আশুগঞ্জে কন্যাশিশুকে পালাক্রমে ধর্ষণ : দুই কিশোর গ্রেপ্তার

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ুয়া আট বছরের এক কন্যশিশুকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ‘মামলা করলে পরিণতি খারাপ হবে’ বলে হুমকিও দেয় ধর্ষকদের পরিবার। এদিকে ঘটনা জানাজানি এবং থানায় অভিযোগ দেবার পর পুলিশ শাওন ও আরমান নামের দুই কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে।
রোববার (৫ জুন) সকালে শিশুটির মা বাদী হয়ে আশুগঞ্জ থানায় তারুয়া ইউনিয়নের উত্তর তারুয়া গ্রামের মাতু মিয়ার ছেলে আরমান মিয়া (১২), রমজান মিয়ার ছেলে শাওন মিয়া (১৪) ও ফজল হক মিয়ার ছেলে সিয়াম মিয়ার (১৬) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। এর আগে শনিবার দুপুরে স্থানীয় মহরম আলীর বাড়িতে ঘটে বর্বরোচিত এই ঘটনা।
শিশুটির বাবা, স্থানীয় এলাকাবাসী এবং পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ুয়া আট বছরের ওই শিশুটি শনিবার দুপুরে বাড়ির পাশেই খেলা করে বাড়ি ফিরছিলো। এসময় রমজান মিয়ার ছেলে শাওন ওই শিশুটিকে জোর করে মহরম মিয়ার একটি ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে শাওন এবং তার সহযোগী সিয়াম ও আরমান মিলে শিশুটিকে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে। প্রতিবেশী পারভিন বেগম ঘটনাটি দেখতে পেয়ে শিশুটির মাকে ডেকে নিয়ে মহরম আলীর ঘরে গিয়ে শিশুটিকে বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করে। এসময় সিয়াম, আরমান ও শাওন জানালা দিয়ে পালিয়ে যায়।তৎক্ষনাতই ঘটনাটি শাওন, সিয়াম ও আরমান পরিবারের নিকট জানালে তারা উল্টো তাদেরকে (শিশুটির পরিবার) থানায় যেতে বাঁধা দেয়। এমনকি এই বিষয়ে যেনো কোন মামলা মোকাদ্দমা না করে এমনটিও বলে। ‘মামলা করলে এর পরিণতি খুব খারাপ হবে’ বলে হুমকিও দেয়। পরে শিশুটির পরিবার ঘটনাটি আশপাশের লোকজনকে জানিয়েও কোনো প্রতিকার না পেয়ে শনিবার রাতে থানায় গিয়ে শিশুটির মা বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ রাতেই এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরমান ও শাওনকে গ্রেপ্তার করে। শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। রোববার সকালে বর্বরোচিত এই ঘটনার দায়ে গ্রেপ্তারকৃত আরমান ও শাওন এবং তাদের সহযোগী সিয়ামের বিরুদ্ধে আশুগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
আশুগঞ্জ থানার পরিদর্শক (ওসি) মো. আজাদ রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। রাতেই ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় দুই জনকে শনিবার রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে।’