চান্দিনায় দুই প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ১৫

 

আমোদ প্রতিনিধি

কুমিল্লার চান্দিনা পৌরসভার নির্বাচনী প্রচারণার সময় দুই মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। সোমবার পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড ছায়কোট এলাকায় ওই সংঘর্ষ ঘটে।

আহতরা হলেন- জগ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শামীম হোসেনের সমর্থক হারং এলাকার শরীফুল ইসলাম (২০), রাসেদুল ইসলাম (২৮), মো. সোহান (১৬), শামীম সরকার (৪০), নাঈম পারভেজ (১৯), নূরজাহান বেগম (৪৫), আবদুল কাদের (২৬), জাকির (২৬)। নৌকা প্রতীক সমর্থিত আহতরা হচ্ছেন ৭নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি ছায়কোট এলাকার আবুল কালাম (৪২), একই এলাকার নুরুল ইসলাম (৩৮), আল-আমিন (৩০), মাহাবুব (৩০), আলী হোসেন (৪৫), আবুল হাসেম (৩২), শহীদুল ইসলাম (২৫)। আহতদের মধ্যে ১০ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত অন্যরা চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়- সোমবার স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মো. শামীম হোসেন কর্মী সমর্থকদের নিয়ে ৭নং ওয়ার্ড এলাকায় প্রচারণা শুরু করেন। নৌকা সমর্থিত স্থানীয় কিছু লোকজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচারণা নিয়ে উস্কানিমূলক কথা বলেন। এসময় দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে বাক বিতণ্ডার এক পর্যায়ে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রথম দফার সংঘর্ষের পর উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী শামীম হোসেন অভিযোগ করে বলেন- আমি গণসংযোগ করতে ছায়কোট এলাকায় পৌঁছলে ছালাম কাউন্সিলর এর নেতৃত্বে নৌকার লোকজন আমার নেতা-কর্মীর উপর হামলা চালায়। এসময় আমাকেও শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করে। এতে আমার আটজন নেতা-কর্মী আহত হন।
অপর দিকে একই দিন বিকেলে নিজ বাস ভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী শামীম হোসেন। এসময় তার নেতাকর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে সুষ্ঠু ও শান্তি পূর্ণ পরিবেশে ভোট অনুষ্ঠানের দাবি জানান।

আওয়ামীলীগ মেয়র প্রার্থী শওকত হোসেন ভূইয়া জানান- স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম হোসেন প্রতিদিন গাড়ি বহর নিয়ে গণসংযোগের নামে এলাকায় আতংক সৃষ্টি করছেন। যেখানেই নৌকা সমর্থিত লোকজন পাচ্ছেন তাদেরকে মারধর করছেন।

চান্দিনা থানার অফিসার ইনচার্জ শামসউদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান- মূলত মেয়র প্রার্থীরা যেখানে গণসংযোগে যাবেন তার একটি তালিকা পূর্বেই থানায় দেওয়া কথা। কিন্তু তারা সেটা করেন না। সোমবার দুই গ্রুপের সংঘর্ষের খবর পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ পর্যন্ত কেউ লিখিত কোন অভিযোগ করেননি।