‘লেনদেনের দিন দেশেও নেই, চেক ডিজঅনারের মামলায় ফেঁসে গেছি’
আরো পড়ুন:
অফিস রিপোর্টার।।
লেনদেনের দিন দেশেও নেই, অথচ চেক ডিজনারের মিথ্যা মামলায় ফেঁসে আছেন বলে জানিয়েছেন নেছার আহমেদ তুষার নামের এক ব্যক্তি। তুষার কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার মুদাফরগঞ্জ এলাকার নগরীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। বয়স ৪০। পেশায় ব্যবসায়ী। এর আগে ছিলেন প্রবাসী।
তুষার বলেন, আমার সাবেক স্ত্রী নাজমার সাথে একজনের পরকীয়া প্রেমের কথা জানাজানি হলে আমি তাকে ডিভোর্স দিয়ে দিই। ডিভোর্স দেয়ার আগে পারিবারিক খরচপাতির জন্য তাকে বিশ্বাস করে আমার এক্সিম ব্যাংক একাউন্টের চেক বই ও যাবতীয় কাগজপত্র দিয়ে যাই। ডিভোর্স হওয়ার ১ মাস আগে তার ভাই ওয়ালি উল্লাহ্ ওই চেক বইয়ের পাতাটি দিয়ে আমার বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনারের মিথ্যা মামলা করেন। যেন তাকে আমি তার বোনকে ডিভোর্স না দিতে পারি। সে ওই চেক বইতে টাকার অংক ২২ লাখ লিখে বিজরা কৃষি ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে যায়। কিন্তু আমার সাবেক স্ত্রী নাজমার ভাইয়ের সাথে আজও আমার কোন প্রকার লেনদেন হয়নি। আর ২২ লাখ টাকা তো অসম্ভব কথা। সে আমাকে মিথ্যা অপবাদে ফাঁসাতে চাচ্ছে যার প্রমাণ আমার কাছে আছে।
তিনি আরও বলেন, লেনদেনের দিন আমি দেশেও নেই, অথচ চেক ডিজনারের মিথ্যা মামলায় ফেঁসে আছি দুই বছর। আমার সুখের সংসার শেষ করেছে তারা। আমার কলিজার টুকরা মেয়েরেও নিল। তারপর এই মিথ্যা মামলা। সে মামলার এজাহারে লিখেছে, আমি ২৮ জুন ২০১৯ সালে তার কাছ থেকে নগদ টাকা নিয়েছি। অথচ আমি সে সময় দেশেই ছিলাম না। আমার পাসপোর্টে দেশে আসার তারিখ ও যাওয়ার তারিখ দেয়া আছে। সেই তারিখে আমি দেশের বাইরে থেকে কীভাবে তার কাছ থেকে ২২ লাখ টাকা নিলাম।
তুষার বলেন, ওয়ালি উল্লাহ্র কাজই এটা। সে মানুষের নামে মিথ্যা মামলা করে টাকা দাবি করে। মানুষকে বিদেশে নিবে বলে টাকা নেয়। পরে সেই টাকা আর ফিরিয়ে দেয় না। তার বিরুদ্ধে লালমাই, চাঁদপুর ও লাকসাম থানায় একাধিক প্রতারণার মামলা রয়েছে। আমিও তার মিথ্যা মামলার কাছে এক প্রকার জিম্মি হয়ে আছি। আমি এটার বিচার চাই প্রশাসনের কাছে।
এই বিষয়ে মামলার বাদী ও তুষারের সাবেক স্ত্রী নাজমার ভাই ওয়ালি উল্লাহ্ সুমন মুঠফোনে বলেন, আমার বোনের সাথে তার কি হয়েছে, তা আমার জানার দরকার নাই। আমি কিচ্ছু বুঝি না। আমি আদালতের রায় মানি। আদালত টাকা দিলে পামু নাইলে পাইতাম না। আমার কোন সমস্যা নাই।
তিনি আরও বলেন, আমি বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছি চার-পাঁচ লাখ টাকায় সে সমঝোতা করতে চায়। কিন্তু তুষার আমাকে আজও সরাসরি কিছুই বলেনি। সে যদি চায় আমি ২২ লাখ টাকার লেনদেন ৫ লাখ টাকায় সমঝোতা করতে পারি। কিন্তু সে তো আমার সাথে কথাই বলে না।
এই বিষয়ে সাবেক স্ত্রী নাজমা আক্তারকে কল দেয়ার পর সাংবাদিক পরিচয় দিলে তিনি কল কেটে দেন। পরে একাধিবার কল দেয়ার পরও তিনি কল রিসিভ করেননি।