জংলিবিবির ওয়াকফকৃত পুকুর ভরাট হচ্ছে রাতের আঁধারে

 

অফিস রিপোর্টার।।
রাতের আঁধারে ভরাট হয়ে যাচ্ছে নগরীর তিনশ’ বছরের পুরানো ঐতিহ্যবাহী ছোটরা জংলিবিবি পুকুর। ওয়াকফকৃত এ পুকুর এখন আবর্জনা আর কচুরি পানায় ভরা। এ পুকুরের উত্তর পাশে রাতের আঁধারে চলে ভরাটের কাজ। এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

অভিযোগে দেখা যায়, স্থানীয় কিছু ভূমি দস্যুর তত্ত¡াবধানে এ পুকুর ভরাট চলছে। ঐহিত্যবাহী পুকুরকে জংলিবিবি মসজিদের মুসল্লিদের অজু, গোসলের জন্য ওয়াকফ করা হয়েছিলো। ইদানিং সুপরিকল্পিত ভাবে পুকুরের উত্তরাংশ থেকে মাটি ভরাটের কাজ চলছে। এছাড়াও মসজিদরে নাম ভাঙ্গিয়ে মাছের বাজার বসিয়ে চাঁদা সংগ্রহ করছে একটি মহল। এ সমস্যার সঠিক সমাধানে লিখিত আবেদন করেছেন কাজী শফিকুর রহমান, মো. আকরাম হোসেন, মো. বিল্লাল, স্বপন, আমীর আলী ও খোরশেদ আলম। গত ২৪ নভেম্বর পরিবেশ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক বরাবর এ আবেদন করা হয়।

সবুজ পরিবেশ আন্দোলন কুমিল্লার সভাপতি কাজী শারমিন আউয়াল পারভেজ বাপ্পি জানান, এ পুকুর আমাদের পূর্বপুরুষদের । সরকারি ভাবে পুকুর ভরাট করা নিষেধ। একটি প্রভাবশালী মহল রাতের আঁধারে সুকৌশলে ধীরে ধীরে এ পুকুর ভরাটের চেষ্টা করছে। তাই এ পুকুর দস্যুদের হাত থেকে রক্ষা করে, সাধারণ মানুষের কল্যাণে ব্যবহারের উপযোগী করার জন্য আমরা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।


স্থানীয় কাউন্সিলর মাসুদুর রহমান বলেন, জংলিবিবি মসজিদ পুকুরটি মজা পুকুরে পরিণত হয়ে আছে। এ পুকুর পরিষ্কার করে ব্যবহারের উপযোগী করা যায়, মসজিদের মুসল্লিরা যেন অজু করতে পারবে। এতে এলাকার হাজারও মানুষ উপকৃত হবে।

কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার জাকিয়া আফরিন বলেন, পুকুর ভরাটের অভিযোগের বিষয়টি পরিবেশ অধিদপ্তর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আমরা একটা লিখিত অনুলিপি পেয়েছি, তবে পরবর্তী যে সিদ্ধান্ত দেওয়ার তা পরিবেশ অধিদপ্তর বিবেচনা করবেন।

পরিবেশ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক শওকত আরা কলি জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আইনানুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।