ময়নামতি জাদুঘরে নতুন আকর্ষণ মোগলদের তলোয়ার!
আরো পড়ুন:
আবদুল্লাহ আল মারুফ ।।
এবারের ঈদে নতুন আকর্ষণ নিয়ে এসেছে ময়নামতি জাদুঘর। দীর্ঘদিন অপ্রদর্শিত মোগলদের তরবারি জোড়া প্রদর্শন করেছে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ।
ময়নামতি জাদুঘর কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, দেশের অন্যতম সমৃদ্ধ এই জাদুঘরে রয়েছে প্রাচীনকালের ভূমি-নকশা, ধাতব লিপিফলক, প্রাচীন মুদ্রা, মাটির মুদ্রক-মুদ্রিকা, পোড়ামাটির চিত্রফলক, ব্রোঞ্জের মূর্তি, পাথরের মূর্তি লোহার পেরেক, পাথরের মূর্তি, গুটিকা, গহনা, গৃহস্থালী দ্রব্যাদিসহ প্রদর্শিত প্রায় ৭০০ প্রত্নবস্তু। তবে এবছর নতুন করে যুক্ত হলো পুরোনো তলোয়ার জোড়া।
এবারের ঈদে নতুন আকর্ষণ নিয়ে এসেছে ময়নামতি জাদুঘর। দীর্ঘদিন অপ্রদর্শিত মোগলদের তরবারি জোড়া প্রদর্শন করেছে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ।
ময়নামতি জাদুঘর কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, দেশের অন্যতম সমৃদ্ধ এই জাদুঘরে রয়েছে প্রাচীনকালের ভূমি-নকশা, ধাতব লিপিফলক, প্রাচীন মুদ্রা, মাটির মুদ্রক-মুদ্রিকা, পোড়ামাটির চিত্রফলক, ব্রোঞ্জের মূর্তি, পাথরের মূর্তি লোহার পেরেক, পাথরের মূর্তি, গুটিকা, গহনা, গৃহস্থালী দ্রব্যাদিসহ প্রদর্শিত প্রায় ৭০০ প্রত্নবস্তু। তবে এবছর নতুন করে যুক্ত হলো পুরোনো তলোয়ার জোড়া।
জাদুঘর সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের লক্ষ্মীপুর জেলা থেকে এই তলোয়ার জোড়া পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, আনুমানিক ১৮-১৯ শতাব্দীতে এই তলোয়ার তৈরি করা হয়েছে। যা মোগলদের শেষ সময়ে ব্যবহৃত হতে পারে।
জানা গেছে, গত দুই বছর পূর্বে কুমিল্লার ময়নামতি জাদুঘরে তলোয়ার জোড়া পাঠানো হয় লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদ থেকে। এতে এর ইতিহাস বা বিস্তারিত তথ্য না থাকায় এটির রাসায়নিক পরীক্ষা ও গঠনগত পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা নিরীক্ষা ও বিভিন্ন বিষয় পর্যালোচনা করে ধারণা করা হয় এটি মোগল শেষ আমলের ব্যবহৃত তলোয়ার। আকৃতিও তেমনই যা মোগলরা ব্যবহার করতো। এছাড়া এটি তৈরির উপকরণ ও সৃষ্টির সময়সীমাও তাই।
জাদুঘরের কাস্টডিয়ান শাহীন আলম বলেন, তলোয়ার জোড়া অপ্রদর্শিত ছিল। গত ১৩ জুন আমরা তা প্রদর্শন করেছি। এর আগে এই জাদুঘরে এমন কিছু প্রদর্শিত হয়নি। আমাদের ধারণা এই তলোয়ার জোড়া মোগলদের ব্যবহৃত। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ঈদের আগের দিন আর ঈদের দিন জাদুঘর বন্ধ। এরপরেই জাদুঘরে এসে তলোয়ার জোড়া দেখা যাবে।
তিনি বলেন, আমরা ধারণা করছি যেহেতু এই অঞ্চলের জন্য এটি ভিন্ন প্রত্নবস্তু তাই এর আকর্ষণও ভিন্ন। বেশি দর্শনার্থী আসলে বেশি পরিমাণে রাজস্ব পাবে সরকার।
তিনি বলেন, আমরা ধারণা করছি যেহেতু এই অঞ্চলের জন্য এটি ভিন্ন প্রত্নবস্তু তাই এর আকর্ষণও ভিন্ন। বেশি দর্শনার্থী আসলে বেশি পরিমাণে রাজস্ব পাবে সরকার।