৬৬০ ওসিকে সাবধান করে দিলেন আইজিপি
আমোদ ডেস্ক।।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, অবৈধ অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে বিলাসী জীবনযাপনের স্থান পুলিশের চাকরি নয়। দুর্নীতিবাজরা পুলিশে থাকতে পারবে না। বড়লোক হতে চাইলে তারা পুলিশের চাকরি ছেড়ে দিয়ে ব্যবসা করুক।
বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) দেশের ৬৬০টি থানার সকল অফিসার ইনচার্জদের (ওসি) সঙ্গে একযোগে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভা করেছেন। কনফারেন্সে আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ ওসিদেরকে যেকোনো প্রকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার কঠোর অবস্থানের কথা ব্যক্ত করেন।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত প্রায় ৩ ঘণ্টাব্যাপী চলে এই ভিডিও কনফারেন্স।
আইজিপি বলেন, আপনারা নিজে অবৈধ উপায়ে কোন অর্থ উপার্জন করবেন না, অন্য কাউকে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জনের সুযোগও করে দিবেন না। তিনি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে ঘোষণা করেন, কোনো ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাও আপনাদের কাছে ঘুষ বা মাশোয়ারা চাইলে তা আমাকে নির্ভয়ে জানান। আমি ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিষয়টি ব্যক্তিগতভাবে দেখবো।
বর্তমানে করোনায় পুলিশের অনন্য ভূমিকার কথা উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, গত তিন মাসে পুলিশ জনগণের সাথে থেকে জনগণের কল্যাণ ও সুরক্ষার জন্য যা করেছে তা সত্যিই অভূতপূর্ব। জনগণ পুলিশকে এর প্রতিদানও দিয়েছে। পুলিশ মানুষের অগাধ বিশ্বাস, সম্মান ও আস্থা অর্জন করেছে। মানুষ পুলিশকে তাদের হৃদয়ের মণিকোঠায় স্থান দিয়েছে। যে মর্যাদা, যে সম্মান মানুষ পুলিশকে দিয়েছে তা টাকা দিয়ে কেনা যায় না।
বাংলাদেশ পুলিশ গত তিন মাসে যেখানে গিয়েছে সেখান থেকে আর পেছনে ফিরে যাবে না। জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস নিয়ে জনগণের পুলিশ হয়ে বাংলাদেশ পুলিশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।
আইজিপি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একান্ত ইচ্ছা ও অনুপ্রেরণায় বাংলাদেশকে দুর্নীতি ও মাদকমুক্ত করতে কাজ করছি আমরা সবাই। সবার আগে বাংলাদেশ পুলিশ হবে দুর্নীতিমুক্ত, মাদকমুক্ত। দুর্নীতি ও মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান ‘জিরো টলারেন্স’। পুলিশের কোনো সদস্য মাদক গ্রহণ করবে না, মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত হবে না, মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে সম্পর্ক রাখবে না। পুলিশকে হতে হবে মাদকমুক্ত।
তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশকে ‘মাদকমুক্ত’ করতে চাই।
আইজিপি বলেন, ৬ শ’ ৬০ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হলো বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিচ্ছবি। আপনাদের ওপরই বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি নির্ভর করে। আপনাদেরকে এমনভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে যাতে জনগণ আপনাদের উপর আস্থা রাখতে পারে এবং আপনাদের প্রত্যেককে একজন ‘সোশ্যাল লিডার’ হিসেবে সম্মান করে।