আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী পরিবারের বাড়ি দখলের অভিযোগ

 

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) :

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় সাবেক পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ সভাপতি মোঃ নূরুল হক ভূইয়ার বিরুদ্ধে এক প্রতিবন্ধি পরিবারের বাড়ি ভাড়া নিয়ে ২০ বছর ধরে দখল করে রাখার অভিযোগে সাংবাদিক সম্মেলন হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে আখাউড়া পৌরশহরের রাধানগরের নিজ বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন করেন বাড়ির মালিক মোঃ আবুল কালাম চৌধুরী (৭২)।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আখাউড়া পৌশহরের রাধানগর মৌজার ২৯৩ দাগে বিএস ১৩১০ দাগে খরিদ সুত্রে আমি সাড়ে ৪ শতক ভূমির মালিক। বিএস ২০৪ নং চূড়ান্ত খতিয়ানে আমার নামে ভূমিটি লিপিবদ্ধ হয়। ক্রয়ের পর আমি উক্ত জায়গায় ভিট পাকা চারচালা টিনের ঘর নির্মাণ করি। বিগত ২০০১ সালের ২৪ জানুয়ারী আখাউড়া পৌরসভার তৎকালীন মেয়র মোঃ নূরুল হক ভূইয়া ভাড়াটিয়া চুক্তিমূলে মাসিক ১২শ টাকায় আমার বাড়িটি ভাড়া নেয়। প্রথম দিকে ৫/৬ মাস ভাড়া পরিশোধ করে এরপর তালবাহানা করে ভাড়া দেওয়া বন্ধ করে দেয়। দীর্ঘ দিন ভাড়া পরিশোধ না করায় ২০০২ সালে ভাড়া আদায় ও বাড়ি ছাড়ার বিষয়ে একটি শালিস সভা হয়। কিন্তু সালিশ সভার রায় অনুযায়ী সাবেক মেয়র মোঃ নূরুল হক ভূইয়া আমার পাওনা বকেয়া ভাড়া পরিশোধ না করে নানা তালবাহানা করে প্রায় ২০ বছর যাবত আমার কোটি টাকা মূল্যের বাড়িটি জোর করে দখল করে রেখেছেন। বাড়িটি ছাড়ার জন্য বার বার তাকে তাগদা দিলেও তিনি ব্যক্তিগত বাহিনী ও দলের প্রভাব খাটিয়ে আমাকে হুমকি ধমকি দিচ্ছেন। বর্তমানে আমি পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

মোঃ আবুল কালাম চৌধুরী আরও বলেন, আমি একজন বৃদ্ধ মানুষ। আমার ৫ ছেলে মেয়ে। এর মধ্যে ২ ছেলে ১ মেয়ে শারিরীক প্রতিবন্ধি। এক প্রতিবন্ধি ছেলে অর্থের অভাবে বিনা চিকিৎসায় মারা গেছে। বর্তমানে অর্থের অভাবে সংসারের ভরণপোষণসহ প্রতিবন্ধি ২ সন্তানের চিকিৎসা খরচ চালাতে পারছি না। এসময় তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

 

তিনি তার বাড়িটি উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী এড. আনিসুল হকসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে মোঃ আবুল কালাম চৌধুরীর স্ত্রী লূৎফুন্নাহার ও ছেলে মো: ইকবাল হোসেন চৌধুরী।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে আখাউড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ সভাপতি মোঃ নূরুল হক ভূইয়া বলেন, মোঃ কালাম চৌধুরীর কাছ থেকে বাড়িটি ভাড়া নিয়েছিলাম সত্য। পরবর্তীতে জায়গাটি সরকারী অর্পিত সম্পত্তি জানার পর আমি জেলা পরিষদ থেকে এ জায়গাটি বন্দোবস্ত (লীজ) এনেছি। লিজ মূলে আমি এখন বাড়িতে বসবাস করছি।