আখাউড়া স্থলবন্দরে ১ মাসের জন্য ভারতে মাছ রপ্তানি বন্ধ
মো. ফজলে রাব্বি, আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)।।
দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ রপ্তানিমুখী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে এক মাসের জন্য ভারতে মাছ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করেছেন দেশটির কেন্দ্রীয় ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া। বুধবার (১ ফেব্রয়ারি) বেলা ১২টার দিকে এই বন্ধের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আখাউড়া স্থলবন্দরের মৎস্য রপ্তানিকারক এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক মিয়া।
আখাউড়া স্থলবন্দরের মাছ রপ্তানিকারক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রতি দিন ৫০ থেকে ৬০ টন মাছ ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য সহ আশেপাশের সাতটি রাজ্যে রপ্তানি হয়। প্রতি কেজি মাছের রপ্তানি মূল্য আড়াই মার্কিন ডলার। প্রতিদিন গড়ে ১ লাখ ডলারের মাছ রপ্তানি হয়। তবে ভারতের ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি আমদানিকৃত মাছের মান যাচাই করণে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং জনবল না থাকায় মাছ আমদানি বন্ধ রাখার জন্য বলেন সেখানকার ব্যবসায়ীদের। এর ফলে গতকাল বুধবার থেকে এক মাসের জন্য মাছ রপ্তানি বন্ধ থাকবে। এতে করে ব্যবসায়ীরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, তেমনি সরকারও কোটি কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন থেকে বঞ্চিত হবে। পাশাপাশি বন্দরের রপ্তানি বাণিজ্য আরও বেশি সংকুচিত হয়ে পড়বে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের মৎস্য রপ্তানিকারক এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক মিয়া বলেন, আমাদের বন্দরটি প্রায় শতভাগ রফতানিমুখী। এই বন্দর দিয়ে যে সব পণ্য ভারতে রপ্তানি হয় তার সিংহভাগই মাছ। হঠাৎ করে ভারত সরকারের এই বন্ধের সিদ্ধান্তের কারণে বাংলাদেশের মৎস্য ব্যবসায়ীরা বেশ লোকসানে পড়বে। পাশা পাশি সরকারও কোটি কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন থেকে বঞ্চিত হবে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের সুপারিন্টেনডেন্ট মো. সামাউল ইসলাম জানান, চিঠির মাধ্যমে মাছ আমদানি বন্ধের বিষয়টি ভারত থেকে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের জানানো হয়েছে। তবে যেহেতু স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ মাছের ট্রাক থেকে শুল্ক আদায় হয় বেশি, সে জন্য মাছ রপ্তানি বন্ধের ফলে বন্দরের আয়ে ভাটা পড়বে।