‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির লাগাম টেনে ধরতে হবে’


হাসিবুল ইসলাম সজিব।
স্বৈরাচার সরকারের পতনে খুশি জনগণ। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা দেখিনি তবে ২০২৪ সালের ০৫ আগস্ট স্বাধীনতা দেখেছি। সরকার যে হোক না কেন দ্রব্যমূল্যের দাম কমিয়ে আনলে জনগণ দু-বেলা দু-মুঠো ভাত খেয়ে বাঁচতে পারবে। এমনটাই মত প্রকাশ করেন সাধারণ জনগণ।

inside post


রাশেদুল করিম সজিব বলেন, বাংলাদেশে এখন একটা সংকটময় সময় পার করছে। তার পাশাপাশি ০৫ আগস্ট যে সরকারের পতন হয়েছে তারা একটি দীর্ঘ সময়ে ক্ষমতায় বসে থাকার কারণে দেশের মানুষ জিম্মি অবস্থায় ছিলেন। তার প্রেক্ষাপটে বাজার নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্বে যারা ছিলেন তারা তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। তাদের হাতে কোন কিছু নিয়ন্ত্রিত ছিলোনা। এজন্যই দ্রব্যমূল্যের এত ঊর্ধ্বগতি হওয়াটাই স্বাভাভিক। আশা করি বাংলাদেশ একটি নতুন সূর্যোদয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সে প্রেক্ষাপট থেকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি অচিরে নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। নতুন সরকার আসবে, নতুন ছাত্র সমাজ আমাদেরকে নতুন দেশ উপহার দিয়েছে। দ্বিতীয় স্বাধীনতা দিয়েছে তার স্বাদ পেতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। আমরা আশা করি ভালো কিছু পেতে যাচ্ছি ইনশাআল্লাহ। সাধারণ মানুষ কি চায় তাদের পালর্সটা সবাই বুঝতে পেরেছে।


ব্যবসায়ী শাহরিয়ার কবির বলেন, আমরা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা দেখি নাই তবে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট স্বাধীনতা দেখিছি। স্বৈরাচার সরকারের পতনে খুশি জনগণ। সরকার যেভাবে হোক দ্রব্যমূল্যে দাম কমিয়ে আনলে জনগণ দু’বেলা দু’মুঠো ভাত খেয়ে বাঁচতে পারে।


ভাঙ্গারী দোকানদার জসীম উদ্দিন জানান, আমরা চাই দেশে এমন একটা সরকার আসুক যেন কোন হানাহানি মারামারি, কাটাকাটিতে কোন মায়ের বুক খালি না হয়, কোন ছেলে সন্তান মারা না যাক, কোন ছাত্র মারা না যাক। আমরা চাই শান্তি, শৃঙ্খলা, সুন্দর ও সুষ্ঠু একটা নির্বাচন, সুন্দর একটা সরকার আসুক। গরিব দুখি দুমুঠো, দুবেলা খেয়ে বাঁচতে পারে। এটাই প্রত্যাশা করি। জিনিস পত্রের যে দাম তা কমিয়ে আনলে জনগণ খেয়ে বাঁচতে পারবে।
রিকশা চালক মোঃ তমিজ উদ্দিন বলেন, আমরা প্রথম স্বাধীনতা দেখলাম এ বয়সে। শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে চলে যাওয়ার ফলে নতুন যে আসুক সে যেন ভালো করে দেশ চালায়, মানুষ গ্রেফতার না করে তার সাথে জিনিসপত্রের দাম কমিয়ে আনে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
সবজি বিক্রেতা মোঃ সেলিম জানান, জিনিসপত্রের দাম কমিয়ে আনলে সাধারণ মানুষ খেয়ে বাঁচতে পারবে। দেশে অনেক গরিব মানুষ রয়েছে। যারা বিভিন্ন পেশা নিয়োজিত রয়েছে। নতুন সরকারের কাছে প্রত্যাশা দেশে মারামারি হানাহানি এবং জিনিসপত্রের দাম কমিয়ে আনা হোক।


ক্রেতা এনামুল কবির বলেন, দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় আমাদের মত সাধারণ জনগণের কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু আমাদের আয়-ইনকাম বৃদ্ধি হয়নি। যারা নতুন সরকার গঠন করবে তাদের কাছে প্রত্যাশা দ্রব্যমূল্যে ঊর্ধ্বগতি হতে নিম্ন গতিতে নিয়ে আসা। চারদিকের হানাহানি, খুনাখুনি বন্ধ করা। শেখ হাসিনার পদত্যাগে সাধারণ মানুষ খুশি কারণ একটি অবৈধ সরকারের হাতে দেশ পরিচালিত হয়ে আসছিলো তাতে কোন কিছু নিয়ন্ত্রণে ছিলো না।

 

আরো পড়ুন