তলিয়ে গেছে কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন সড়ক,সৃষ্টি হয়েছে গর্ত

 

আল-আমিন কিবরিয়া।।

বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন এলাকার সড়ক। অলিগলির কোথাও কোথাও জমেছে হাঁটুসমান পানি। এতে অচল হয়ে পড়েছে যাতায়াত ব্যবস্থা। সিএনজি অটোরিকশা না থাকায়, প্যাডেল চাপা ভ্যান দিয়ে চলাচল করছেন যাত্রীরা। এছাড়াও কিছু এলাকায় সড়কে পানি না থাকলেও বারি বৃষ্টিতে সড়ক ভেঙে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। এতে নগরজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে দুর্ভোগ।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, নগরীরর দৌলতপুর টিএনটি মোড় থেকে ধর্মপুর পর্যন্ত ডুবে গেছে সড়ক। সড়কের পাশের ময়লার ভাগাড় পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সব ময়লা উঠে এসেছে সড়কে। অটো চলাচল না করায় যাত্রীরা প্যাডেল ভ্যানে চেপে গন্তব্যে যাচ্ছেন। এছাড়াও এ সড়কের আশেপাশের সব নিচু স্থান এবং বাসা-বাড়িতে হাঁটু সমান পানি দেখা গেছে।
টমসমব্রিজ থেকে মেডিকেল পর্যন্ত সড়কটিতে দেখা যা, ভারি বৃষ্টিতে সড়কে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত। ইপিজেডের প্রধান ফটকে থাকা ময়লার ভাগাড়ের সব বর্জ্য উঠে এসেছে সড়কে। গর্ত ও ভাঙ্গাচুরা সড়কের কারণে তীব্র ভোগান্তিতে পড়েছে এ সড়ক দিয়ে কুমিল্লা মেডিকেলে যাওয়া আসা রোগী ও তাদের স্বজনরাসহ পথচারী-যাত্রীরা।
এছাড়াও শিক্ষা বোর্ড, সদর হাসপাতা, রামমালা, রানীরবাজার ও পুলিশ সুপারের বাসভবনের সমানসহ অনেকে এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক পানি জমে নগরীতে তীব্র ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে।

পথচারী ষাটোর্ধ রফিক মিয়া। কথা হয়েছে তার সাথে। এক প্রকার ক্ষোভ নিয়ে তিনি বলেন, নগরীর ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালোনা। এ কারনে নগরীর সড়কগুলো পানির নিচে তলিয়ে যায় বৃষ্টি হলে। যদি ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালে থাকত, মুহূর্তের মধ্যে পানি অপসারণ হয়ে যেতো।

স্বজন নিয়ে দেবিদ্বার থেকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসেছেন সৈয়দ খলিলুর রহমান বাবুল। তিনি বলেন, কুমিল্লার জন্য অন্তত গুরুত্বপূর্ণ টমসমব্রিজ থেকে ইপিজেড হয়ে মেডিক্যাল পর্যন্ত সড়কটি। সড়কটির প্রায় অংশই ভাঙাচুরা। এ সড়ক দিয়ে রোগী নিয়ে বাড়ি যাওয়ার সময় অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।

ভ্যান চালক মো. কাদের বলেন, সড়কে পানি থাকায় সকাল থেকে ব্যাটারি চালিত কোনো অটো চলছে না। সড়কের পাশে শত শত যাত্রী দাঁড়িয়ে আছে। আমি প্যাডেল ভ্যান নিয়ে যে অংশে পানি আছে সেখানে যাত্রীদের পারাপার করছি। ভ্যান একা চালানো সম্ভব না। এ কারণে আরো দুইজন লোক রেখেছি পিছন থেকে ভ্যানে ধাক্কা দেওয়ার জন্য।

অটো চালক কামাল হোসেন বলেন, সড়কের যে অংশে পানি আছে সেখানে যাই না। আমার গাড়িটা ব্যাটারি চালিত। পানি ঢুকলে নষ্ট হয়ে যাবে। এছাড়াও পানির কারণে কোথায় গর্ত এটা বোঝা যায় না। এ কারণে যাই না।

কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ছামছুল আলমকে একধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। তাই তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।