সনাক কুমিল্লার উদ্যোগে “করোনাকালীন প্রাথমিক শিক্ষা: চ্যালেঞ্জ ও করণীয়” শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা

 

inside post

“ করোনাকালীন সময়ে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা নিশ্চিত করার প্রত্যয়” ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর অনুপ্রেরণায় গঠিত সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) কুমিল্লার উদ্যোগে আজ ২১ ডিসেম্বর ২০২০ সকাল ১১ টায় সনাক কুমিল্লার সভাপতি বদরুল হুদা জেনু’র সভাপতিত্বে “করোনাকালীন প্রাথমিক শিক্ষা: চ্যালেঞ্জ ও করণীয়” শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। কুমিল্লা সনাকের শিক্ষা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য আইরিন মুক্তা অধিকারী এর স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত সভায় মো: দেলোয়ার হোসেন মজুমদার, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, আদর্শ সদর উপজেলা কুমিল্লা প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন। সভায় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা করোনাকালীন সংকট মোকাবেলায় উপজেলা শিক্ষা কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ, বাস্তবায়ন এবং চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে সভাকে অবহিত করেন।

“করোনাকালীন প্রাথমিক শিক্ষা: চ্যালেঞ্জ ও করণীয়” শীর্ষক মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে টিআইবি’র কুমিল্লা ক্লাস্টারের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো: হুমায়ুন কবীর বলেন প্রাথমিক শিক্ষার মান বজায় রাখা জন্য শিক্ষকরা এই মহামারীর সময়েও সামনে থেকে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে, সেজন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন ইতিমধ্যে ক্লাস্টার ভিত্তিক সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাথে অনলাইন যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। এছাড়াও তাদের বার্ষিক মূল্যায়নও মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ১ জানুয়ারী শিক্ষার্থীদের কাছে বই পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আলোচনায় আরো যুক্ত ছিলেন সনাক সদস্য রোকেয়া বেগম শেফালী ও নিখিল রায়, স্বজন সদস্য নাজমা আক্তার, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো: জহিরুল ইসলাম, মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন আহমেদ, লিপিকা রানী পোদ্দার, খন্দকার উন্মে সালমা, আয়েশা আক্তার, প্রধান শিক্ষক শামছুনাহার, প্রমুখ।

সার্বিক আলোচনার প্রেক্ষিতে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, ইতিমধ্যে ডিজিটাল বিভিন্ন মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে। শিক্ষকরা ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহারে মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাঝে নিয়মিত শিক্ষা প্রদান অব্যাহত রেখেছে। বর্তমানে উপবৃত্তির অর্থ বন্টনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা নিশ্চিত করার জন্য মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে শিওর ক্যাশ থেকে নগদে স্থানান্তর করা হয়েছে। তিনি বলেন, এই করোনা মহামারী আমাদেরকে ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করার মাধ্যমে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত করতে বিরাট ভূমিকা রেখেছে, যদিও এই ক্ষেত্রে অনেককে সমস্যার সন্মুখিন হতে হয়েছে। তিনি করোনাকালীন সময়ে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করা হচ্ছে। অতিমারীর সময়ে ভার্চুয়াল এই সভা আয়োজনের জন্য সনাক কুমিল্লাকে ধন্যবাদ জানান। সভায় কুমিল্লার বিভিন্ন কলেজ বিশ^বিদ্যালয়ের ৫ জন শিক্ষার্থী ইয়েস ও ইয়েস ফ্রেন্ডস্ বন্ধু এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করেন কুমিল্লার এরিয়া ম্যানেজার প্রবীর কুমার দত্ত।

— সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

আরো পড়ুন