আনকি ,সিঙ্গারিয়া ও পয়াতের জলার জলাবদ্ধতা

কুমিল্লার আনকি জলা(বিল),সিঙ্গারিয়া জলা ও পয়াতের জলা তিনটি পাশাপাশি। তিন বিলের জলাবদ্ধতার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে প্রায় ১০হাজার একর জমির চাষাবাদ। বিল গুলোকে সংযুক্ত করেছে ঘুংঘুর নদী। ঘুংঘুর নদী ও এর শাখা খালের বিভিন্ন স্থানে ভরাট,অপরিকল্পিত ব্রিজ,কালভার্ট নির্মাণ হওয়ায় নদীর প্রবাহ বিঘ্নিত হয়েছে। এতে বিল গুলোতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। জেলার সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়নে আনকি জলা, আমড়াতলী ইউনিয়নে সিঙ্গারিয়া জলা ও বুড়িচং উপজেলার ষোলনল,বাকশীমূল ও রাজাপুর ইউনিয়নে পয়াতের জলার অবস্থান। এ নিয়ে সাপ্তাহিক আমোদ পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।

সংবাদে উল্লেখ করা হয় আনকি জলায় রয়েছে ১০টি গ্রামের বাসিন্দাদের তিন হাজার একর জমি। এর মধ্যে দুই হাজার একর জমি জলাবদ্ধতার কারণে চাষাবাদ করা যায় না। সিঙ্গারিয়া জলায় রয়েছে ১৫টি গ্রামের মানুষের জমি। এখানে রয়েছে পাঁচ হাজার একর জমি। এই বিলে জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে প্রায় তিন হাজার একর জমি। পয়াতের জলায় রয়েছে ৫০টি গ্রামের মানুষের জমি। এই বিলে ২০হাজার একর জমি রয়েছে। তার মধ্যে জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে পাঁচ হাজার একর জমি।

আমড়াতলী ইউনিয়নের সিঙ্গারিয়া জলায় সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়,এখানে আগে দ্ইু ফসল হলেও এখন এক ফসলও সব জমিতে হয় না। এই বিলে জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে প্রায় তিন হাজার একর জমি। তার মধ্যে এক হাজার একর জমি অনাবাদী থাকে। বিল জুড়ে গুল্ম লতা আর ঘাস রাজত্ব করছে। জলাবদ্ধতার কারণে ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় অনেকে জমি চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। এতে বাঁশমঙ্গল, দুতিয়ার দিঘির পাড়, রঘুপুর, তৈলকুপি, ভুবনঘর, শামুকমুড়া, কৃষ্ণপুর, শিমপুর, যশপুরের কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। স্থানীয় কৃষকরা জানান, ঘুংঘুর নদী দ্রুত খনন না করলে জলাবদ্ধতার পরিমাণ বাড়বে। দুই উপজেলায় ফসল উৎপাদন কমবে। সৃষ্টি হবে খাদ্য সংকট।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, বিল গুলো সংলগ্ন ঘুংঘুর নদী ও এর শাখা খালের বিভিন্ন স্থানে ভরাট হয়ে গেছে। অপরিকল্পিত ব্রিজ,কালভার্ট নির্মাণে নদীর প্রবাহ বিঘ্নিত হয়েছে। এতে বিল গুলোতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। নদী ও খাল গুলো খনন না হলে এই এলাকার মানুষ খাদ্য সংকটে পড়বে।

 

আনকি জলা বিল,সিঙ্গারিয়া জলা ও পয়াতের জলার জলাবদ্ধতার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে প্রায় ১০হাজার একর জমির চাষাবাদ। ঘুংঘুর নদী ও এর শাখা খালের বিভিন্ন স্থানে ভরাট,অপরিকল্পিত ব্রিজ,কালভার্ট নির্মাণ হওয়ায় নদীর প্রবাহ বিঘ্নিত হয়েছে।

আমরা মনে করি দ্রুত ঘুংঘুর নদী ও এর শাখা খালের বিভিন্ন স্থানে সংস্কার প্রয়োজন। নতুবা সামনের দিনগুলোতে আরো বেশি জলাবদ্ধতা বাড়বে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে কৃষক। খাদ্য সংকটে পড়বে দুই উপজেলার মানুষ। এ বিষয়ে আমরা জেলা প্রশাসন, কৃষি বিভাগ ও বিএডিসির হস্তক্ষেপ কামনা করছি।