সিলেটের সেই বাঘ কুমিল্লা চিড়িয়াখানা থেকেও পালিয়েছে!
আবু সুফিয়ান রাসেল।।
সিলেট থেকে ট্রলারে আসা সেই মেছো বাঘ কুমিল্লা চিড়িয়াখানা থেকেও পালিয়েছে। চিড়িয়াখানার খাঁচা থেকে মোছো বাঘ পালিয়ে যাওয়ায় হতাশ দর্শনার্থীরা। নিরাপত্তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। জেলা পরিষদ বলছে, জনবল ও অর্থসংকটের কারণে চিড়িয়াখানার নানা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এ প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর জানান, বাঘের বিষয়ে তদন্ত কমিটি করবো।
সূত্রমতে, গত ২৩ জানুয়ারি মেঘনা উপজেলার প্রশাসনের নিকট মেছো বাঘটি হস্তান্তর করেন স্থানীয়রা। বাঘটি বালুবাহী ট্রলারে সবার অজান্তে সিলেট থেকে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় আসে। ২৪ জানুয়ারি জেলা প্রশাসনের নিকট বাঘটি হস্তান্তর করেন উপজেলা প্রশাসন। কুমিল্লা চিড়িয়াখানায় পুরাতন বাঘের খাঁচায় মেছো বাঘটি রাখা হয়। পরদিন ২৫ জানুয়ারি সকালে খাঁচায় বাঘটি দেখা যায়নি।
চিড়িয়াখানার প্রাণীদের পরিচর্যা কর্মী শাহ আলম বলেন, ডিসি স্যার যে দিন বাঘটি দিয়েছেন, আমরা খাঁচায় রেখেছি। মুরগির গোস্ত পিস করে রাতের খাবার দিয়েছি। পানি দিয়েছি। সকালে এসে দেখি বাঘ নাই। খাঁচার ভেতর বাঘ থাকার ছোট ঘর আছে, সে ঘরে গিয়েও দেখি নাই।
কুমিল্লা চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেনের ইজারাদার মো. আনিছুর রহমান জানান, যে দিন বাঘ খাঁচায় রাখা হয়েছে, সে রাতেই পালিয়েছে। তবে খাঁচায় তেমন কোন ফাঁকা নেই। আমাদের ধারণা উপরের দিকে কিছুটা ফাঁকা আছে। যেহেতু খুবই ছোট হয়তো রড বেয়ে উপরে উঠে ওই অংশ দিয়ে চলে গেছে।
কুমিল্লা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, চিড়িয়াখানায় জনবল সংকট আছে, রয়েছে বাজেট স্বল্পতা। যেভাবে দেখাশোনা, পরিচর্যার দরকার ছিলো সেভাবে তা না করার কারণে বাঘটি পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহোদয়কে জানানো হয়েছে।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর বলেন, বাঘটি পালিয়ে গেছে না অন্য কোন সমস্যা হয়েছে তা তদন্ত করে দেখতে হবে। এবিষয়ে তদন্ত কমিটি করবো। গাফিলতি পেলে দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।