চৌদ্দগ্রামে বাধার মুখে রেলওয়ের উচ্ছেদ অভিযান পণ্ড

প্রতিনিধি।।

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে উচ্ছেদ অভিযান প্রতিরোধে মানববন্ধন করেছে স্থানীয়রা। রবিবার (২২জুন) ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলওেয়ের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুণবতী রেলওয়ে স্টেশন অংশে উচ্ছেদ অভিযানের নির্ধারিত দিনে ব্যবসায়ী ও স্থানীয় কয়েকশত মানুষ এ মানববন্ধনে অংশ নেয়। এ সময় উত্তেজনা দেখা দিলে রেলওয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী মাজিস্ট্রেট দীপঙ্কর তংচঙ্গা’র নেতৃত্বে আসা সেনাবীহিনী, পুলিশ, রেলওয়ে পুলিশ, আনসারসহ উচ্ছেদ অভিযান দল প্রতিরোধের মুখে ফিরে যায়।
জানা যায়, উপজেলার গুনবতী রেলস্টেশনের পাশে একটি জলাশয় ইজারা দেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। রবিবার সকালে জলাশয়ের উত্তরাংশের মার্কেটের কিছু অংশ অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও জলাশয় ইজারাদারকে বুঝিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে মেজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে গুনবতী রেলওয়ে স্টেশনে আসে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা গুনবতী বাজারের প্রবেশ মুখে ব্রাক অফিসের সামনের সড়কে মানববন্ধন ও প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এসময় ব্যবসায়ীরা তাদের দাবী জানায়। এবং এ্যাডভোকেটের মাধ্যমে হাইকোর্টে দখল উচ্ছেদ সংক্রান্ত রিট পিটিশন এর কাগজপত্র উপস্থাপন করে।
মানববন্ধনে ব্যবসায়ী সোহেল বলেন, ‘গুণবতী রেলস্টেশন সংলগ্ন পুকুরের পাড়স্থ দোকানঘর গুলো উচ্ছেদ সংক্রান্ত রিট পিটিশন (মানলা নং ৪৩১৪/২৫) শুনানি সিরিয়াল নং ২০৮ মহামান্য হাইকোর্টে চলমান রয়েছে। এমতাবস্থায় রিট পিটিশন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত রাখার আহ্বান করছি।’
আরেক ব্যবসায়ী আবদুল মান্নান বলেন, ‘আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আজকে এখানে শতশত ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী মানববন্ধনে উপস্থিত হয়েছেন। ব্যক্তি স্বার্থে উচ্ছেদ অভিযান না করে যদি সরকার রেলওয়ের জন্য উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে তবে আমরা কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করবো।’
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম রেলওয়ে বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী মাজিস্ট্রেট দীপঙ্কর তংচঙ্গা বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন ভেকু পরিবহনে ট্রাক্টরের চাবি নিয়ে গেছে, এখানে ‘মব’ এর সৃষ্টি হয়েছে। যারা বাধা প্রদান করেছে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’