‘পূজায় বিশৃঙ্খলাকারী কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না’
হাসিবুল ইসলাম সজিব।।
বরুড়ায় দূর্গা পূজাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধরনের গুজব, উস্কানিমূলক কার্যকলাপ, পূজার মন্ডপকে কেন্দ্র অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরিসহ কিশোর গ্যাং সদস্যদের দ্বারা কোন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন কুমিল্লা সেনানিবাসের ২৩বীর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ মাহমুদুল হাসান ।
বরুড়া উপজেলায় আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আইন শৃঙ্খলার প্রস্তুতি মূলক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
৬ অক্টোবর রোববার উপজেলা অডিটোরিয়ামে এ প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নু এমং মারমা মং এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা সেনানিবাসের ২৩বীর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ মাহমুদুল হাসান ।
মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন,
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আহমেদ হাছান, ক্যাপ্টেন মোঃ বোরহান উদ্দিন, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তদন্ত মমিরুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মহিবুস ছালাম, পল্লী বিদ্যুৎ এর ডিজিএম মোঃ জালাল উদ্দীন, উপজেলা আনসার কর্মকর্তা সেলিনা আক্তার, সাবেক বরুড়া পৌর মেয়র জসিম উদ্দিন পাটোয়ারী, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ জহিরুল হক স্বপন, সহ সভাপতি সৈয়দ রেজাউল হক রেজু, জামায়াতে ইসলামী বরুড়ার আমীর মাওলানা মোঃ শাহাদাৎ হোসেন, পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ডাঃ তপন কুমার ভৌমিক, সাধারণ সম্পাদক মাস্টার তপন বনিক, বরুড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইলিয়াছ আহমদ, ওরাই আপনজন সামাজিক সংগঠন সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফারুকুল ইসলাম, রক্ত ঋণের সভাপতি মোঃ শরিফ উদ্দিন, মানবসেবা সংগঠনের সভাপতি মুফতি মোঃ মমিন উল্লাহ, বরুড়া মাদক প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি সাংবাদিক মোঃ ওমর ফারুক, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি সাংবাদিক মোঃ ইকরামুল হক, সাংবাদিক জসিম উদ্দিন খোকন, সাংবাদিক সলিল রঞ্জন বিশ্বাস, উপজেলা ছাত্র দলের আহবায়ক মোঃ মোস্তাকিন পাটোয়ারী, পৌরসভা ছাত্র দলের আহবায়ক মোঃ পাভেল হোসেন এবং বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ মাহমুদুল হাসান আরো বলেন,সেনাবাহিনী, পুলিশ, আনসার ও শিক্ষার্থীরা, সামাজিক সংগঠনের দায়িত্বশীলরা শারদীয় দূর্গাপুজা শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার লক্ষে সজাগ দৃষ্টি রাখবে। আজান ও নামাজের সময় পূজার গান বাজনা ও সাউন্ড বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধ করেন। ইসলামি ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাকে সকল মসজিদে একই সময় আজান ও নামাজ আদায় করার জন্য অনুরোধ করেন। সিসি ক্যামেরা ও জেনারেটর পুজা মন্ডপের রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং যে পূজা মন্ডপে সিসি টিভি এবং জেনারেটর থাকবে না সে মন্ডপ নিরাপত্তার স্বার্থে বন্ধ ঘোষণা করা হবে ।