জলাবদ্ধতার শংকায় ভিক্টোরিয়া ও ছায়াবিতানের অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ

মহিউদ্দিন মোল্লা,
জলাবদ্ধতার শংকায় দিন কাটছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ও ছায়াবিতান এলাকার অর্ধ লক্ষাধিক মানুষের। তার মধ্যে রয়েছে শিক্ষার্থী,শিক্ষক,কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রায় ৩০ হাজার। কলেজ সংলগ্ন ছায়াবিতান এলাকার বাসিন্দা আরো ৩০ হাজার। এনিয়ে ভিক্টোরিয়া কলেজ অধ্যক্ষ ড. আবু জাফর খান ও ছায়াবিতান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির সভাপতি মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম সিটি করপোরেশনে সম্প্রতি লিখিত আবেদন করেছেন।

এদিকে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে এই এলাকাগুলো দীর্ঘ জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে।
সিটি করপোরেশনে করা লিখিত আবেদনে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ কর্র্তৃপক্ষ জানায়, কলেজের ডিগ্রি ক্যাম্পাস সংলগ্ন শহরতলীর ছায়াবিতান, দৌলতপুর ও ধর্মপুর এলাকার ড্রেন দিয়ে অশোকতলা, বিসিক ও ঠাকুরপাড়া এলাকার ড্রেনের ময়লা পানি এবং বর্ষার বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন হয়। ড্রেনটি সিটি কর্পোরেশনের আওতার বাইরে হওয়ায় বিগত কয়েক বছর যাবৎ এটি পরিষ্কার করা হচ্ছেনা। বর্তমানে নালার শাখা-প্রশাখা ভরাট হয়ে আছে। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানির সাথে বিসিক এলাকার কেমিক্যাল মিশ্রিত আবর্জনাযুক্ত পানি ডিগ্রি ক্যাম্পাসের পূর্ব পাশের মাঠ ও কলেজের সীমানা প্রাচীরের ফাটল অংশ দিয়ে কলেজে ক্যাম্পাস জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করে। এতে মশা ও কীটের উৎপাত বেড়ে যায়। কলেজের শিক্ষক-কর্মকর্তা, শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েন। এছাড়া ড্রেনটির পশ্চিম অংশে আশপাশ দিয়ে বিভিন্ন স্থাপনা ও ময়লা আবর্জনার কারণে গুরুত্বপূর্ণ এ ড্রেনটির প্রবাহ পথ প্রায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সামান্য বৃষ্টিতেই সিটি কর্পোরেশন এলাকার পানি প্রবাহের কারণে ছায়াবিতান, দৌলতপুর ও ভিক্টোরিয়া কলেজের ডিগ্রি শাখা এলাকায় রাস্তা ও নিচু ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে তীব্র জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।

এমতাবস্থায় আসন্ন বর্ষা মৌসুম শুরুর পূর্বে এলাকাবাসীর ভোগান্তি নিরসনে ড্রেনটি পরিষ্কার করা জরুরি।
ছায়াবিতান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি কর্তৃপক্ষের দাবি, সামান্য বৃষ্টিতেই সিটি কর্পোরেশন এলাকার পানি প্রবাহের কারণে ছায়াবিতান, দৌলতপুর ও ভিক্টোরিয়া কলেজের ডিগ্রি শাখা এলাকায় রাস্তা ও নিচু ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে তীব্র জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এমতাবস্থায় আসন্ন বর্ষা মৌসুম শুরুর পূর্বে এলাকাবাসীর ভোগান্তি নিরসনে ড্রেনটি পরিষ্কার করা প্রয়োজন।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু বলেন, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ও ছায়াবিতান এলাকার দুইটি আবেদন পেয়েছি। এই দুইটি এলাকার এক পাশ আমাদের সীমানায় পড়েছে। বাকীটা বাইরে পড়েছে। তবু আমরা চেষ্টা করবো ড্রেন খনন করে জলাবদ্ধার সংকট দূর করতে।