ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে মাদরাসা ঘেরাও, অধ্যক্ষ লাঞ্ছিত
প্রতিনিধি ।।
কুমিল্লার দেবিদ্বারে একটি মাদরাসার প্রভাষকের বিরুদ্ধে ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় মাদরাসা ঘেরাও করে অভিযুক্ত শিক্ষককে মাদরাসা থেকে বহিস্কার ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয়রা। তবে বিক্ষোভের সময় ওই শিক্ষক মাদারাসায় ছিলেন না। এ সময় জনতার হাতে মাদরাসার অধ্যক্ষ লাঞ্ছিত হয়েছেন। বুধবার এ ঘটনা ঘটেছে জেলার দেবিদ্বার উপজেলার ধামতী ইসলামিয়া কামিল মাদরাসায়। ভিকটিম ওই ছাত্রী মাদরাসার আলিম ১ম বর্ষে অধ্যয়ন করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই মাদ্রাসার প্রভাষক আরিফুর রহমান একই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মহিউদ্দিন মোল্লার আপন শ্যালক। সে ওই মাদরাসার আলিম ১ম বর্ষের এক ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। বিষয়টি কাউকে না বলারও হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রী তার পরিবারকে বিষয়টি জানায়। গত ৮ জুন ভুক্তভোগী মেয়ের বাবা মাদরাসার অধ্যক্ষকে বিষয়টি অবগত করে প্রতিকার চান। অধ্যক্ষ বুধবার বিষয়টি সমাধানের লক্ষে মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য ও এলাকার লোকজন নিয়ে মাদরাসার অফিসে এক বৈঠকে বসেন। কিন্তু অভিযুক্ত প্রভাষক আরিফকে ছুটির নামে কৌশলে এলাকা থেকে সরিয়ে রাখা হয়। এতে এলাকার লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। এ সময় স্থানীয়রা অভিযুক্তকে অনুপস্থিত রেখে বিচারের নামে প্রহসন করা হচ্ছে অভিযোগ তুলে অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করেন। অধ্যক্ষ বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে অধ্যক্ষের মুঠো ফোনে যোগাযোগ কওে বন্ধ থাকায় বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
মাদরাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শিউলী রহমান তিন্নী বলেন, ছাত্রী ও শিক্ষকের মধ্যে যা ঘটেছে এ বিষয়ে ছাত্রীর পরিবার অধ্যক্ষ বরাবর একটি অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে অধ্যক্ষ কমিটির লোকজনের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি করেছেন, এর রিপোর্ট এখনো হাতে আসেনি। এলাকার বিক্ষুব্ধ লোকজনের মাদরাসায় গিয়ে বিচারের দাবিতে অফিস ঘেরাও করার বিষয়ে মাদরাসার শিক্ষকরা বিকালে তাঁর দপ্তরে এসে বিস্তারিত বলেছেন।
দেবিদ্বার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খাদেমুল বাহার বলেন, এলাকার লোকজন মাদরাসা ঘেরাও করলে থানা থেকে বিচারের আশ্বাস দেয়ার পর তারা ফিরে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার থানায় অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।