কুমিল্লায় কেন্দ্রে ভোটার নেই, এজেন্ট বের করে দেয়ার অভিযোগ
প্রতিনিধি।।
প্রথম ধাপে কুমিল্লার তিন উপজেলা লাকসাম, মনোহরগঞ্জ ও মেঘনায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধাবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর থেকে ভোটাররা ডিমেতালে কেন্দ্রে উপস্থিত হন। অন্যান্য ভোটে কেন্দ্রে মহিলা ভোটারের ভালো উপস্থিতি দেখা গেলেও এ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল নগণ্য। পরুষ ভোটারের উপস্থিতিও তেমন চোখে পড়েনি। কিছু কিছু কেন্দ্র ছিল একদম ফাঁকা। মনোহরগঞ্জে আনারস প্রতীকের এজেন্টদের বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠে। কুমিল্লার লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ উপজেলার অন্তত ২০টি কেন্দ্র গিয়ে এ চিত্র দেখা যায়।
কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার নরপাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র। অন্যান্যর মতো এ ভোটকেন্দ্রের বাইরে মানুষের জটলা দেখা যায়নি। একটু পরপর মোবাইল টিম কেন্দ্র ঘুরে যাচ্ছে। বাইরে র্যাবের টিমের টহল। ভেতরে ১৮-১৯ বয়সী পাঁচ-ছয়জন তরুণকে অপেক্ষমাণ দেখা গেছে। এছাড়া ভোটার ছিল হাতেগোনা।
অন্যান্য ভোটারদের মতো তারা কেন্দ্রে প্রবেশ করে ভোট দিচ্ছে না। গলায় একজন প্রার্থীর ব্যাজ ঝুলিয়ে তারা সারিতেই দাঁড়ানো ছিলেন। ওই কেন্দ্রে আরো অনিয়ম চোখে পড়ে। ভোট দেয়া শেষে এক বৃদ্ধকে অপরজন ভোট দিতে নিয়ে আসেন। এসময় গোপন কক্ষের সামনেই ভোটারকে বিশেষ প্রতীক বলে দেন পাশে দাঁড়ানো ওই বৃদ্ধ। মনোহরগঞ্জের মড়হ কেন্দ্রের বাইরে শুধুমাত্র ঘোড়া প্রতীকের কর্মীদের দেখা যায়। পোস্টারও ছিল ঘোড়া প্রতীকের। ওই উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী জাকির হোসেন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আকলিমা আক্তার এ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেন। তারা এ ভোট বাতিল করে নতুন নির্বাচন করার জন্য কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান।
ফেসবুক লাইভে আনারস প্রতীকের প্রার্থী জাকির হোসেনকে আর্তনাদ, চিৎকার করতে দেখা যায়। একাধিক লাইভে তিনি ফাঁকা ভোটকেন্দ্র দেখান। সংবাদ সম্মেলনে ওই প্রার্থী বলেন, এলজিআরডি মন্ত্রীর উন্নয়ন সমন্বয়কারী কামাল হোসেন তার কর্মীদের মারধর, ভীতি প্রদর্শন করছেন। ভোটকেন্দ্র ফাঁকা। কামালের কারণে মানুষ ভোটকেন্দ্রে আসা থেকে বিরত থাকছেন। তার এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এদিকে মেঘনার বিভিন্ন কেন্দ্রেও ভোটার উপস্থিতি কম ছিলো। তবে বড় ধরণের কোন সংঘাতের খবর পাওয়া যায়নি।