পানি সম্পর্কিত কুরআনের আয়াত- শেষ পর্ব

।। মতিন সৈকত ।।
সূরা তূরের ৬, ১৯,২৩, ৪৪,৪৫ আয়াতে আল্লাহ বলেন
(৬) এবং শপথ উদ্বেলিত সমুদ্রের।
(১৯) তোমারা যাহা করিতে তাহার প্রতিফলস্বরুপ তোমরা তৃপ্তির সহিত পানাহার করিতে থাক।
(২৩) সেথায় তাহারা একে অপরের নিকট হইতে গ্রহণ করিবে পানপাত্র, যাহা হইতে পান করিলে কেহ অসার কথা বলিবে না এবং পাপ কর্মেও লিপ্ত হইবে না।
(৪৪) উহারা আকাশের কোন খন্ড ভাঙ্গিয়া পড়িতে দেখিলে বলিবে, ‘ইহা তো এক পূন্জিভূত মেঘ’।
(৪৫) উহাদিগকে উপেক্ষা করিয়া চল সেইদিন পর্যন্ত, যেদিন উহারা বজ্রাঘাতের সম্মুখীন হইবে।

সূরা কামারের ১১,১২,১৩, ১৯,২৮,৩১,৩৪,৫৪ আয়াতে আল্লাহ বলেন
(১১) ফলে আমি উন্মুক্ত করিয়া দিলাম আকাশের দ্বার প্রবল বারি বর্ষণে।
(১২) এবং মৃত্তিকা হইতে উৎসারিত করিলাম প্রস্রবণ; অতঃপর সকল পানি মিলিত হইল এক পরিকল্পনা অনুসারে।
(১৩) তখন নূহকে আরোহন করাইলাম কাষ্ঠ ও কীলক নির্মিত এক নৌযানে।
(১৯) উহাদিগের উপর আমি প্রেরণ করিয়াছিলাম ঝঞ্ঝাবায়ু নিরবচ্ছিন্ন দুর্ভাগ্যের দিনে।
(২৮) এবং উহাদিগকে জানাইয়া দাও যে, উহাদিগের মধ্যে পানি বন্টন নির্ধারিত এবং পানির অংশের জন্য প্রত্যেকে উপস্থিত হইবে পালাক্রমে।
(৩১) আমি উহাদিগকে আঘাত হানিয়াছিলাম এক মহানাদ দ্বারা ; ফলে, উহারা হইয়া গেল খোয়াড়-প্রস্তুতকারীর বিখন্ডিত শুস্ক শাখা-প্রশাখার ন্যায়।
(৩৪) আমি উহাদিগের উপর প্রেরণ করিয়াছিলাম প্রস্তর বহনকারী প্রচন্ড ঝটিকা, কিন্তু লূত পরিবারের উপর নহে ; তাহাদিগের আমি উদ্ধার করিয়াছিলাম রাত্রির শেষাংশে।
(৫৪) মুত্তাকীরা থাকিবে স্রোতস্বিনী বিধৌত জান্নাতে।

সূরা রাহমানের আয়াতে ১৯,২০,২২,২৪,৪৪,৫০,৫৮,৬৬,
আল্লাহ বলেন
(১৯) তিনি প্রবাহিত করেন দুই দরিয়া যাহারা পরস্পর মিলিত হয়।
(২০) কিন্তু উহাদিগের মধ্যে রহিয়াছে এক অন্তরাল যাহা উহারা অতিক্রম করিতে পারে না।
(২২) উভয় দরিয়া হইতে উৎপন্ন হয় মুক্তা ও প্রবাল।
(২৪) সমুদ্রে বিচরণশীল পর্বতপ্রমাণ অর্ণব -পোতসমূহ তাঁহারই নিয়ন্ত্রণাধীন।
(৪৪) উহারা জাহান্নামের অগ্নি ও ফুটন্ত পানির মধ্যে ছুটাছুটি করিবে?
(৫০)  উভয় উদ্যানে রহিয়াছে প্রবহমান দুই প্রস্রবণ;
(৫৮) তাহারা যেন প্রবাল ও পদ্মরাগ
(৬৬) উভয় উদ্যানে আছে উচ্ছলিত দুই প্রস্রবণ

সূরা ওয়াকি’আ’র ১৮,৩১, ৪২, ৫৪,৫৫,৬৮,৬৯,৭০,৯৩ আয়াতে আল্লাহ বলেন
(১৮) পানপাত্র, কুঁজা ও প্রস্রবণ-নিঃসৃত সুরাপূর্ণ পেয়ালা লইয়া।
(৩১) সদা প্রবহমান পানি
(৪২) উহারা থাকিবে অত্যুষ্ঞ বায়ু ও উত্তপ্ত পানিতে।
(৫৪) তারপর তোমারা পান করিবে অত্যুষ্ঞ পনি
(৫৫) কিয়ামতের দিন ইহাই হইবে উহাদিগের আপ্যায়ন।
(৬৮) তোমরাই কি উহা মেঘ হইতে নামাইয়া আন, না আমি উহা বর্ষণ করি?
(৬৯) তোমরাই কি উহা মেঘ হইতে নামাইয়া আন, না আমি উহা বর্ষণ করি?
(৭০) আমি ইচ্ছা করিলে উহা লবনাক্ত করিয়া দিতে পারি।  তবুও কেন তোমারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর না?
(৯৩) তবে রহিয়াছে আপ্যায়ন অত্যুষ্ঞ পানির দ্বারা।

সূরা হাদীদের ১২, ২০ আয়াতে আল্লাহ বলেন
(১২) সে দিন তুমি দেখিবে মু’মিন নর-নারীগণকে তাহাদিগের সম্মুখভাগে ও দক্ষিণ পার্শ্বে তাহাদিগের জ্যোতি প্রধাবিত হইবে। বলা হইবে ‘ আজ জান্নাতের, যাহার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, সেথায় তোমারা স্থায়ী হইবে,  ইহাই মহাসাফল্য।’
(২০) তোমারা জানিয়া রাখ, পার্থিব জীবন তো ক্রীড়া-কৌতুক, জাঁকজমক, পারস্পরিক শ্লাঘা, ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততিতে প্রাচুর্য লাভের প্রতিযোগিতা ব্যাতীত আর কিছু নয়; উহার উপমা বৃষ্টি, যদ্বারা উৎপন্ন শস্য-সম্ভার কৃষকদিগকে চমৎকৃত করে, অতঃপর উহা শুকাইয়া যায়, ফলে তুমি উহা পীতবর্ণ দেখিতে পাও, অবশেষে উহা খড়কুটায় পরিণত হয়। পরকালে রহিয়াছে কঠিন শাস্তি এবং আল্লাহর ক্ষমা ও সন্তুষ্টি। পার্থিব জীবন ছলনাময় ভোগ ব্যাতীত কিছুই নয়।

সূরা মুজাদালা’র ২২ আয়াতে আল্লাহ বলেন ” তুমি পাইবে না আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাসী এমন কোন সম্প্রদায়, যাহারা ভালোবাসে আল্লাহ ও তাঁহার রাসুলের বিরুদ্ধাচারিগণকে-হউক না এই বিরুদ্ধাচারীরা তাহাদিগের পিতা,পুত্র, ভ্রাতা অথবা ইহাদিগের জ্ঞাতি-গোত্র। ইহাদিগের অন্তরে আল্লাহ সুদৃঢ় করিয়াছেন ঈমান এবং তাহাদিগকে শক্তিশালী করিয়াছেন তাঁহার পক্ষ হইতে রূহ দ্বারা। তিনি ইহাদিগকে দাখিল করিবেন জান্নাতে, যাহার পাদদেশে নদী প্রবাহিত; সেথায় ইহারা স্থায়ী হইবে ; আল্লাহ উহাদিগের প্রতি প্রসন্ন এবং ইহারাও তাঁহাতে সন্তুষ্ট, ইহারাই আল্লাহর দল। জানিয়া রাখ,  আল্লাহর দলই সফলকাম। ”

সূরা সাফফের ১২ আয়াতে আল্লাহ বলেন ” আল্লাহ তোমাদিগের পাপ ক্ষমা করিয়া দিবেন এবং তোমাদিগকে দাখিল করিবেন জান্নাতে যাহার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, এবং স্থায়ী জান্নাতের উত্তম বাসগৃহ। ইহাই মহাসাফল্য।”

সূরা তাগাবুনের ৯ আয়াতে আল্লাহ বলেন ”  স্মরণ কর, যে দিন তিনি তোমাদিগকে সমবেত করিবেন সমাবেশ দিবসে সে দিন হইবে লাভ-লোকসানের দিন। যে ব্যাক্তি আল্লাহে বিশ্বাস করে  ও সৎকর্ম করে  তিনি তাহার পাপ মোচন করিবেন এবং তাহাকে দাখিল করিবেন জান্নাতে, যাহার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, সেথায় তাহারা হইবে চিরস্থায়ী। ইহাই মহাসাফল্য।”

সূরা তাহরীমের ৮ আয়াতে আল্লাহ বলেন ” হে মু’মিনগণ! তোমারা আল্লাহর নিকট তওবা কর- বিশুদ্ধ তওবা ; সম্ভবত তোমাদিগের প্রতিপালক তোমাদিগের মন্দকর্মগুলি মোচন করিয়া দিবেন এবং তোমাদিগকে দাখিল করিবেন জান্নাতে, যাহার পাদদেশে নদী প্রবাহিত। সেইদিন আল্লাহ নবী এবং তাহার মু’মিন সঙ্গীদিগকে অপদস্ত করিবেন না। তাহাদিগের জ্যোতি তাহাদিগের সম্মুখে ও দক্ষিণ পার্শ্বে ধাবিত হইবে,  তাহারা বলিবে, ‘ হে আমাদিগের প্রতিপালক! আমাদিগের জ্যোতিকে পূর্ণতা দান কর এবং আমাদিগকে ক্ষমা কর, তুমি সর্ব বিষয়ে সর্বশক্তিমান।”

সূরা তালাকের ১১ আয়াতে আল্লাহ বলেন ” প্রেরণ করিয়াছেন এমন এক রাসূল, যে তোমাদিগের নিকট আল্লাহর সুস্পষ্ট আয়াত আবৃত্তি করে, যাহারা মু’মিন ও সৎকর্মপারায়ণ তাহাদিগকে অন্ধকার হইতে আলোতে আনিবার জন্য।  যে -কেহ আল্লাহে বিশ্বাস করে ও সৎকর্ম করে তিনি তাহাকে দাখিল করিবেন জান্নাতে, যাহার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, সেথায় তাহারা চিরস্থায়ী হইবে ; আল্লাহ তাহাকে উত্তম জীবনোপকরণ দিবেন। ”

সুরা মুলক এর১৭,৩০ নাম্বারে আয়াতে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন
(১৭) অথবা তোমারা কি নিশ্চিত আছ যে, আকাশে যিনি রহিয়াছেন তিনি তোমাদিগের উপর কঙ্করবর্ষী ঝঞ্ঝা প্রেরণ করিবেন ন? তখন তোমারা জানিতে পারিবে কি রূপ ছিল আমার সতর্কবাণী!
( ৩০) ‘বল, তোমারা ভাবিয়া দেখিয়াছ কি?  যদি  পানি ভূগর্ভে তোমাদের নাগালের বাহিরে চলিয়া যায়, কে তোমাদিগকে আনিয়া দিবে প্রবহমান নদী’

সূরা হাককা’র ৬,৭,১১,২৪, আয়াতে আল্লাহ বলেন
(৬) আর ‘আদ সম্প্রদায়, ইহাদিগকে ধ্বংস করা হইয়াছিল এক প্রচন্ড ঝঞ্ঝাবায়ু দ্বারা।
(৭) যাহা তিনি উহাদিগের উপর প্রবাহিত করিয়াছিলেন সপ্তরাত্রি ও অষ্টদিবস বিরামহীনভাবে; তখন তুমি উক্ত সম্প্রদায়কে দেখিতে -উহারা সেথায় লুটাইয়া পড়িয়া আছে সারশূন্য বিক্ষিপ্ত খর্জূর কান্ডের ন্যায়।
(১১) যখন জলোচ্ছ্বাস হইয়াছিল তখন আমি তোমাদিগকে আরোহন করাইয়া ছিলাম নৌযানে।
(২৪) তাহাদিগকে বলা হইবে, ‘পানাহার কর তৃপ্তির সহিত,  তোমারা অতীত দিনে যাহা করিয়াছিলে তাহার বিনিময়ে। ‘

সৃরা নূহের ১১,১২,২৫  আয়াতে আল্লাহ বলেন

(১১) তিনি তোমাদিগের জন্য প্রচুর বৃষ্টিপাত করিবেন।
(১২) তিনি তোমাদিগকে সমৃদ্ধ করিবেন ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততিতে এবং তোমাদিগের জন্য স্থাপন করিবেন উদ্যান ও প্রবাহিত করিবেন নদী-নালা।
(২৫) উহাদিগের অপরাধের জন্য উহাদিগকে নিমজ্জিত করা হইয়াছিল এবং পরে উহাদিগকে দাখিল করা হইয়াছিল অগ্নিতে,অতঃপর উহারা কাহাকেও আল্লাহর মুকাবিলায় পায় নাই সাহায্যকারী।

সূরা জিন’ এর ১৬ আয়াতে আল্লাহ বলেন ” উহারা যদি সত্যপথে প্রতিষ্ঠিত থাকিত উহাদিগকে আমি প্রচুর বারি বর্ষণের মাধ্যমে সমৃদ্ধ করিতাম।

সূরা দাহর বা ইনসানের ৫,৬ ১৫,১৬,১৭,১৮,২১,
আয়াতে আল্লাহ বলেন
(৫) সৎকর্মশীলেরা পান করিবে এমন পানীয় যাহার মিশ্রণ কাফূর–
(৬) এমন একটি প্রস্রবণের যাহা হইতে আল্লাহর বান্দগণ পান করিবে, তাহারা এই প্রস্রবণকে যথা ইচ্ছা প্রবাহিত করিবে।
(১৫) তাহাদিগকে পরিবেশ করা হইবে রৌপ্যপাত্রে এবং স্ফটিকের মত স্বচ্ছ পান-পাত্রে-
(১৬) রজতশুভ্র স্ফটিক -পাত্র, পরিবেশনকারীরা যথাযথ পরিমাণে উহা পূর্ণ করিবে।
(১৭) সেথায় তাহাদিগকে পান করিতে দেওয়া হইবে যানজাবীল মিশ্রিত পানীয়,
(১৮) জান্নাতের এমন এক প্রস্রবণের যাহার নাম সালসাবীল।
(২১) তাহাদিগের আবরণ হইবে সুক্ষ্ম সবুজ রেশম ও স্থুল রেশম, তাহারা অলংকৃত হইবে রৌপ্য নির্মিত কংকনে, আর তাহাদিগের প্রতিপালক তাহাদিগকে পান করাইবেন বিশুদ্ধ পানীয়।

সূরা মুরসালাতের ১, ২, ৩, ৪, ২০, ২৭, ৪১, ৪২, ৪৩, ৪৬ আয়াতে আল্লাহ বলেন
(১) শপথ কল্যাণস্বরুপ প্রেরিত বায়ুর,
(২) আর প্রলয়ংকরী ঝটিকার,
(৩) শপথ সঞ্চালনকারী বায়ুর,
(৪) আর মেঘপুঞ্জ বিছিন্নকারী বায়ুর
(২০) আমি কি তোমাদিগকে তুচ্ছ পানি হইতে সৃষ্টি করি নাই?
(২৭) আমি উহাতে স্থাপন করিয়াছি সুদৃঢ় উচ্চ পর্বতমালা এবং তোমাদিগকে দিয়াছি সুপেয় পানি।
(৪১) মুত্তাকীরা থাকিবে ছায়ায় ও প্রস্রবণ বহুল স্থানে।
(৪২) তাহাদিগের বাঞ্ছিত ফলমূলের প্রাচুর্যের মধ্যে
(৪৩) তোমাদিগের কর্মের পুরস্কার স্বরূপ তোমারা তৃপ্তির সহিত পানাহার কর।
(৪৬) তোমরা পানাহার কর এবং ভোগ করিয়া লও অল্প কিছু দিন,  তোমরা তো অপরাধী।

সূরা নাবা’র ১৪, ১৫, ১৬, ২৪,২৫,৩৪ আয়াতে আল্লাহ বলেন
(১৪) এবং বর্ষণ করিয়াছি মেঘমালা হইতে প্রচুর বারি।
(১৫) তদ্বারা আমি উৎপাদন করি শস্য, উদ্ভিদ,
(১৬) ও ঘন-সন্নিবিশিষ্ট উদ্যান
(২৪) সেথায় উহারা আস্বাদন করিবে না শৈত্য, না কোন পানীয়–
(২৫) ফুটন্ত পানি ও পূঁজ ব্যাতীত
(৩৪) এবং পূর্ণ পান-পাত্র।

সূরা নাযি’য়াতের ৩১ আয়াতে আল্লাহ বলেন ” তিনি উহা হইতে বহির্গত করিয়াছেন উহার পানি ও তৃণ।

সূরা আবাসা’র ২৫, ২৬,২৭,২৮,২৯, ৩০,৩১,৩২ আয়াতে আল্লাহ বলেন
(২৫) আমি প্রচুর বারি বর্ষণ করি,
(২৬) অতঃপর আমি ভূমি প্রকৃষ্টরূপে বিদারিত করি:
(২৭) এবং উহাতে আমি উৎপন্ন করি শস্য ;
(২৮) দ্রাক্ষা, শাক-সবজি,
(২৯) যয়তুন, খর্জূর,
(৩০) বহুবৃক্ষ-বিশিষ্ট উদ্যান,
(৩১) ফল এবং গবাদির খাদ্য,
(৩২) ইহা তোমাদিগের ও তোমাদিগের আন’আমের ভোগের জন্য।

সূরা তাকবীরের ৬ আয়াতে আল্লাহ বলেন ” সমুদ্র যখন স্ফীত হইবে,

সূরা ইনফিতারের ৩ আয়াতে আল্লাহ বলেন” সমুদ্র যখন উদ্বেলিত হইবে,

সূরা মুতাফফিফীনের ২৫, ২৬,২৭, ২৮ আয়াতে আল্লাহ বলেন
(২৫) তাহাদিগকে মোহর করা বিশুদ্ধ পানীয় হইতে পান করান হইবে ;
(২৬) উহার মোহর মিসকের, এ বিষয়ে প্রতিযোগীরা প্রতিযোগিতা করুক।
(২৭) উহার মিশ্রণ হইবে তাসনীমের,
(২৮) ইহা একটি প্রস্রবণ, যাহা হইতে সান্নিধ্যপ্রাপ্তরা পান করে।

সূরা বুরুজের ১১ আয়াতে আল্লাহ বলেন “যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তাহাদিগের জন্য আছে জান্নাত, যাহার পাদদেশে নদী প্রবাহিত; ইহাই মহাসাফল্য।

সূরা তারিকের ৬, ১১, ১২ আয়াতে আল্লাহ বলেন
৬) তাহাকে সৃষ্টি করা হইয়াছে সবেগে স্খলিত পানি হইতে।
(১১) শপথ আসমানের, যাহা ধারণ করে বৃষ্টি।
(১২) এবং শপথ যমীনের, যাহা বিদীর্ণ হয়।

সূরা গাশিয়া’র ৫,১২,১৪ আয়াতে আল্লাহ বলেন
(৫) উহাদিগকে অত্যুষ্ঞ প্রস্রবণ হইতে পান করান হইবে।
(১২) সেথায় থাকিবে বহমান প্রস্রবণ।
(১৪) প্রস্তুত থাকিবে পান-পাত্র।

সূরা শামসের ১৩ আয়াতে আল্লাহ বলেন ” তখন আল্লাহর রাসূল উহাদিগকে বলিল, ‘ আল্লাহর উষ্ট্রী ও উহাকে পানি পান করাইবার বিষয়ে সাবধান হও’।”

সূরা বায়্যিনা’ ৫ আয়াতে আল্লাহ বলেন ” তাহাদিগের প্রতিপালকের নিকট আছে তাহাদিগের পুরস্কার -স্থায়ী জান্নাত,  যাহার নিন্মদেশে নদী প্রবাহিত, সেথায় তাহারা চিরস্থায়ী হইবে ; আল্লাহ তাহাদিগের প্রতি প্রসন্ন এবং তাহারাও তাঁহাতে সন্তুষ্ট ; ইহা তাহার জন্য, যে তাহার প্রতিপালককে ভয় করে।
সূরা কাওসারের ১ আয়াতে আল্লাহ বলেন ” আমি অবশ্যই তোমাকে কাওসার দান করিয়াছি।”

————————————————————
(লেখক, সহকারী অধ্যাপক, এগ্রিকালচারাল ইম্পর্ট্যান্ট পারসন এআইপি,
জাতীয় পরিবেশ পদকসহ দুইবার জাতীয় কৃষি পদক প্রাপ্ত।  

matinsaikot 507@gmil.com, 01818-866522)