেখানে কাপড় জড়াতে দেখা যায়।
বাল্কহেডের একজন সুকানি বলেন, এদিক দিয়ে আসা যাওয়া করতে হলে প্রতিনিয়ত চাঁদাবাজদের কবলে পড়তে হয়। তারা ৫-১০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা দাবি করেন। নৌপুলিশ দেখলে তারা আসেন না কিন্তু যখনই একটু সুযোগ পায় তখন নৌকায় করে অস্ত্র নিয়ে আমাদের কাছে চাঁদা দাবি করেন, না দিলে মারধর করেন।
চালিভাঙ্গা নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আজমগীর হোসাইন বলেন, “আমরা নৌপথে চাঁদাবাজির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছালে চাঁদাবাজরা আমাদের লক্ষ্য করে টেঁটা ছুরে মারে আমরা ২১ রাউন্ড গুলি করি। এসময় আমাদের তিন পুলিশ সদস্য আহত হন, এরপর ধাওয়া দিয়ে দুইজনকে আটক করতে সক্ষম হই। আটক দুই যুবককে আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। মেঘনায় নৌপথ সুরক্ষিত রাখতে নৌপুলিশ কাজ করে যাবে।
এর আগে সোমবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে মেঘনার কাঁঠালিয়া নদী থেকে চাঁদাবাজির সময় কুমিল্লার তিতাস উপজেলার সরস্বতী চর গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে ও নৌপথের শীর্ষ চাঁদাবাজ মামুনের চাচাতো ভাই আক্তার হোসেনকে (৪৫) আটক করেছিল নৌপুলিশ।
