কুমিল্লায় কাউন্সিলরসহ জোড়া খুন: জেল সোহেলসহ দুই আসামির দায় স্বীকার

 

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য মোহাম্মদ সোহেল এবং তাঁর সহযোগী আওয়ামী লীগ কর্মী হরিপদ সাহা হত্যা মামলার দুই আসামিকে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হয়। রোববার বিকেলে ওই দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছে। তাঁরা হলেন- হত্যা মামলার দুই নম্বর আসামি নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের নবগ্রাম এলাকার শাহ আলমের ছেলে ও পুলিশর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত মামলার প্রধান আসামি শাহ আলমের প্রধান সহযোগী সোহেল ওরফে জেল সোহেল (২৮) এবং একই এলাকার প্রয়াত সামছুল হকের ছেলে মো. সায়মন (৩০)। রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ওই দুই আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। কুমিল্লার জৈষ্ঠ্য বিচারিক হাকিম ১ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক চন্দন কান্তি নাথের আদালতে ওই দুই আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) উপপরিদর্শক (এসআই) পরিমল দাস। তিনি বলেন, পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আসামিদের আদালত হাজির করা হলে তারা কাউন্সিলর সোহেল ও হরিপদ সাহাকে গুলি করে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
তবে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আসামিরা বিস্তারিত কী বলেছেন, সেটা তিনি জানাননি।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ নভেম্বর বিকেলে কুমিল্লা নগরের পাথুরিয়াপাড়ায় কাউন্সিলর মো. সোহেল ও হরিপদ সাহাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ঘটনার পরদিন ২৩ নভেম্বর রাতে নিহত সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। এ পর্যন্ত মামলার এজাহারভুক্ত ১১ আসামির মধ্যে প্রধান আসামিসহ ৩ জন পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন এবং সাতজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। গ্রেপ্তার হওয়া এজাহারনামীয় সাত আসামির মধ্যে ছয়জনের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। এর মধ্যে মামলার ২ নম্বর আসামি সোহেল ওরফে জেল সোহেল ও ১০ নম্বর আসামি সায়মনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মঞ্জুর কাদের ভূঁইয়া জানান, মামলার অপর চার আসামি আশিকুর রহমান ওরফে রকি, মো.আলম, জিসান মিয়া ও মাসুম কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন। সোমবার তাঁদের রিমান্ডে নেওয়া হবে।