ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ৩ বন্ধুর
একসাথে ঈদের কেনাকাটা হলো না এগার বন্ধুর
প্রতিনিধি ।।
ঈদের কেনাকাটা করতে ওরা এগারো বন্ধু নাঙ্গলকোটের হাসানপুর রেলন্টেশন থেকে ট্রেন যোগে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন। ট্রেনে ওঠার আগে স্টেশন থেকে সেলফি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্টও করে তারা। পথিমধ্যে ফেনী সদর উপজেলার পূর্ব ফাজিলপুর মুহুরীগঞ্জ ব্রিজ সংলগ্ন রেলগেইটে ক্রসিংয়ে বালুবাহী ট্রাকের সাথে ট্রেনের ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার চিওড়া ইউনিয়নের শাকতলা গ্রামের মৃত নুর হোসেনের ছেলে দীন মোহাম্মদ(২২), একই গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে রিফাত(১৭) ও ইয়াছিনের ছেলে মোঃ সাজ্জাদ হোসেন(১৭)। এছাড়া দুর্ঘটনায় ট্রাক চালক মিজানুর রহমান ও সহকারী আবুল খায়ের এবং আশিক নামের এক যাত্রীসহ আরও তিনজন নিহত হয়েছেন।
নিহতদের অপরবন্ধু কেফায়েত উল্যাহ বলেন, ঈদের কেনাকাটা করার জন্য চট্টগ্রাম যাওয়ার জন্য সেহেরি খাওয়ার পর হাসানপুর স্টেশনে একত্রিত হই। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টায় ট্রেনে উঠে আমরা ১১ জন চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হই। ফেনী স্টেশনে যাওয়ার পর আমরা সকলে ট্রেনের সীটে বসে পড়ি। ষ্টেশন ছাড়ার পর দ্বীন মোহাম্মদ, রিফাত ও সাজ্জাদ ট্রেনের ইঞ্জিনের সামনে গিয়ে বসে। ফেনীর ফাজিলপুর এলাকায় একটি বালুর ট্রাকের সাথে ট্রেনের ধাক্কা লাগে। এতে আমাদের তিন বন্ধুসহ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। পরে ট্রেনটি একটু সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলে আমরা নেমে পড়ি এবং স্থানীয়দের সহযোগিতায় একটি মাইক্রোবাসে করে তিন বন্ধুর লাশ বাড়িতে নিয়ে আসি।
নিহত সাজ্জাদের পিতা ইয়াছিন বলেন, সেহেরি খেয়ে তারা বেরিয়ে যায়। সকালে আমি ঘাস কাটতে মাঠে চলে যাই। মাঠে থাকা অবস্থায়ই দুর্ঘটনার খবর পাই।
চিওড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু তাহের জানান, আমার এলাকার বেশ কয়েকজন যুবক ও কিশোর ঈদের কেনাকাটা করতে একযোগে ট্রেনে করে চট্টগ্রাম যাচ্ছিল বলে শুনেছি। পথিমধ্যে ফেনীর ফাজিলপুর এলাকায় বালুবাহী ট্রাকের সাথে ট্রেনের দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আমার এলাকার তিনজন নিহত হয়েছে। বিকেলে তাদের জানাযা শেষে একই গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে। তারা সকলে ওয়াকসর্প ও বিভিন্ন দোকানে চাকরি করে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। আমি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।