কুবিতে উত্তেজনা, দুইপক্ষের থানায় অভিযোগ
প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) শিক্ষকদের একাংশের নানা দাবিতে বিভিন্ন দপ্তরে তালা মারা নিয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তালা খুলে প্রবেশ করতে গিয়ে উপাচার্য লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষক সমিতির নেতাদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন ভিসি। শিক্ষক সমিতির সভাপতি সম্পাদকসহ ৬জনের বিরুদ্ধে ভিসিসহ অন্যদের ওপর হামলার সোমবার সন্ধ্যায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সহকারী রেজিষ্ট্রার মোহাম্মদ ছাদেক হোসেন মজুমদার। অপরদিকে উপাচার্যসহ ২০জনের নামে থানায় হামলার পাল্টা অভিযোগ করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। রবিবার (২৮ এপ্রিল) রাতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের এ অভিযোগ দায়ের করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র ও প্রাপ্ত ভিডিও ফুটেজ থেকে দেখা যায়, রবিবার দুপুর ১টায় প্রক্টরিয়াল বডির নেতৃত্বে কুবি শিক্ষক সমিতির লাগানো তালা ভাঙতে যায় অন্যান্য শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। একপর্যায়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করতে গেলে নিচতলায় অবস্থান করা শিক্ষক সমিতির নেতারা তাকে বাধা দেন। কয়েকজন তাকে ধাক্কা দেন। এসময় অন্য শিক্ষককরা উপাচার্যকে নিয়ে কক্ষে প্রবেশ করেন। উপাচার্যকে কক্ষে পৌঁছে দিতে সাহায্য করা শিক্ষার্থী ও প্রক্টরসহ অন্যরা নিচে নামলে আবারো উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, কার্যালয়ে প্রবেশ করতে গেলে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান, প্রতœতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মুর্শেদ রায়হান এবং মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান আমাকে ধাক্কা দেয়। ধাক্কা সামলিয়ে আমাকে কার্যালয়ে পৌঁছে দিতে সাহায্য করেন কিছু শিক্ষক ও ছাত্র। ওই ছাত্ররা নিচে নেমে আসলে শিক্ষক সমিতির নেতৃত্বে তাদের ওপর হামলা করা হয়। চারজনকে তারা পিটিয়ে জখম করে। প্রক্টরকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।
তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধ করতে গেলে কিছু শিক্ষক মারমুখী হয়ে উঠেন। আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের কথা বলা হলেও তারা সাড়া দিচ্ছেন না। ক্লাস বন্ধ করে আন্দোলনের নামে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করছেন।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান জানান, উপাচার্যের দাবি সঠিক নয়। তিনি লোকজন দিয়ে আমাদের ওপর হামলা করিয়েছেন। আমাদের সমিতির সদস্যরা আহত হয়েছেন।
সদর দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া জানান, পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আমি নিজেও ঘটনাস্থলে গিয়েছি। এদিকে শিক্ষক সমিতি থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন বলেও তিনি জানান।