কুমিল্লায় হাইওয়ে রেস্তোরাঁর পাঁচশ’ কোটি টাকার লোকসান

 

তৈয়বুর রহমান সোহেল।।
কুমিল্লার জনপ্রিয় রেস্তোরাঁ ছন্দু। প্রায় ৪০ বছর পূর্বে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার পদুয়ার বাজারে এ রেস্তোরাঁটি প্রতিষ্ঠা করেন আবদুর রাজ্জাক ছন্দু। একটি খুপরি ঘরে পরোটা, গরুর মাংস, সিঙাড়াসহ টুকটাক নাস্তা তৈরি করতেন তিনি। বেশি স্বাদ, খাবারের মান ভালো ও মহাসড়কের পাশে তেমন কোনো রেস্তোরাঁ না থাকায় এ রেস্তোরাঁটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ভালো লাভ হওয়ায় খুপরি ঘর একসময় টিনশেড ঘর ও পরে পাকা ঘরে রূপ নেয়। ছন্দু মিয়া মারা যাওয়ার এ রেস্তোরাঁর দায়িত্ব পান তার ছেলে ইকবাল আহমেদ। এ রেস্তোরাঁর কখনও কখনও ৮০-১০০ মণের বেশি গরুর মাংস বিক্রি হতো। কুমিল্লার মানুষ ছাড়াও মহাসড়ক দিয়ে দূর-দূরান্তে ভ্রমণ করা মানুষের পছন্দের রেস্তোরাঁ ছিল ছন্দু। শহরের মানুষরাও আয়েশ করে গরুর মাংস, আলুর ভর্তা খেতে ভিড় জমাতেন এখানে। কিন্তু করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর বদলাতে থাকে এখানকার দৃশ্যপট। বর্তমানে এ রেস্তোরাঁয় পাঁচ মণ গরুর মাংসও বিক্রি হয় না। বরং মালিকের শখ করে পোষা ৭০টি গরুর ৫৯টি বিক্রি করে দিয়ে টিকিয়ে রাখতে হয়েছে রেস্তোরাঁটিকে।

ছন্দু হোটেলের স্বত্বাধিকারী ইকবাল আহমেদ বলেন, ‘এ রেস্তোরাঁয় স্বাভাবিক সময়ে মাসে গড়ে দুই কোটি বিক্রি হতো। সবার বেতন-খরচ বাদ দিয়ে লাভ হতো দুই লাখ টাকার বেশি। কিন্তু এখন লোকসানের মধ্য দিয়ে দিন পার করতে হচ্ছে।’

তিনি বলেন,‘ সাধ করে গাভী পালন করতাম। পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাওয়ায় দিন দিন আয় কমে আসে। এদিকে ৬৫জন কর্মচারীর বেতন-খাবার মিলিয়ে মাসে দশ লাখ টাকা বাড়তি খরচ। এ বিপুল টাকার জোগান দিতে গিয়ে একপর্যায়ে কম দামে ৫৯টি গরু বিক্রি করে দিই। কর্মচারী ছাঁটাই না করলেও টেনে নিতে খুব কষ্ট হচ্ছে। এখন লাভ নেই। জোড়াতালি দিয়ে কোনোরকমে চালিয়ে নিচ্ছি।’
ইকবাল আহমেদ কর্মচারী চাকরিচ্যুত না করলেও মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে অবস্থিত দুই শতাধিক রেস্তোরাঁ ও রিসোর্টে কর্মচারী চাকরিচ্যুতের ঘটনা ঘটেছে। তেমনই একটি প্রতিষ্ঠান কুমিল্লা নূরজাহান হোটেল। ৯০ দশকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পদুয়ার বাজারে প্রতিষ্ঠিত এ হোটেলটি কুমিল্লার জনপ্রিয় হোটেলগুলোর মধ্যে অন্যতম। বিয়ে, জন্মদিনের অনুষ্ঠান, কনফারেন্স, বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বা নানা প্রোগ্রামের আয়োজন হতো নূরজাহান হোটেলে। করোনার পূর্ববর্তী সময়ে এখানে কর্মী ছিল ৩৫০জন। বর্তমানে মাত্র ৮৪জন কর্মরত আছেন।

নূরজাহান হোটেলের স্বত্বাধিকারী রিপন আহমেদ বলেন,‘ ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি ও অনেক প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি ছিল আমাদের। বর্তমানে বাসের যাত্রী অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠানগুলোও চুক্তি বাতিল করেছে। এসময়ে অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে আমাদের। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি প্রশিক্ষিত কর্মী হারিয়ে। আমরা যাদের প্রশিক্ষিত করেছি, এমন কর্মীদের মধ্যে অনেক কর্মীই ভিন্ন পেশায় চলে গেছে। মহাসড়কের পাশে টাইমস স্কয়ারসহ আরও একটি রেস্তোরাঁ ছিল আমার। ওইগুলো বাধ্য হয়ে ছেড়ে দিয়েছি।’

জানা যায়, হোটেলটি ত্রিতল। এখানে বাংলা খাবার ছাড়াও প্রবাসীদের জন্য আলাদাভাবে খাবার তৈরি করা হতো। আছে থাকার ব্যবস্থাও। পাশাপাশি মিষ্টান্নের জন্যও এই রেস্তোরাঁর কদর ছিল। দিনে ২০-২৫ লাখ টাকার মতো বেচাবিক্রি হতো (হোটেল, কনফারেন্সসহ)। বর্তমানে কোনোমতে টিকে আছে প্রতিষ্ঠানটি।

বারবার লকডাউনের কারণে রেস্তোরাঁ বন্ধ, দূরপাল্লার বাস ও গণপরিবহন চলাচলে সীমাবদ্ধতা, পরিবহন চললেও যাত্রী সংকট, আবার যাত্রীদের রেস্তোরাঁয় বসে খাওয়ার প্রবণতা কমে আসা, কুমিল্লায় লম্বা সময় ধরে পর্যটন স্পটগুলো বন্ধ থাকার কারণে বিপুল পরিমাণ লোকসানের মুখে পড়তে হয় মালিকপক্ষকে। তাই বাধ্য হয়ে কর্মচারী ছাঁটাই করতে হয় তাদের। কুমিল্লার মহাসড়ক অংশে গড়ে ওঠা রেস্তোরাঁ ও রিসোর্টে এমন প্রায় ছয় হাজার কর্মী ছাঁটাই হয়েছে। বন্ধ রয়েছে ৩০ শতাংশ রেস্তোরাঁ। ন্যূনতম ক্ষতি হয়েছে পাঁচশ’ কোটি টাকা। কুমিল্লা জেলা দোকান মালিক সমিতি ও কুমিল্লা হাইওয়ে রেস্তোরাঁ মালিক সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, মহাসড়কের কুমিল্লা অংশের দৈর্ঘ্য ১০৪ কিলোমিটার। দেশের অন্যতম ব্যস্ততম এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করা যায় চট্টগ্রাম, ঢাকা, ফেনী, নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জ জেলায় । মহাসড়কের নানা অংশ হয়ে দেশের অন্যান্য প্রান্তে সড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রবেশ করেছে। যার কারণে খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সিলেট, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর ও নোয়াখালী যাতায়াতের ভায়া রুট হিসেবেও ব্যবহৃত হয় এই মহাসড়ক। দেশের রাজধানী, বাণিজ্যিক রাজধানীর মধ্যবর্তী স্থান এবং বিবির বাজার স্থলবন্দর ও কুমিল্লা ইপিজেডসহ অন্যান্য উৎপাদনশীল প্রতিষ্ঠানের পণ্য, কাঁচামাল পরিবহনের প্রধান রুট ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। তাছাড়াও চট্টগ্রাম বিভাগের সর্ববৃহৎ কাঁচাবাজার কুমিল্লার নিমসারে। যা মহাসড়ক লাগোয়া। পাশপাশি মাছ ও সবজি উৎপাদনে কুমিল্লা দ্বিতীয়। যার কারণে বিপুল মানুষের যাতায়াত থাকে কুমিল্লায়। মহাসড়কের মাঝামাঝি অবস্থিত হওয়ার কারণে দূরপাল্লার বেশিরভাগ বাসের যাত্রাবিরতি ঘটে কুমিল্লায়। এদিকে শালবন বৌদ্ধ বিহার, ধর্মসাগরসহ অসংখ্য প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা, বিনোদন কেন্দ্র ও ঐতিহাসিক স্থাপনা রয়েছে কুমিল্লায়। এসব কারণে দারুণ ব্যস্ত থাকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও মহাসড়ক লাগোয়া রেস্তোরাঁ এবং রিসোর্টগুলো।

সূত্র আরও জানায়, মানুষের চাহিদা বিবেচনায় মহাসড়ককে ঘিরে কয়েক ধরনের প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে কিছুসংখ্যক রিসোর্ট, ফুডপার্ক রয়েছে। বাকিগুলোর মধ্যে আছে মাঝারি, ছোট ও বড় রেস্তোরাঁ। শহর থেকে কিছুটা দূরের উপজেলাগুলোতে গড়ে উঠেছে ছোট ছোট রেস্তোরাঁ। শহর থেকে দূরের ছোট রেস্তোরাঁগুলোর বেশিরভাগ ব্যক্তি মালিকানাধীন। অল্প সংখ্যক লোকবল নিয়ে এগুলো পরিচালিত হয়। দুই-একজন কারিগর ও পরিবারের লোকজন দিয়ে পরিচালিত হয় রেস্তোরাঁগুলো। মূলত নির্মাণ শ্রমিক, কৃষি শ্রমিক, পরিবহন শ্রমিক, স্থানীয় লোকজন ও মৎসজীবীরা এখানকার ভোক্তা। করোনায় মহাসড়ক লাগোয়া ওইসব রেস্তোরাঁয় ক্ষতি অন্যান্যগুলোর তুলনায় কিছুটা কম হয়েছে। চাকরি হারানোর ঘটনাও কম। অপরদিকে বড় বড় রিসোর্ট ও ফুড ভিলেজে ক্ষতির পরিমাণ ব্যাপক। ওইসব প্রতিষ্ঠানে প্রচুর লোকবল ছাঁটাই হয়েছে। রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি সূত্র জানায়, বড় ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে কাজ করা বেশিরভাগ কর্মীর বাড়ি কুমিল্লা জেলার বাইরে। প্রতিষ্ঠানগুলো কুমিল্লার স্থানীয় কিছু লোকবল ধরে রেখেছে। অন্যান্যদের ক্ষেত্রে বাধ্য হয়ে কঠোর নীতি প্রদর্শন করেছে। ওইসব মালিকদের একাধিক ব্যবসা ও উপার্জনের ভিন্ন পথ থাকায় তারা প্রতিষ্ঠান বন্ধ না করার পর্যায়ে পৌঁছাননি, কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এসব প্রতিষ্ঠানের ভোক্তাদের বড় অংশ পর্যটক। দূরপাল্লার ভ্রমণে যাত্রাবিরতিতে তারা জলযোগ ও খাবার গ্রহণের জন্য এখানে আসেন। কুমিল্লার পর্যটন স্পটগুলোয় ঘুরতে আসাদের অনেকেই ভাড়া করেন রিসোর্টগুলো। মালিকপক্ষের লোকজন কাস্টমারের জন্য চুক্তি করেন বাস মালিকদের সাথে। নিজেদের চালক-হেলপারদের বিনামূল্যে খাওয়ানোর পাশাপাশি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দেওয়া হয় বাস মালিকদের। যার বিনিময়ে তারা যাত্রাবিরতি দেন ওই হোটেল-রেস্তোরাঁয়। এসবের মধ্যে আছে হোটেল নূরজাহান, হক ইন, হোটেল হাইওয়ে ইন, গ্রিন ভিউ, ফুড প্যালেস, অফ বিট, ডলি রিসোর্ট, রয়েল হোস্ট, মায়ামী, মিয়ামী, নূর মহল, জমজম, ব্লু ডায়মন্ড, বিটা ওয়ার্ল্ড, তাজমহল, সৌদিয়া, খন্দকার, আম্মাজান, মাতৃভান্ডার হোটেল এন্ড সুইটসসহ আরও বেশ কয়েকটি। বাস মালিকদের সাথে চুক্তি নেই, কিন্তু মহাসড়কের ব্যস্ততম রেস্তোরাঁর মধ্যে আছে কফি হাউজ, জিহান ও হোটেল ময়নামতি। মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে এমন বড় হোটেল-মোটেল ও রেস্তোরাঁ আছে ৭০টির বেশি। মাঝারি ও ছোট মানের আছে আরও ১৫০টির মতো।

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় হোটেল হাইওয়ে ইন। মহাসড়কে যাত্রাবিরতিতে হোটেল হাইওয়ে ইনের কদর রয়েছে বেশ। কিন্তু করোনায় দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এখন ঋণের টাকায় চলছে এটি।

হোটেল হাইওয়ে ইনের জেনারেল ম্যানেজার শাহ আলম জানান, তারা এ পর্যন্ত ৪০লাখ টাকা ঋণ করেছেন। ৮৪জন কর্মচারীর বেতন দিয়ে লাভ তো দূরের কথা, এটিকে চালিয়ে নিতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।

আরেক প্রতিষ্ঠান ডলি রিসোর্ট। এই রিসোর্টটি চলতি বছরের জানুয়ারিতে দেড় কোটি টাকা চুক্তিতে নেওয়া হয়। মাসে আরও দেড় লাখ টাকা ভাড়া দিতে হতো। নতুন বছরে নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও শুরুতেই ধাক্কা খায় রিসোর্টটি। তাই প্রথম দিকে ৬৫টি জন কর্মী নিয়ে শুরু করলেও গেলো লকডাউনের শুরুতে আরও ২০জনকে চাকরিচ্যুত করেন তারা। মালিকানায়ও আসে পরিবর্তন।
কুমিল্লা শহরের কাছাকাছি মাঝারি ও ছোট যে রেস্তোরাঁগুলো ছিল তাদের বেশিরভাগ বন্ধ হয়ে গেছে। লকডাউন শেষ হওয়ার পর এখনও পর্যন্ত খুলতে না পারা রেস্তোরাঁগুলোর বেশিরভাগ মাঝারি ও ছোট প্রতিষ্ঠান। সূত্র জানায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশের রেস্তোরাঁ-রিসোর্টগুলোর ৩০শতাংশ বন্ধ আছে। যার ৭০ভাগই মাঝারি ও ছোট মানের। নিজেদের পুঁজির সবটুকু উজাড় করে দিয়ে ব্যবসা করলেও তারা এখন নিঃস্ব।

মায়ামী রিসোর্টের জেনারেল ম্যানেজার উজ্জ্বল রায় বলেন, ‘করোনায় আমাদের দৈনিক ক্ষতির পরিমাণ এক লাখের কাছাকাছি। তবে মানবিক কারণে আমরা কর্মীদের চাকরিচ্যুত করিনি।’

কিন্তু নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মী জানান, এখানে লোকবল ছিল ১১৫জন, বর্তমানে কর্মরত আছে ৬৫জন।
জিহান রেস্তোরাঁর স্বত্বাধিকারী শাফায়েত উল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, ‘রেস্তোরাঁ খুলেছি ঠিকই, তারপরও মনে হচ্ছে ব্যবসা শুরু করতে পারিনি। কাস্টমারদের দোকানে বসে খাওয়ার প্রবণতা কমে গেছে। অনেক ক্ষতির মুখে পড়ে ১০জন লোকবল ছাঁটাই করেছি।’

মাতৃভান্ডার হোটেল এন্ড সুইটসের ম্যানেজার শাহজাহান বলেন, ‘আমরা পুরোপুরি বাস নির্ভর। চালু হলেও বাস আগের মতো থামছে না। যাত্রী নেই, বিক্রিও কম। এই প্রতিষ্ঠানের অর্ধেকের বেশি লোকবল চাকরি হারিয়েছেন।’

কুমিল্লার শ্রমিক নেতা মোহাম্মদ আলী জানান, ‘বাসে যাত্রী ৬০শতাংশ কমে গেছে। অনেক যাত্রী রেস্টুরেন্টে বসে খেতে চান না। তাই চুক্তি থাকলেও কখনও কখনও রেস্টুরেন্টের সামনে যাত্রাবিরতি দেওয়া হয় না।’

কুমিল্লা রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি এম এ মুকিত টিপু বলেন, ‘কেন্দ্রীয় হিসাব মতে হাইওয়ে কুমিল্লা অংশের রেস্তোরাঁগুলোর ন্যূনতম লোকসান ৫০০কোটি টাকা। বড় ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানের মালিকদের বুক মাটিতে মিশে গেছে। কেন্দ্রীয়ভাবে সরকারের কাছে প্রণোদনা চাওয়া হয়েছে। কিন্তু সরকার এ খাতে প্রণোদনার ব্যবস্থা করেনি।’

কুমিল্লা হাইওয়ে রেস্তোরঁ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন জানান, ‘প্রতিষ্ঠান সচল না থাকায় অনেক আসবাবপত্র নষ্ট হয়েছে। বাস চালু হলেও হাইওয়ের অনেক রেস্তোরাঁ খোলা যায়নি। নতুন করে চালু করতে হলে অনেক বিনিয়োগ করতে হবে। আমরা ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত। প্রণোদনা না পেলে অনেক প্রতিষ্ঠান খোলাই যাবে না।’

কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, ‘ সমিতির পক্ষ থেকে যদি আবেদন জানানো হয়, আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে জানাবো। মন্ত্রণালয় অনুমতি দিলে ক্ষতি অনুযায়ী ঋণের ব্যবস্থা করা হবে। ‘