ছবি তুলে বানভাসিদের জন্য অর্থ সংগ্রহ
ইলিয়াস হোসাইন।।
কেউ ছবি তুলে , কেউ না তুলেই সহযোগিতা করছে। সারা দিন চলেছে তাদের আলোকযন্ত্রের শাটার ক্লিক। ছবি তোলার বিনিময়ে তারা অর্থ সংগ্রহের কাজ করেছে। এমন দৃশ্য দেখা যায় কুমিল্লা নগরীর ধর্মসাগর পাড়ে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা ৩৫জন আলোকচিত্রী নিয়ে দেশের বন্যার্ত মানুষদের সাহায্যের লক্ষে কুমিল্লা ফটোগ্রাফি সোসাইটি এই আয়োজন করে। এই আয়োজনে পার্কের ভিক্ষুক ও ফুল বিক্রেতা মেয়েটিও সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে।
সংগঠনের অফিস সেক্রেটারি মো. সুমিত আহম্মেদ বলেন,সিলেটসহ উত্তরাঞ্চলের মানুষের অসহায় অবস্থায় রয়েছে। তাই অন্তত একদিনের আয়টা বানভাসী মানুষদের জন্য আমরা উৎসর্গ করেছি।
সদস্য তাওসিফ বলেন,আয়োজনকে সুন্দর এবং প্রাণবন্ত করতে আজকে ক’দিন ধরেই ছুটছি। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করে গেছি।
ছবি তুলতে আসা এক দম্পতি জানান, তরুণদের ব্যতিক্রম একটা উদ্যোগ! এভাবে সবাই নিজ জায়গা থেকে এগিয়ে আসলে বন্যার্ত মানুষরা কিছুটা হলেও দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবেন।
পার্কে ভিক্ষা করা এক বৃদ্ধা বলেন,আজ হারাদিন ৭০টিয়া পাইছি বাপ,এর থাইকা ২০টিয়া(টাকা)দিয়া দিছি। কাইলকাও বিশ্বরোড ২০টিয়া দিছি। আমি নিজেও খুঁইজা খাই! আল্লাহ আমগোরে অনেক ভালাই রাখছে। যারা পানির নিচে বন্দি আল্লাহ সবাইরে রহম করুক।
গ্রুপের ফান্ড রাইজিং সেক্রটারি সুজন দাস নিরব জানান, আমাদের প্রতি ইভেন্ট ১০থেকে ১৫হাজার টাকা আয় হয়। আজকে বন্যার্ত মানুষদের জন্য ছবি তুলছি। কেহ ছবি তুলে সহযোগিতা করছে,আবার কেহ না তুলেও দিচ্ছে। মানুষের না বোধক কোনো দৃষ্টিভঙ্গি দেখছিনা। অসহায় মানুষদের জন্য আমরা ফটোগ্রাফাররা একসাথে হয়ে কাজ করতে পারছি এটা অনেক আনন্দের!
সংগঠনের সভাপতি ইমন রেজা জানান,গতবারও আমরা এমন আয়োজনের মাধ্যমে জামালপুরের বন্যার্ত মানুষের জন্য বড় একটা অর্থ সংগ্রহ করে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে গিয়েছি। এবারও এই আয়োজনে মানুষের বেশ সাড়া পেয়েছি। একদিনে আমরা সংগ্রহ করতে পেরেছি প্রায় অর্ধলাখ টাকা।