পরিবারের ভোট না পেয়ে সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা! 

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
মানিকুর রহমান মানিক। পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সাধারণ সদস্য (মেম্বার) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পেয়েছেন মাত্র তিন ভোট! অথচ বাবা-মা-ভাই-স্ত্রীসহ নিজের পরিবারেই ছয়জন ভোটার। পরিবারের সকল সদস্যদের ভোট না পেয়ে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছেন পরাজিত প্রার্থী মানিকুর রহমান মানিক। এমনটি ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নে।
বুধবার (০৫ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড থেকে সাধারণ সদস্য (মেম্বার) পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন ওই ইউনিয়নের বিজেশ্বর গ্রামের বাসিন্দা মানিকুর রহমান মানিক। মাত্র তিন ভোট পেয়ে তাঁর জামানতও হয়েছে বাজেয়াপ্ত।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রামরাইল ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড থেকে সাধারণ সদস্য (মেম্বার) পদে মোট সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। এই ওয়ার্ডের মোট ভোটার সংখ্যা দুই হাজার ৮৬ জন। তন্মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন এক হাজার ৪২৮ জন। প্রদত্ত ভোটে আপেল প্রতীকে মানিকুর রহমান মানিক পেয়েছেন মাত্র তিন ভোট। তবে তার পরিবারের সদস্যদের মধ্যেই ভোটার রয়েছেন ছয়জন। এছাড়া নির্বাচনে ঘুড়ি প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মানিকের চাচা আতিকুর রহমান পেয়েছেন ২০৮ ভোট। সিলিং ফ্যান প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী লুক্কু মিয়া ৪৫১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। ভোটে হেরেই ক্ষুব্ধ হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেন মানিকুর রহমান মানিক।
নির্বাচনে পরাজিত হয়ে পরিবারের সাথে সম্পর্ক বিচ্ছিন্নের ঘোষণা প্রদানকারী মানিকুর রহমান মানিক জানান, ‘বাবা ও দুই ভাই আমাকে ভোট দেননি। তবে আমার মা এবং স্ত্রী আমাকে ভোট দিয়েছেন। এমনকি ভোট কেন্দ্রে দায়িত্বরত আমার পোলিং এজেন্টরাও আমাকে ভোট দেননি৷ তাই আমি এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি।’ মানিকের চাচা ও আরেক পরাজিত প্রার্থী আতিকুর রহমান বলেন, ‘মানিক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় আমার ভোট ব্যাংক দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে তার প্রতি আমার কোনো ক্ষোভ নেই।’