‘দেশের স্বাধীনতার জন্য অধ্যাপক মোজাফফরর আহমেদের অবদান অনস্বীকার্য’

 

আমোদ রিপোর্টার।।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ১৯ হাজারের বেশি মুক্তিযোদ্ধা সংগঠিত করেছিলেন ন্যাপ নেতা অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ। দেশের স্বাধীনতার জন্য তার অবদান অনস্বীকার্য। আর এ কারণে মানুষ আজও তাকে স্মরণ করে। মুজিবনগর সরকার ছয় সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদের তিনি ছিলেন অন্যতম সদস্য। ১৯৬৯ সালে আইযুব সরকার বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারীদের একজনও এই মোজাফফর আহমেদ। শনিবার কুমিল্লা টাউনহলের মুক্তিযুদ্ধ কর্নারে আয়োজিত বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপের) ১৫ তম সম্মেলনে এসব কথা বলেন ন্যাপ সভাপতি আইভি আহমেদ।

তিনি আরও বলেন, একজন মানুষ যিনি ২০১৫ সালে দেশের সর্বোচ্চ সম্মাননা স্বাধীনতা পদক পেয়েও সবিনয়ে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, রাজনীতির অর্থ দেশ এবং মানুষের সেবা। পদ বা পদবির জন্য কখনো রাজনীতি নয়। পদক দিলে বা নিলেই যে মানুষ সম্মানিত হয়, এই দৃষ্টিভঙ্গিতে তিনি বিশ্বাসী নন। আর আজ আমরা তার আদর্শকে ভুলে ভিন্ন পথে প্রবাহিত হচ্ছি। এই পথ থেকে ফিরতে তার ইতিহাস জানতে হবে। আমাদের প্রজন্মকে জানাতে হবে।

অনুষ্ঠানে ন্যাপের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সম্মেলন কমিটির আহবায়ক মোহাম্মদ আলী ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদের মেয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) সভাপতি আইভি আহমেদ।

বিশেষ অতিথির ছিলেন, ন্যাপের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. ইসমাইল হোসেন, কাজী সিদ্দিকুর রহমান, অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান, ন্যাপের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিটুল দাশ গুপ্ত ও সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আশোক দেব জয়।

বক্তব্য রাখেন কুমিল্লার সাবেক পিপি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট গোলাম ফারুক, নজরুল গবেষক ড. আলী হোসেন চৌধুরী, কমরেড আনোয়ার হোসেন, খাদেম মোঃ ফিরোজ, গাজী এম. এ ওয়াহিদ সাবুরী বখশী,চট্টগ্রামের ন্যাপ নেতা আবদুল কাদের, আবদুল মমিন,রফিকুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান, কুমিল্লা ন্যাপ নেতা আবদুর রব, ন্যাপ নেতা জাহাঙ্গীর আলম, জাসদ সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান প্রমুখ।