যুবলীগ কর্মী জিলানী হত্যা মামলার ১৪ আসামির জামিন
আমোদ প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার যুবলীগ কর্মী জিল্লুর রহমান চৌধুরী ওরফে গোলাম জিলানী হত্যা মামলার ১৪ জন আসামি উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন পেয়েছেন। বুধবার রাতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই, কুমিল্লার পুলিশ পরিদর্শক বিপুল চন্দ্র দেবনাথ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এনিয়ে আতংকিত নিহতের পরিবার।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ১১ নভেম্বর নগরীর চৌয়ারা এলাকায় যুবলীগ কর্মী জিল্লুর রহমান চৌধুরীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী। ঘটনার পরদিন তাঁর ভাই ইমরান হোসেন চৌধুরী সদর দক্ষিণ থানায় ২৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০/১৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আলোচিত এ মামলাটি প্রথমে তদন্ত করে সদর দক্ষিণ থানা পুলিশ। সর্বশেষ গত ১ ডিসেম্বর মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই, কুমিল্লা। এ মামলায় এখন পর্যন্ত দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও পিবিআই।
পিবিআই কুমিল্লা সূত্র জানায়, উচ্চ আদালতে আগাম জামিন পাওয়া ওই আসামিরা হলেন- সদর দক্ষিণ থানার শ্রীবল্লভপুর গ্রামের খোকন মিয়ার ছেলে মেহেদী হাসান, চৌয়ারা গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে নাছিম, ছাদেকের ছেলে মারুফ হোসেন, আবদুল লতিফের ছেলে হানিফ মিয়া, মমতাজ উদ্দিনের ছেলে সেলিম মিয়া, সেলিম মিয়ার ছেলে সাকিব, রায়পুর গ্রামের রুক মিয়ার ছেলে ইমরান, সাইফুল ইসলাম, ফরিদ খানের ছেলে মোনায়েম খান, ধনাইতরী গ্রামের আবদুর রহিমের ছেলে আবদুল মান্নান, গোয়ালমথন গ্রামের ওসমান মিয়ার ছেলে তুষার, বিদেণ চন্দ্র সাহার ছেলে পলাশ সাহা, উলুরচর গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে মাবুলসহ ১৪ জন।
বুধবার সন্ধ্যায় মামলার বাদী ইমরান হোসেন চৌধুরী বলেন, আসামিরা সকলেই ভয়ংকর। আর যারা জামিন পেয়েছে তাদের নেতারা এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। জামিন পেয়ে আসামিরা এলাকায় এসে নিজেদের সংগঠিত করতে শুরু করেছে। তাদের কাছে কেউ-ই নিরাপদ নয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত গোয়ালমথন গ্রামের ওসমান মিয়ার ছেলে আসামি তুষারের বাড়িতে প্রায় ১২টি মোটরসাইকেলে করে অন্তত ২০/২২ জন লোক এসে মিটিং করেছে। তারা যে কোন সময় আমাকেও মেরে ফেলতে পারে। আমার পুরো পরিবার এখন আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। আমরা মামলার প্রধান আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ওই আসামিরা কয়েক ভাগে উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছেন। জামিনের কাগজপত্র আমাদের কাছে পাঠিয়েছে তারা। অপর আসামিদের আমরা গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।