সাইবার অ্যাক্টের অপব্যাখ্যা করা হচ্ছে : আইনমন্ত্রী

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।
প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে উত্থাপিত প্রশ্নগুলো সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের অপব্যাখ্যা বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। শুক্রবার  ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদানের প্রাককালে সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে মন্ত্রী এই মন্তব্য করেন।
আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারকে নির্মমভাবে হত্যা করার পর বাংলাদেশের স্বাধীনতার চাকা উল্টা দিকে ঘুরানোর চেষ্টা করা হয়েছিলো। খুনি রাজাকার নিয়ে জিয়াউর রহমান সরকার গঠন করেছিলো। জিয়াউর রহমান বাংলাদেশকে ধ্বংস করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। জিয়াকে হত্যা করার পর এরশাদও ঠিক তাই করার চেষ্টা করেছিলো। বঙ্গবন্ধুকে যারা খুন করেছিল তাদেরকে জিয়াউর রহমান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চাকরি দিয়ে রাষ্ট্রদূত বানিয়ে দিয়েছিলো। আর এরশাদ যখন ক্ষমতায় আসে তখন এই খুনিদেরকে ফ্রিডম পার্টি করতে দিয়ে রাষ্ট্রপতির নির্বাচন যাতে বৈধ হয় সেজন্য তাদেরকে প্রার্থী হতে অনুমতি দিয়েছিলো।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া একজন খুনিকে বিরোধী দলের নেতা বানিয়ে দিয়েছিল। বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হয় আমরা মুক্তিযুদ্ধে লিপ্ত। কিছু কিছু দেশের রাষ্ট্র প্রধানরা বলা শুরু করেছিলো এই বাংলাদেশ তলা বিহীন ঝুড়ি।এই দেশ কোনো স্বাধীন দেশ হতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ক্ষমতায় আসেন তখন তিনি প্রমাণ দিয়েছেন বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়ি নয়। এখন বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। মন্ত্রী আরো বলেন, বিএনপি জামাত আবারো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আপনারা ইতিহাস দেখলে দেখবেন তারা কোনোদিন কিন্তু সামনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসেনাই। সবসময় পিছনের দরজা দিয়ে আসছে। ভোট চুরি করেছে। মানুষকে ভোট দিতে দেইনাই, আর ক্ষমতায় বসে তারপর তারা দল সৃষ্টি করছে।
আখাউড়া উপজেলার হীরাপুর শহীদ নোয়াব মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মজনু মিয়ার সভাপতিত্বে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পদক তাকজিল খলিফা কাজলসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টে টেকনিক্যাল অপরাধ, হ্যাকিং এর জন্য বা কম্পিউটারের ভেতরে ঢুকে যদি কেউ কোনো কিছু নষ্ট করে সেইজন্য ১৪ বছরের সাজার বিধান রাখা হয়েছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে যেসব ধারা নিয়ে সাংবাদিক মহলের আপত্তি ছিলো এ গুলোর আমূল পরিবর্তন করা হয়েছে। সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টে আমলযোগ্য অপরাধের মাত্র চারটি ধারা রয়েছে। আমলযোগ্য অপরাধ ছাড়া বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার করার সুযোগ কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নেই। সাইবার সিকিউরিটি আইন নিয়ে যেসব প্রশ্ন উত্থাপন করা হচ্ছে এগুলো সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের অপব্যাখ্যা।