জোর করে ভালবাসা আদায় করা যায় না

।। বাকীন রাব্বী।।
কখনোই নিঃস্বার্থ মানুষ থেকে জোর করে ভালবাসা আদায় করা যায় না। শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকার তা আবারো প্রমাণ করলো। গত প্রায় পনর বছর ধরে জাতিকে বাধ্য করা হয়েছিল শেখ মজিবকে এক প্রকার পূজা করার জন্য। পুরো দেশটাকেই মুজিবময় করে ফেলেছিল। অন্যসব বাদই দিলাম, মিলাদুন্নবী, জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানের ব্যানারেও লাগানো হতো শেখ মজিবের ছবি।
বাংলাদেশ বিমানের গা থেকে শুরু করে পোস্টকার্ড ইনভেলপেও ছাপা ছিল একই ছবি। কোটি কোটি টাকা খরচ করে সারা দেশে যত্রতত্র স্থাপন করা হয়েছে শেখ মজিবের ম্যুরাল। কিন্তু এখন কী হলো? ছাত্র-জনতা এতদিন ভয়ে এর কোন প্রতিবাদ করেননি। সুযোগ হওয়ায় বাংলাদেশের জনগণ প্রমান করে দিয়েছে, গত পনর বছর শেখ হাসিনা তাদের আওয়ামী লীগ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও শেখ মজিবের যে বড়ি খাইয়েছে তা জনগণ উগ্রে ফেলেছে।
এক সময় ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ একই দেশ ছিল। ১৯৪৭ ও ১৯৭১ সালে এই তিন দেশ ভাগ হয়ে তিনটি ভিন্ন দেশ হয়। তিনটি দেশের তিনজন জাতির পিতা হন। তাঁদের মধ্যে ভারত ও বাংলাদেশের জাতির পিতার অপমৃত্যু হয়। পাকিস্তানের জাতির পিতার হয় স্বাভাবিক মৃত্যু। দেখা যায় বাংলাদেশের জাতির পিতার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ১৫ অগাস্টকে জাতীয় শোক দিবস হিসাবে পালন করা হতো। পুরো অগাস্ট মাস ব্যাপি বিভিন্ন কর্মসূচি নেয়া হতো। যা পালন করতে জনগণকে বাধ্য করা হতো। এ ব্যাপারে কেউ বিন্দুমাত্র গাফিলতি করলে তার বিরুদ্ধে নেয়া হতো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা।

লেখক: সম্পাদক,সাপ্তাহিক আমোদ।