ছোট ছোট ৭ আমল; মর্যাদা বেশি

 

মানুষের শরীরের দিকে গভীরভাবে দৃষ্টিপাত করলে বুঝা যায়, একজন মানুষের শরীরে অসংখ্য জোড়া ও শিরা-উপশিরা রয়েছে। আর এগুলোর শুকরিয়া আদায় করা প্রতিটি মানুষের জন্যই আবশ্যক। স্বাভাবিকভাবে কোনো ভালো কাজ করে এ সবের শুকরিয়া আদায় করে শেষ করা যাবে না। তাই প্রিয়নবি মানুষের শরীরের মতো নেয়ামতের আমল নির্ধারিণ করে দিয়েছেন।

 

আমল : ১
প্রত্যেক ওজুর পর কালেমা শাহাদত পাঠ করুণ (আশহাদু আল্লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা- শারী কা লাহূ ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান ‘আব্দুহূ ওয়া রাসূলুহূ) । এতে জান্নাতের ৮টি দরজার যেকোনো দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস নম্বর- ২৩৪)।

আমল : ২
প্রত্যেক ফরজ সলাত শেষে আয়াতুল কুরসি পাঠ করুণ এতে মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে জান্নাতে যেতে পারবেন। (সহিহ নাসাই, সিলসিলাহ সহিহাহ, হাদিস নম্বর ৯৭২)।

আমল : ৩ 
প্রত্যেক ফরজ সলাত শেষে ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ, ৩৩ বার আল্লাহু আকবার এবং ১ বার (লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু­ ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া ‘আলা কুলি­শাই’ইন কাদীর) পাঠ করুণ এতে আপনার অতীতের সব পাপ ক্ষমা হয়ে যাবে। (সহিহ মুসলিম, হাদিস নম্বর- ১২২৮)। সেই সাথে জাহান্নাম থেকেও মুক্তি পেয়ে যাবেন কেননা দিনে ৩৬০ বার এই তাসবিহগুলো পড়লেই জাহান্নাম থেকে মুক্ত রাখা হয় আর এভাবে ৫ ওয়াক্তে ৫০০ বার পড়া হচ্ছে। (সহিহ মুসলিম, মিশকাত হাদিস নম্বর- ১৮০৩)।

আমল : ৪
প্রতিরাতে সূরা মুলক পাঠ করুণ এতে কবরের শাস্তি থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন। (সহিহ নাসাই, সহিহ তারগিব, হাকিম হাদিস নম্বর- ৩৮৩৯, সিলসিলাহ সহিহাহ, হাদিস নম্বর- ১১৪০)।

আমল : ৫
রাসূল (সা.) এর ওপর সকালে ১০ বার ও সন্ধ্যায় ১০ বার দরুদ পড়ুন এতে আপনি নিশ্চিত রাসূল (সাঃ) এর সুপারিশ পাবেন। (তবরানি, সহিহ তারগিব, হাদিস নম্বর- ৬৫৬)।

আমল : ৬
সকালে ১০০ বার ও বিকালে ১০০ বার সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়া বিহামদিহি পরলে সৃষ্টিকুলের সমস্ত মানুষ থেকে বেশি মর্যাদা দেয়া হবে। (সহিহ আবু দাউদ, হাদিস নম্বর- ৫০৯১)। হজরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি ‘সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়া বিহামদিহি’ পাঠ করে, তার জন্য জান্নাতে একটি খেজুরগাছ রোপণ করা হয়। (তিরমিজি : ৩৪৬৪)

আমল : ৭
সকালে ১০০ বার ও সন্ধ্যায় ১০০ বার সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি পাঠ করলে কিয়ামতের দিন তার চেয়ে বেশি সওয়াব আর কারো হবে না। (সহিহ মুসলিম, হাদিস নম্বর- ২৬৯২)।

 

প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মতে মুহাম্মাদিকে লক্ষ্য করে বলেন, ‘তোমরা ছোট ছোট ইবাদতে একনিষ্ঠ হও। কারণ অল্প ও ছোট ছোট আমলগুলো পরকালের নাজাতের যথেষ্ট হবে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নামাজসহ ছোট ছোট দোয়া, তাসবিহ-তাহলিল ও কল্যাণের কাজ করার তাওফিক দান করুন। কুরআন-সুন্নাহ মোতাবেক জীবন সাজানোর তাওফিক দান করুন। আমিন।