পানি সম্পর্কিত কুরআনের আয়াত- তৃতীয় পর্ব

।। মতিন সৈকত ।।
সুরা ফুরকানের ১০, ২৫, ৩৭, ৪০, ৪৮, ৪৯, ৫০,৫৩,৫৪ আয়াতে আল্লাহ বলেন
(১০)  কতক মহান তিনি যিনি ইচ্ছা করিলে তোমাকে দিতে পারেন ইহা অপেক্ষা উৎকৃষ্টতর বস্তু -উদ্যানসমূহ যাহার নিন্মদেশে নদী -নালা প্রবাহিত এবং দিতে পারেন প্রাসাদসমূহ!
(২৫)  যেদিন আকাশ মেঘপুঞ্জসহ বিদীর্ণ হইবে এবং ফিরিশতাদিগকে নামাইয়া দেওয়া হইবে।
(৩৭)  এবং নূহের সম্প্রদায় যখন রাসূলগণের প্রতি মিথ্যা আরোপ করিল তখন আমি উহাদিগকে নিমজ্জিত করিলাম এবং ইহাদিগকে মানব জাতির জন্য নিদর্শন স্বরূপ করিয়া রাখিলাম। জালিমদিগের জন্য আমি মর্মন্তুদ শাস্তি প্রস্তুত করিয়া রাখিয়াছি।
(৪০) উহারা তো সেই জনপদ দিয়াই যাতায়াত করে যাহার উপর বর্ষিত হইয়াছিল অকল্যাণের বৃষ্টি, তবে কি উহারা ইহা প্রত্যক্ষ করে না? বস্তুত উহারা ইহা প্রত্যক্ষ করে  না? বস্তুত উহারা ইহা প্রত্যক্ষ করে না? বস্তুত উহারা পুনরুথ্থানের আশংকা করে না।
(৪৮) তিনিই স্বীয় অনুগ্রহের প্রাক্কালে সুসংবাদবাহীরূপে বায়ু প্রেরণ করেন এবং আমি আকাশ হইতে বিশুদ্ধ পানি বর্ষণ করি।
(৪৯)  যদ্দ্বারা আমি মৃত ভূখণ্ডকে সঞ্জীবিত করি এবং আমার সৃষ্টির মধ্যে বহু জীবজন্তু ও মানুষকে উহা পান করাই।
(৫৩)  তিনিই দুই দরিয়াকে মিলিতভাবে প্রবাহিত করিয়াছেন, একটি মিষ্ট, সুপেয় এবং অপরটি লোনা, খর,
উভয়ের মধ্যে রাখিয়া দিয়েছেন এক অন্তরায়,  এক অনতিক্রম্য ব্যবধান।
(৫৪) এবং তিনিই মানুষকে সৃষ্টি করিয়াছেন পানি হইতে, অতঃপর তিনি তাহার বংশগত ও বৈবাহিক সম্বন্ধ স্থাপন করিয়াছেন। তোমার প্রতিপালক সর্বশক্তিমান।

সুরা শূ’আরা’র ৫৭, ৬৩ আয়াতে আল্লাহ বলেন
(৫৭) পরিণামে আমি ফির’আওন গোষ্ঠীকে বহিস্কৃত করিলাম উহাদিগের উদ্যানরাজি ও প্রস্রবণ হইতে
(৬৩) অতঃপর মূসার প্রতি ওহী করিলাম, ‘তোমার ষষ্টি দ্বারা সমুদ্রে আঘাত কর’। ফলে, উহা বিভক্ত হইয়া প্রত্যেক ভাগ বিশাল পর্বতসদৃশ হইয়া গেল।

সুরা নামলের ৪৪, ৫৮, ৮৮ আয়াতে আল্লাহ বলেন,
(৪৪)  তাহাকে বলা হইল, ‘ এই প্রাসাদে প্রবেশ কর,’ যখন সে উহা দেখিল তখন সে উহাকে এক গভীর জলাশয় মনে করিল এবং সে তাহার উভয় ‘ সাক’ অনাবৃত করিল। সুলায়মান বলিল, ইহা তো স্বচ্ছ স্ফটিক মন্ডিত প্রাসাদ।’ সেই নারী বলিল, ‘ হে আমার প্রতিপালক! আমি তো নিজের প্রতি জুলুম করিয়াছিলাম, আমি সুলায়মানের সহিত জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহে নিকট আত্মসমর্পণ করিতেছি।’
(৫৮) তাহাদিগের উপর ভয়ংকর বৃষ্টি বর্ষণ করিয়াছিলাম, যাহাদিগকে ভীতি প্রদর্শন করা হইয়াছিল তাহাদিগের জন্য এই বর্ষণ ছিল কত মারাত্মক!
(৮৮) তুমি পর্বতমালা দেখিয়া অচল মনে করিতেছ, কিন্তু সেই দিন উহারা হইবে মেঘপুঞ্জের ন্যায় সঞ্চরমান। ইহা আল্লাহরই সৃষ্টি -নৈপুণ্য,  যিনি সমস্ত কিছুকে করিয়াছেন সুষম।  তোমারা যাহা করে সে সম্বন্ধে তিনি সম্যক অবগত।

সূরা কাসাসের ৭, ২৩, ২৪, ২৫, ৪০ আয়াতে আল্লাহ বলেন
(৭) মূসা-জননীর অন্তরে আমি ইংগিতে নির্দেশ করিলাম, ‘শিশুটিকে স্তন্য দান করিতে থাক। যখন তুমি তাহার সম্পর্কে কোন আশঙ্কা করিবে তখন ইহাকে দরিয়ায় নিক্ষেপ করিও এবং ভয় করিও না, দুঃখও করিও না। আমি ইহাকে তোমার নিকট ফিরাইয়া দিব এবং ইহাকে রাসূলদিগের একজন করিব।’
(২৩) যখন সে মাদয়ানের কূপের নিকট পৌছিল, দেখিল, একদল লোক তাহাদিগের জানোয়ারগুলিকে পানি পান করাইতেছে এবং উহাদিগের পশ্চাতে দুই জন নারী তাহাদিগের পশুগুলিকে আগলাইতেছে। মূসা বলিল ‘ তোমাদিগের কী ব্যাপার? উহারা বলিল, ‘ আমরা আমাদিগের জানোয়ারগুলিকে পানি পান করাইতে পরি না, যতক্ষণ রাখালেরা উহাদিগের জানোয়ারগুলিকে লইয়া সরিয়া না যায়। আমাদিগের পিতা অতি বৃদ্ধ। ‘
(২৪) মূসা তখন উহাদিগের জানোয়ারগুলিকে পানি পান করাইল। তৎপর সে ছায়ার নীচে আশ্রয় গ্রহন করিয়া বলিল, ‘হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ করিবে আমি তাহার কাঙ্গাল। ‘
(২৫) তখন নারীদ্বয়ের একজন শরম-জড়িত চরণে তাহার নিকট আসিল এবং বলিল, ‘ আমার পিতা তোমাকে আমন্ত্রণ করিতেছেন, আমাদিগের জানোয়ারগুলিকে পানি পান করাইবার পারিশ্রমিক তোমাকে দেয়ার জন্য। ‘ অতঃপর মূসা তাহার নিকট আসিয়া সমস্ত বৃত্তান্ত বর্ণনা করিলে সে বলিল, ‘ ভয় করিও না, তুমি জালিম সম্প্রদায়ের কবল হইতে বাঁচিয়া গিয়াছ’।
(৪০) অতএব আমি তাহাকে ও তাহার বাহিনীকে ধরিলাম এবং তাহাদিগকে সমুদ্রে নিক্ষেপ করিলাম। দেখ, জালিমদের পরিণাম কি হইয়া থাকে!

সূরা আনকাবুতের ১৫,৪০, ৫৮, ৬৩, ৬৫ আয়াতে আল্লাহ বলেন
(১৫) অতঃপর আমি তাহাকে এবং যাহারা তরণীতে আরোহন করিয়াছিল তাহাদিগকে রক্ষা করিলাম এবং বিশ্বজগতের জন্য ইহাকে করিলাম একটি নিদর্শন।
(৪০) উহাদিগের প্রত্যেককেই তাহার অপরাধের জন্য শাস্তি দিয়াছিলাম, উহাদিগের কাহারও প্রতি প্রেরণ করিয়াছি প্রস্তরসহ প্রচন্ড ঝটিকা, উহাদিগের কাহাকেও আঘাত করিয়াছিল মহানাদ,কাহাকেও আমি প্রোথিত করিয়াছিলাম ভূগর্ভে এবং কাহাকেও করিয়াছিলাম নিমজ্জিত। আল্লাহ তাহাদিগের প্রতি কোন জুলুম করেন নাই, তাহারা নিজেরাই নিজদিগের প্রতি জুলুম করিয়াছিল।
(৫৮) যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে আমি অবশ্যই তাহাদিগের বসবাসের জন্য সুউচ্চ প্রাসাদ দান করিব জান্নাতে, যাহার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, সেখানে তাহারা স্থায়ী হইবে, কত উত্তম প্রতিদান সংকর্মশীলদিগের।”
(৬৩) যদি তুমি উহাদিগকে জিজ্ঞাসা কর, ভূমি মৃত হইবার পর আকাশ হইতে বারি বর্ষণ করিয়া কে উহাকে সঞ্জীবিত করে?  উহারা অবশ্যই বলিবে ‘ আল্লাহ। ‘ বল,
‘প্রশংসা আল্লাহরই’। কিন্তু উহাদিগের অধিকাংশই ইহা অনুধাবন করে না।
(৬৫) উহারা যখন নৌযানে আরোহণ করে তখন উহারা বিশুদ্ধচিত্ত হইয়া একনিষ্ঠভাবে আল্লাহকে ডাকে, অতঃপর তিনি যখন স্থলে ভিড়াইয়া উহাদিগকে উদ্ধার করেন, তখন উহারা শিরকে লিপ্ত হয়।

সুরা রূমের ২৪, ৪১, ৪৬,৪৮,৪৯,আয়াতে আল্লাহ বলেন
(২৪) এবং তাঁহার নিদর্শনাবলীর মধ্যে রহিয়াছে তিনি তোমাদিগকে প্রদর্শন করেন বিদ্যুৎ, ভয় ও ভরসা সঞ্চাররকরৃপে এবং তিনি আকাশ হইতে বারি বর্ষণ করেন ও তদ্বারা ভূমিকাকে উহার মৃত্যুর পর পুনর্জীবিত করেন, ইহাতে অবশ্যই নিদর্শন রহিয়াছে বোধশক্তিসম্পন্ন সম্প্রদায়ের জন্য।
(৪১) মানুষের কৃতকর্মের দরুন সমুদ্রে ও স্থলে বিপর্যয় ছড়াইয়া পড়ে, যাহার ফলে উহাদিগকে উহাদিগের কোন কোন কর্মের শাস্তি তিনি আস্বাদন করান যাহাতে উহারা ফিরিয়া আসে।
(৪৬) তাঁহার নিদর্শনাবলীর একটি যে, তিনি বায়ু প্রেরণ করেন সুসংবাদ দিবার জন্য ও তোমাদিগকে তাঁহার অনুগ্রহ আস্বাদন করাইবার জন্য এবং যাহাতে তাঁহার বিধানে নৌযানগুলি বিচরণ করে, যাহাতে তোমারা তাঁহার অনুগ্রহ সন্ধান করিতে পার ও তাঁহার প্রতি কৃতজ্ঞ হও।
(৪৮) আল্লাহ তিনি বায়ু প্রেরণ করেন, ফলে ইহা মেঘমালাকে সঞ্চালিত করে, অতঃপর তিনি ইহাকে যেমন ইচ্ছা আকাশে ছড়াইয়া দেন, পরে ইহাকে খন্ড-বিখন্ড করেন এবং তুমি দেখিতে পাও উহা হইতে নির্গত হয় বারিধারা,  অতঃপর যখন তিনি তাঁহার বান্দাদিগের মধ্যে যাহাদিগের নিকট ইচ্ছা ইহা পৌঁছাইয়া দেন, তখন উহারা হয় হর্ষোৎফুল্ল।
(৪৯) যদিও উহারা উহাদিগের প্রতি বৃষ্টি বর্ষণের পূর্বে নিরাশ ছিল।

সুরা লোকমানের ১০, ২৭, ৩১, ৩২,৩৪ আয়াতে আল্লাহ বলেন
(১০) তিনি আকাশমন্ডলী নির্মাণ করিয়াছেন স্তম্ভ ব্যাতীত-তোমরা ইহা দেখিতেছ, তিনিই পৃথিবীতে স্থানপ করিয়াছেন পর্বতমালা যাহাতে ইহা তোমাদিগকে লইয়া ঢলিয়া না পড়ে এবং ইহাতে ছড়াইয়া দিয়েছেন সর্বপ্রকার জীব-জন্তু। এবং আমিই আকাশ হইতে বারি বর্ষণ করিয়া ইহাতে উদগত করি সর্বপ্রকার কল্যাণকর উদ্ভিদ।
(২৭) পৃথিবীর সমস্ত বৃক্ষ যদি কলম হয় এবং এই যে সমুদ্র ইহার সহিত যদি আরও সাত সমুদ্র যুক্ত হইয়া কালি হয়, তবুও আল্লাহর বাণী নিঃশেষ হইবে না। আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
(৩১) তুমি কি লক্ষ্য কর না যে আল্লাহর অনুগ্রহে নৌযানগুলি সমুদ্রে বিচরণ করে, যদ্দ্বারা তিনি তোমাদিগকে তাঁহার নিদর্শননাবলী কিছু প্রদর্শন করেন? ইহাতে অবশ্যই নিদর্শন রহিয়াছে প্রত্যেক ধৈর্য্যশীল কৃতজ্ঞ ব্যাক্তির জন্য।
(৩২) যখন তরংগ উহাদিগকে আচ্ছন্ন করে মেঘাচ্ছায়ার মত তখন উহারা আল্লাহকে ডাকে তাঁহার আনুগত্যে বিশুদ্ধচিত্ত হইয়া। কিন্তু যখন তিনি উহাদিগকে উদ্ধার করিয়া স্থলে পৌঁছান তখন উহাদের কেহ কেহ সরল পথে থাকে,  কেবল বিশ্বাসঘাতক,অকৃতজ্ঞ ব্যাক্তিই তাঁহার নিদর্শনাবলী অস্বীকার করে।
(৩৪) কিয়ামতের জ্ঞান কেবল আল্লাহ নিকট রহিয়াছে, তিনি বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং তার জানেন যাহা জরায়ুতে আছে। কেহ জানে না আগামীকল্য সে কি অর্জন করিবে এবং কেহ জানে না কোন স্থানে তাহার মৃত্যু ঘটিবে।  আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সর্ববিষয়ে অবহিত।

সূরা সাজদার ২৭ আয়াতে আল্লাহ বলেন
(২৭) উহারা কি লক্ষ্য করে না, আমি ঊষর ভূমির উপর পানি প্রবাহিত করিয়া উহার সাহায্যে উদগত করি শস্য, যাহা হইতে আহার্য গ্রহন করে উহাদিগের আনআম এবং উহারাও? উহারা কি তবুও লক্ষ্য করিবে না?

সূরা সাবার ২, ১৬ আয়াতে আল্লাহ বলেন
(২) তিনি জানেন যাহা ভূমিতে প্রবেশ করে, যাহা উহা হইতে নির্গত হয় এবং যাহা আকাশ হইতে বর্ষিত ও যাহা কিছু আকাশে উত্থিত হয়। তিনিই পরম দয়ালু, ক্ষমাশীল।
(১৬) পরে উহারা আদেশ অমান্য করিল। ফলে আমি উহাদিগের উপর প্রবাহিত করিলাম বাঁধ ভাঙা বন্যা এবং উহাদিগের উদ্যান দুইটিকে পরিবর্তন করিয়া দিলাম এমন দুইটি উদ্যানে যাহাতে উৎপন্ন হয় বিস্বাদ ফলমূল ঝাউ গাছ এবং কিছু কুল গাছ।

সূরা ফাতিরের ৯, ১২ ২৭ আয়াতে আল্লাহ বলেন
(৯) আল্লাহ বায়ু প্রেরণ করিয়া উহা দ্বারা মেঘমালা সঞ্চালিত করেন। অতঃপর আমি উহা নির্জীব ভূখণ্ডের দিকে পরিচালিত করি, অতঃপর আমি উহা দ্বারা ধরিত্রীকে উহার মৃত্যুর পর সঞ্জীবত করি। পুনরুত্থান এইরূপেই হইবে।
(১২) দরিয়া দুইটি একরূপ নহে একটি পানি সুমিষ্ট ও সুপেয়, অপরটির পানি লোনা, খর। প্রত্যেকটি হইতে তোমার তাজা গোশত আহার কর এবং অলংকার যাহা তোমরা পরিধান কর, এবং রত্নাবলী আহরণ কর এবং তোমরা দেখ উহার বুক চিরিয়া নৌযান চলাচল করে যাহাতে তোমারা তাঁহার অনুগ্রহ অনুসন্ধান করিতে পার এবং যাহাতে তোমারা কৃতজ্ঞ হও।
(২৭) তুমি কি দেখ না আল্লাহ আকাশ হইতে বৃষ্টিপাত করেন এবং আমি ইহা দ্বারা বিচিত্র বর্ণের ফলমূল উদগত করি?  পাহাড়ের মধ্যে আছে বিচিত্র বর্ণের পথ শুভ্র লাল ও নিকষ কাল।

সুরা য়াসীনের ৩৩, ৪১,৪২,৪৩, ৭৩ আয়াতে আল্লাহ বলেন (৩৩) উহাদিগের জন্য একটি নিদর্শন মৃত ধরিত্রী, যাহাকে আমি সঞ্জীবিত করি এবং যাহা হইতে উৎপন্ন করি শস্য যাহা উহারা ভক্ষণ করে।
(৪১) উহাদিগের এক নিদর্শন এই যে, আমি উহাদিগের বংশধরদিগকে বোঝাই নৌযানে আরোহন করাইয়াছিলাম।
(৪২) এবং উহাদিগের জন্য অনুরূপ যানবাহন সৃষ্টি করিয়াছি যাহাতে উহারা আরোহন করে।
(৪৩) আমি ইচ্ছা করিলে উহাদিগকে নিমজ্জিত করিতে পারি, সে অবস্থায় উহারা কোন সাহায্যকারী পাইবে না এবং উহারা পরিত্রাণও পাইবে না।
(৭৩) তাহাদিগের জন্য এইগুলোতে আছে বহু উপকারিতা আর আছে পানীয় বস্তু। তবুও কি তাহারা কৃতজ্ঞ হইবে না?

সূরা সাফফাতের ৪৫, ৬৭,৮২,১৪০, ১৪২ আয়াতে আল্লাহ বলেন
(৪৫) তাহাদিগকে ঘুরিয়া ঘুরিয়া পরিবেশন করা হইবে বিশুদ্ধ সুরাপূর্ণ পাত্র।
(৬৭) তদুপরি উহাদিগের জন্য থাকিবে ফুটন্ত পানির মিশ্রণ।
(৮২) অবশিষ্ট সকলকে আমি নিমজ্জিত করিয়াছিলাম।
(১৪০) স্মরণ কর, যখন সে পলায়ন করিয়া বোঝাই নৌযানে পৌছিল।
(১৪২) পরে এক বৃহদাকার মৎস্য তাহাকে গিলিয়া ফেলিল, তখন সে নিজেকে ধিক্কার দিতে লাগিল।

সুরা সাদের ৩৬, ৩৭, ৪২, ৫১, ৫৭ আয়াতে আল্লাহ বলেন
(৩৬) তখন আমি তাহার অধীন করিয়া দিলাম বায়ুকে, যাহা তাহার আদেশে, সে যেখানে ইচ্ছা করিত সেথায় মৃদুমন্দ গতিতে প্রব্হিত হইত।
(৩৭) এবং শয়তানদিগকে যাহারা সকলেই ছিল প্রসাদ নির্মাণকারী ও ডুবুরী।
(৪২) আমি তাহাকে বলিলাম ‘তুমি  তোমার পদ দ্বারা ভূমিতে আঘাত কর, এইতো গোসলের সুশীতল পানি আর পানীয়।
(৫১) সেথায় তাহারা আসীন হইবে হেলান দিয়া, সেথায় তাহারা বহুবিধ ফলমূল ও পানীয়ের জন্য আদেশ দিবে।
(৫৭) ইহা সীমালংঘনকারীদিগের জন্য। সুতরাং উহারা আস্বাদন করুক ফুটন্ত পানি ও পূঁজ।

সুরা যুমার ২০, ২১ আয়াতে আল্লাহ বলেন
(২০) তবে যাহারা তাহাদিগের প্রতিপালককে ভয় করে, তাহাদিগের জন্য আছে বহু প্রাসাদ যাহার উপর নির্মিত আরও প্রাসাদ, যাহার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, আল্লাহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, আল্লাহ প্রতিশ্রুতি ভংগ করেন না।
(২১) তুমি কি দেখ না, আল্লাহ আকাশ হইতে বারি বর্ষণ করেন, অতঃপর ভূমিতে নির্ঝররৃপে প্রবাহিত করেন এবং তদ্দ্বারা বিবিধ বর্ণের ফসল উৎপন্ন করেন, অতঃপর ইহা শুকাইয়া যায় এবং তোমরা ইহা পীতবর্ণ দেখিতে পাও, অবশেষে তিনি উহা খড়-কুটায় পরিণত করেন? ইহাতে অবশ্যই উপদেশ রহিয়াছে বোধশক্তি সম্পনদিগের জন্য।

সুরা মুমিনের ৬৭, ৭২, ৮০ আয়াতে আল্লাহ বলেন
(৬৭) তিনিই তোমাদিগকে সৃষ্টি করিয়াছেন মৃত্তিকা হইতে, পরে শুক্রবিন্দু হইতে, তারপর ‘ আলাকা’ হইতে, তারপর তোমাদিগকে বাহির করেন শিশুরূপে, অতঃপর যেন তোমরা উপনীত হও যৌবনে, তারপর হও বৃদ্ধ। তোমাদিগের মধ্যে কাহারও ইহার পূর্বেই মৃত্যু ঘটে এবং ইহা এইজন্য যে, তোমরা নির্ধারিত কালপ্রাপ্ত হও এবং যাহাতে তোমারা অনুধাবণ করিতে পার।
(৭২) ফুটন্ত পানিতে, অতঃপর উহাদিগকে দগ্ধ করা হইবে অগ্নিতে।
(৮০) ইহাতে তোমাদিগের জন্য রহিয়াছে প্রচুর উপকার, তোমরা যাহা প্রয়োজন বোধ কর, ইহা দ্বারা তাহা পূর্ণ করিয়া থাক, এবং ইহাদের উপর ও নৌযানের উপর তোমাদিগকে বহন করা হয়।

সুরা হা-মীম-আস সাজদা’র ৩৯,  আয়াতে আল্লাহ
(৩৯) এবং তাঁহার একটি নিদর্শন এই যে, তুমি ভূমিকে দেখিতে পাও শুস্ক,উষর, অতঃপর আমি উহাতে বারি বর্ষণ করিলে উহা আন্দোলিত ও স্ফীত হয়, যিনি ভূমিকে জীবিত করেন তিনিই মৃতের জীবনদানকারী। তিনি তো সর্ব বিষয়ে সর্বশক্তিমান।

সুরা শূরা’র ২৮, ৩২, ৩৩ আয়াতে আল্লাহ বলেন
(২৮)  উহারা যখন হতাশাগ্রস্ত হইয়া পড়ে তখনই তিনি বৃষ্টি প্রেরণ করেন এবং তাঁহার করুণা বিস্তার করেন। তিনিই তো অভিভাবক, প্রশংসার্হ।
(৩২) তাঁহার অন্যতম নিদর্শন পর্বতসদৃশ সমুদ্রে চলমান নৌযান সমূহ।
(৩৩) তিনি ইচ্ছা করিলে বায়ুকে স্তব্ধ করিয়া দিতে পারেন, ফলে নৌযান সমূহ নিশ্চল হইয়া পড়িবে সমুদ্র পৃষ্ঠে। নিশ্চয়ই ইহাতে নিদর্শন রহিয়াছে ধৈর্যশীল ও কৃতজ্ঞ ব্যাক্তির জন্য।

সুরা যুখরুফের ১১, ১২, ৫১, ৫৫ আয়াতে আল্লাহ বলেন
(১১) এবং যিনি আকাশ হইতে বারি বর্ষণ করেন পরিমিতভাবে। এবং আমি তদ্দ্বারা সঞ্জীবিত করি নির্জীব ভূখণ্ডকে। এইভাবেই তোমাদিগকে পুনরুত্থিত করা হইবে।
(১২) এবং যিনি যুগলসমূহের প্রত্যেককে সৃষ্টি করেন এবং যিনি তোমাদিগের জন্য সৃষ্টি করেন এমন নৌযান ও আন’আম যাহাতে তোমারা আরোহন কর।
(৫১) ফির’আওন তাহার সম্প্রদায়ের মধ্যে এই বলিয়া ঘোষণা করিল ‘হে আমার সম্প্রদায়! মিসর রাজ্য কি আমার নহে? এই নদীগুলি আমার পাদদেশে প্রবাহিত, তোমরা ইহা দেখ না?
(৫৫) যখন উহারা আমাকে ক্রোধান্বিত করিল আমি উহাদিগকে শাস্তি দিলাম এবং নিমজ্জিত করিলাম উহাদিগের সকলকে।

সুরা দুখানের ২৪, ২৫, ২৯, ৪৫, ৪৬, ৪৮, ৫২ আয়াতে আল্লাহ বলেন
(২৪) সমুদ্রকে স্থির থাকিতে দাও, উহারা এমন এক বাহিনী যাহা নিমজ্জিত হইবে।
(২৫) উহারা পশ্চাতে রাখিয়া গিয়েছিল কত উদ্যান ও প্রস্রবণ।
(২৯) আকাশ এবং পৃথিবী কেহই উহাদিগের জন্যে অশ্রুপাত করে নাই এবং উহাদিগকে অবকাশও দেওয়া হয নাই।
(৪৫) গলিত তাম্রের মত, উহা উহার উদরে ফুটিতে থাকিবে।
(৪৬) ফুটন্ত পানির মত।
(৪৮) অতঃপর উহার মস্তকের উপর ফুটন্ত পানি ঢালিয়া শাস্তি দাও।
(৫২) উদ্যাণ ও ঝর্ণার মাঝে

সুরা জাছিয়া’র ৫, ১২ আয়াতে আল্লাহ বলেন
(৫)  নিদর্শন রহিয়াছে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য, রাত্রি ও দিবসের পরিবর্তনে আল্লাহ আকাশ হইতে যে বারিবর্ষণ দ্বারা ধরিত্রীকে তাহার মৃত্যুর পর পূনরুজ্জীবিত করেন তাহাতে এবং বায়ুর পরিবর্তনে।
(১২) আল্লাহই তো সমুদ্রকে তোমাদিগের কল্যাণে নিয়োজিত করিয়াছেন,যাহাতে তাঁহার আদেশে উহাতে নৌযানসমূহ চলাচল করিতে পারে এবং যাহাতে তোমারা তাঁহার অনুগ্রহ অনুসন্ধান করিতে পার ও তাঁহার প্রতি কৃতজ্ঞ হও।

সুরা আহকাফের ২৪ আয়াতে আল্লাহ বলেন ” অতঃপর যখন উহাদিগের উপত্যকার দিকে মেঘ আসিতে দেখিল তখন উহারা বলিতে লাগিল, ‘ উহা তো মেঘ, আমাদিগকে বৃষ্টি দান করিবে ‘ হুদ বলিল, ইহাই তো তাহা, যাহা তোমারা ত্বরান্বিত করিতে চাহিয়াছ, ইহাতে রহিয়াছে এক ঝড়-মর্মন্তদ শাস্তি বহনকারী।

সুরা মুহাম্মাদের ১২,১৫ আয়াতে আল্লাহ বলেন
(১২) যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে আল্লাহ তাহাদিগকে দাখিল করিবেন জান্নাতে যাহার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, কিন্তু যাহারা কুফরি করে, ভোগ-বিলাসে মগ্ন থাকে এবং জন্তু- জানোয়ারের মত উদর পূর্তি করে, তাহাদিগের নিবাস জাহান্নাম।
(১৫) মুত্তাকীদিগের যে জান্নাতের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হইয়াছে তাহার দৃষ্টান্ত, উহাতে আছে নির্মল পানির নহর, আছে দুধের নহর যাহার স্বাদ অপরিবর্তনীয়, আছে পানকারীদিগের জন্য সুস্বাদু সুরার নহর, আছে পরিশোধিত মধুর নহর এবং সেথায় উহাদিগের জন্য থাকিবে বিবিধ ফলমূল ও তাহাদিগের প্রতিপালকের ক্ষমা।মুত্তাকীরা কি তাহাদিগের ন্যায় যাহারা জাহান্নামে স্থায়ী হইবে এবং যাহাদিগকে পান করিতে দেওয়া হইবে ফুটন্ত পানি যাহা উহাদিগের নাড়িভুড়ি ছিন্ন-বিছিন্ন করিয়া দিবে?

সূরা ফাতহের ৫, ১৭ আয়াতে আল্লাহ বলেন
(৫) ইহা এই জন্য যে, তিনি মু’মিন পুরুষ ও মু’মিন নারীদিগকে দাখিল করিবেন জান্নাতে যাহার নিন্মদেশে নদী প্রবাহিত, যেথায় তাহারা স্থায়ী হইবে এবং তিনি তাহাদিগের পাপ মোচন করিবেন; ইহাই আল্লাহর দৃষ্টিতে মহাসাফল্য।
(১৭) অন্ধের জন্য, খঞ্জের জন্য, রুগ্নের জন্য কোন অপরাধ নাই ; এবং যে-কেহ আল্লাহ  ও তাঁহার রাসূলের আনুগত্য করিবে আল্লাহ তাহাকে দাখিল করিবেন জান্নাতে, যাহার নিন্মদেশে নদী প্রবাহিত; কিন্তু যে ব্যাক্তি পৃষ্ঠ প্রদর্শন করিবে তিনি তাহাকে মর্মন্তুদ শাস্তি দিবেন।

সূরা ‘কাফ’ এরের ৯,১১ আয়াতে আল্লাহ বলেন
(৯)  আকাশ হইতে আমি বর্ষণ করি কল্যাণকর বৃষ্টি এবং তদ্দ্বারা আমি সৃষ্টি করি উদ্যাণ ও পরিপক্ব শস্যরাজি।
(১১) আমার বান্দাদিগের জীবিকাস্বরূপ; বৃষ্টি দ্বারা আমি সঞ্জীবিত করি মৃত ভূমিকে; এইভাবে পুনরুত্থান ঘটিবে।

সূরা যারিয়াতের ১, ২, ৩, ১৫, ৪০, ৪১, ৪২, ৪৪ আয়াতে আল্লাহ বলেন
(১) শপথ ধূলিঞ্ঝার।
(২) শপথ বোঝাবহনকারী মেঘপুঞ্জের
(৩) শপথ স্বচ্ছগতি নৌযানের
(১৫) সে দিন মুত্তাকীরা থাকিবে প্রস্রবণবিশিষ্ট জান্নাতে।
(৪০) সুতরাং আমি তাহাকে ও তাহার দলবলকে শাস্তি দিলাম এবং উহাদিগকে সমুদ্রে নিক্ষেপ করিলাম, সে তো ছিল তিরস্কার-যোগ্য।
(৪১) এবং নিদর্শন রহিয়াছে ‘আদের ঘটনায়,যখন আমি তাহাদিগের বিরুদ্ধে প্রেরণ করিয়াছিলাম অকল্যাণকর বায়ু।
(৪২) ইহা যাহা কিছুর উপর দিয়া বহিয়া গিয়েছিল তাহাকেই চূর্ণ-বিচূর্ণ করিয়া দিয়াছিল।
(৪৪) কিন্তু উহারা উহাদিগের প্রতিপালকের আদেশ অমান্য করিল ; ফলে উহাদিগের প্রতি বজ্রাঘাত হইল এবং উহারা উহা দেখিতেছিল।
চলমান————-
(লেখক: সহকারী অধ্যাপক। চারবার জাতীয় পদক প্রাপ্ত এগ্রিকালচারাল ইম্পর্ট্যান্ট পারসন এআইপি)