‘অধিক ফলনশীল জাতের ধান চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করতে হবে’

প্রতিনিধি।।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক কৃষিবিদ মো. তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী বলেন, বাংলাদেশের অন্যতম খাবার হলো ভাত। তাই ধান উৎপাদনের ক্ষেত্রে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। বিশেষ করে
আমন ধান উৎপাদনে গুরুত্বের সাথে নজর দিতে হবে। স্বল্পজীবনকালীন ফসলের চাষ বাস্তবায়ন করে ধান ও সরিষার চাষ বৃদ্ধি করতে হবে। সরিষার চাষ বৃদ্ধি পেলে ভোজ্য তেলের আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে দেশের মানুষকে নিরোগ রাখা সম্ভব হবে। আগামী বোরো মৌসুমের জন্য ৪০ হাজার হেক্টর জমির লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে বৃদ্ধি করা হয়েছে। পুরোনো জাত যেমন ব্রি ধান২৮ এবং ব্রি ধান২৯ চাষ করলে বিভিন্ন রোগ ও পোকা মাকেড়ের আক্রমণ বেশি হয়। এসব জাতের পরিবর্তে পুষ্টি সমৃদ্ধ এবং অধিক ফলনশীল জাত বিনাধান-২৫, ব্রি ধান৯৬, ব্রি ধান১০৫ চাষ করার জন্য কৃষকদের উৎসাহিত করতে হবে। কৃষক তার কৃষি পণ্য বিক্রি করে লাভবান হলে প্রতি বছরই আগ্রহের সাথে বিভিন্ন ফসলের চাষ করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের আত্মসামাজিক সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে।
ডিএই কুমিল্লা অঞ্চলের ব্যবস্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ধান, গম ও পাট বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের (১ম সংশোধিত) আর্থিক সহযোগিতায় আয়োজিত আঞ্চলিক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শনিবার বিনা উপকেন্দ্র কুমিল্লার সম্মেলন কক্ষে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি আরো বলেন,সরকারের টেকসই পরিকল্পনার ফলে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ হয়েছে। এর মাধ্যমে বর্তমানে পুরো দেশে ২০-২৫% জমিতে কম্বাইন হারভেস্টার দিয়ে ধান কাটা হয়। যার কারণে কৃষকের উৎপাদন খরচ অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমাদের কৃষি কার্যক্রমকেও স্মার্ট করতে হবে।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন, ডিএই, ক্রপ্স উইংয়ের পরিচালক ড. মোহিত কুমার দে। প্রকল্পের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, উপপ্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ মো. রেজাউল করিম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ডিএই কুমিল্লার উপপরিচালক কৃষিবিদ আইউব মাহমুদ, হর্টিকালচার সেন্টার কুমিল্লার উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. আমজাদ হোসেন, ডিএই কুমিল্লা অঞ্চলের সংস্থাপন ও উন্নয়ন শাখার উপপরিচালক কৃষিবিদ শাহনাজ রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, প্রকল্পের মনিটরিং অফিসার ড. মো. আমানুল ইসলাম।