কুমিল্লা সদরে ৮জনের মনোনয়ন দৌড়ে

মহিউদ্দিন মোল্লা।।
কুমিল্লা-৬(সদর আসন)। এটি কুমিল্লা সিটি করপোরেশন,কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা,কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা ও কুমিল্লা সেনানিবাস নিয়ে গঠিত। ছয় লাখ ৩২হাজার ভোটারের এই আসন। জেলার ১১টি সংসদীয় আসনের মধ্যে সদর আসন নিয়ে বেশি জল্পনা কল্পনা। কোন দল থেকে কে পাচ্ছেন মনোনয়ন? এখানে বিভিন্ন দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা মাঠে প্রচারণায় গলদঘর্ম হচ্ছেন। নগরীর বিভিন্ন স্থানে ঝুলছে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ব্যানার ফেস্টুন। মনোনয়ন দৌড়ে রয়েছেন বিএনপির তিনজন কেন্দ্রীয় নেতা ও একজন সাবেক মেয়র। রয়েছেন জামায়াত, এবি পার্টি,এনসিপি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের একজন করে মনোনয়ন প্রত্যাশী। মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে চারজনের অবস্থান মাঠে দেখা গেছে। কেউ মহানগরের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন, কেউ তাদের সমর্থকদের সাথে নিয়ে ঘুরছেন। ব্যাংক,ট্যাংক আর খাদি রসমালাইয়ের নগরে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের কর্মী সমর্থকদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় তিন নেতা হচ্ছেন দলের চেয়ারপার্সনের দুই উপদেষ্টা আমিন উর রশিদ ইয়াছিন ও মনিরুল হক চৌধুরী, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক(কুমিল্লা বিভাগ) মোস্তাক মিয়া। মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র দল থেকে বহিষ্কৃত মনিরুল হক সাক্কু। জামায়াতের কুমিল্লা মহানগর আমীর কাজী দ্বীন মোহাম্মদ,এবি পার্টির কুমিল্লা জেলা সভাপতি মিয়া মোহাম্মদ তৌফিক,এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক নাভিদ নওরোজ শাহ,ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহানগর কমিটির সিনিয়র সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট হারুনুর রশীদ।
আমিন উর রশিদ ইয়াছিন বলেন,যেখানে যাচ্ছি মানুষের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। মানুষ দুর্নীতিমুক্ত সমাজ চায়।
দলের অন্য মনোনয়ন প্রত্যাশীদের বিষয়ে বলেন, বড় দলে একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী থাকতেই পারেন। দল মনোনয়ন দেয়ার বিষয়ে যেসব ক্রাইটেরিয়া দিয়েছে। আমার সেসব ক্রাইটেরিয়া রয়েছে বলে বিশ^াস করি। গত ১৭ বছর দলের দুর্দিনে নেতাকর্মীদের সাথে ছিলাম। দলের নির্দেশ মেনে আন্দোলন সংগ্রামে ছিলাম। চাঁদাবাজি ও দুর্নীতিকে সব সময় না বলেছি। শান্তিপ্রিয় কুমিল্লা গড়তে সব সময় কাজ করেছি।
মনিরুল হক চৌধুরী বলেন, ৬০ বছর আমার রাজনীতির বয়স। আমি প্রতিদিনই মানুষের জন্য কাজ করছি। আমি কুমিল্লা সদর আসনের জন্য মনোনয়ন চাই,দল চাইলে আমি ১০আসনের জন্যও কাজ করবো। আশা করি দল আমাকে মূল্যায়ন করবে।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু বলেন,দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে সিটি নির্বাচন করায় দল আমাকে বহিষ্কার করেছে। তবে আমি দলকে বুঝানোর চেষ্টা করেছি-আমি দলের বাইরে গিয়ে জাতীয় নয় স্থানীয় নির্বাচন করেছি। এতে আমার দলের কোন ক্ষতি হয়নি। আমি মেয়র হওয়ার মাধ্যমে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সহযোগিতা করেছি। আমি সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন চাই। দল আমার থেকে যোগ্য কাউকে মনোনয়ন দিলে তার জন্য খাটবো। কম যোগ্য কাউকে মনোনয়ন দিলে আমি তার বিরুদ্ধে নির্বাচন করবো।
কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক(কুমিল্লা বিভাগ) মোস্তাক মিয়া বলেন,আমি ছাত্রদলের জেলা ও কেন্দ্রীয় কমিটিতে দায়িত্ব পালন করেছি। ৪৬ বছর ধরে রাজনীতি করেছি। এলাকার মানুষের সুখ দুঃখ আমি কাছ থেকে দেখেছি। মনোনয়ন পেলে বিজয়ী হয়ে মানুষের জন্য কাজ করতে পারবো।
জামায়াতের কুমিল্লা মহানগর আমীর কাজী দ্বীন মোহাম্মদ বলেন, আল্লাহর আইন সৎলোকের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছে জামায়াত। আমরা যেখানে যাচ্ছি ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনে কুমিল্লা -০৬ আসনের জনগণ আমাদের পাশে থাকবে বলে আশা করছি।

 

inside post
আরো পড়ুন