কুমিল্লায় তিনদিন ব্যাপী শচীন মেলা শুরু

তিনি টাকডুম টাকডুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল/রঙিলা রঙিলা রঙিলা রে/ কে যাস রে ভটির গাঙ বাইয়া/ শোন গো দখিন হাওয়াসহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানে কণ্ঠ দিয়েছেন।

 

অফিস রিপোর্টার।।
প্রখ্যাত সংগীতজ্ঞ ও বহু জনপ্রিয় গানের স্রষ্টা শচীন দেববর্মণ স্মরণে কুমিল্লায় তিন দিনব্যাপী শচীন মেলা শুরু হয়েছে। শচীন দেববর্মণের ৪৮তম প্রয়াণ দিবসে এ মেলার আয়োজন করা হয়। শনিবার দুপুরে মেলার উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে শোভাযাত্রা, তারপর আলোচনা সভা ও পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কুমিল্লা জেলা প্রশাসন আয়োজিত নগরীর দক্ষিণ চর্থায় শচীন দেববর্মণের বাড়ির প্রাঙ্গণে এ মেলা চলবে আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত।
অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ ড. আবু জাফর খান, বীরমুক্তিযোদ্ধা নাজমুল হাসান পাখী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরান হোসেন। শচীন দেব বর্মণের বিষয়ে আলোচনা করেন লেখক ও গবেষক শান্তিরঞ্জন ভৌমিক, নারী নেত্রী পাপড়ি বসু। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শাহাদাত হোসেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, শচীনকর্তা রবীন্দ্র যুগে একটি ভিন্ন ধারা তৈরি করেছেন। তার গাওয়া লোকগীতি আজও মানুষের মুখেমুখে।

তিনি টাকডুম টাকডুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল/রঙিলা রঙিলা রঙিলা রে/ কে যাস রে ভটির গাঙ বাইয়া/ শোন গো দখিন হাওয়াসহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। তার স্ত্রী মীরা দেব বর্মণ গীতিকার ছিলেন।
উল্লেখ্য, শচীন দেববর্মণ ১৯০৬ সালের ১অক্টোবর কুমিল্লা নগরীর দক্ষিণ চর্থার গোলপুকুরপাড় এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ৩১ অক্টোবর ভারতে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। তিনি ছিলেন ত্রিপুরার চন্দ্রবংশীয় মাণিক্য রাজপরিবারের সন্তান। তার সন্তান রাহুল দেব বর্মণ উপমহাদেশের বিখ্যাত সংগীত পরিচালক ছিলেন। প্রখ্যাত শিল্পী আশা ভোঁসলে তার পুত্রবধূ।