চেকপোস্ট বসিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ
আমোদ প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার আবুল কালাম হাইস্কুল মাঠে শুক্রবার বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে উপজেলা বিএনপি। বিক্ষোভ সমাবেশে যাওয়ার পথে চেকপোস্ট বসিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। হামলায় বিএনপির ১৫জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি করেন বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
হামলায় আহতরা হলেন- ৯নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাপ হোসেন, যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন, মো. হোসেন, আবু বকর, জাহাঙ্গীর, টিপু আহমেদ , শেখ ফরিদ, রনি , শান্ত, সাব্বির, হোসেন, কামাল, মন্নাফসহ আরো কয়েকজন। তাদেরকে লাকসাম ও কুমিল্লার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিএনপি ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সমাবেশে যোগ দেয়া জন্য লাকসামের মুদাফরগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। সড়কের মাথা খুনতা, নৈইরপাড়, রেল চিতোষী, রাজঘাটসহ মুদাফরগঞ্জের প্রবেশ পথে চেকপোস্ট বসায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এসময় বিএনপির নেতাকর্মীদের বহন করা সিএনজি চালিত অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয়।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় শিল্প বিষয় সম্পাদক মো. আবুল কালাম, লাকসাম উপজেলা বিএনপি আহবায়ক আবদুর রহমান বাদল, মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শাহ সুলতান খোকন, মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি সদস্য সচিব অধ্যাপক সরওয়ার জাহান দোলন, লাকসাম পৌর বিএনপি সদস্য সচিব আবুল হোসেন মিলন প্রমুখ।
কেন্দ্রীয় বিএনপির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম ( চৈতি কালাম) বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ লাকসামে আমাদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ কর্মসূচি ছিল। কিন্তু আজ ভোর থেকে লাকসাম -মুদাফরগঞ্জ ও মনোহরগঞ্জ- লাকসাম সড়কে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অঘোষিত হরতাল করেছে। পথে পথে চেকপোস্ট বসিয়ে ভোর সাড়ে ৬টা থেকে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। সমাবেশ স্থলে আসতে বাধা দিয়েছে। সড়কে বেশ কয়েকটি স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে দফায় দফায় হামলা চালিয়ে ১৫জনকে গুরুতর আহত করেছে।
এবিষয়ে লাকসাম উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড. ইউনুস ভূইয়া বলেন, এমন ঘটনা শুনিনি। আর বিএনপির কোন মিটিংও হয়নি। তারা শুধু শুধু অভিযোগ করছে। এগুলো মিথ্যা।
লাকসাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদ খান বলেন, সংঘর্ষের কোন ঘটনা ঘটেনি। আমরা কোন অভিযোগও পাইনি।