নগরীর সড়কে তোরণের মেলা- বাড়ছে যানজট

 

আবু সুফিয়ান রাসেল।।

কুমিল্লা নগরীর সড়ক, অলি গলিতে বাড়ছে তোরণ। অনুমোদনহীন এসব তোরণের কারণে যান চলাচলে বিঘœ হচ্ছে। দীর্ঘ হচ্ছে যানজট। রাজনৈতিক, ধর্মীয়, ক্রীড়া চক্র, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি পর্যায় থেকেও তৈরি হচ্ছে এসব তোরণ। নগর কর্তৃপক্ষ বলছে, অবৈধ তোরণ, পোস্টার ফেস্টুন অপসারণের কাজ চলমান।

 

সরেজমিনে দেখা যায়, নগরীর কান্দিরপাড় টাউন হল ফটকের সামনে রয়েছে একটি মাদরাসার মাহফিল তোরণ ও রাজনৈতিক তোরণ। কান্দিরপাড় জামে মসজিদের সামনে সড়ক দ্বিভাগ করে বিশাল তোরণ। টমচমব্রিজ থেকে কান্দিরপাড় সড়কে আছে আরো চারটি তোরণ। ঝাউতলা গ্রামীণফোন গলির সরু সড়কে এক প্রতিষ্ঠানের ভর্তি উৎসবের তোরণ।
ছাতিপট্টি ও চকবাজার সড়কে হঠাৎ নির্মাণ হয় নানা রং, বেরংয়ের তোরণ। গাংচর এলাকার উপ-সড়কে বিয়ে, মাহফিল, ওরস ও পূজার তোরণ থাকে প্রায় পুরো বছর।
সমাজকর্মী আলী আকবর মাসুম বলেন, কুমিল্লা শহরের সড়ক অনেক ছোট। এখানে বড় বাস, ছোট গাড়ি সব চলাচল করে। এসব সড়ক তোরণের জন্য উপযুক্ত না। বাঁশ আর কাপড়ের তৈরি এসব তোরণ পাঁকা সড়কে খুঁটি গেড়ে বসানো হয় না। যে কোন সময় বড় বিপদও হতে পারে। সবার উচিত নগর কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করা। নগর কর্তৃপক্ষও আইনের বাস্তবায়নে কঠোর হওয়া দরকার।

 

ট্রাফিক ইন্সপেক্টর জিয়া উল চৌধুরী টিপু বলেন, কুমিল্লায় জ্যামের বহু কারণ। এর অন্যমত কারণ হলো যত্রতত্র সড়কে গেইট নির্মাণ।

 

সড়ক নির্মাণ হয়েছে পরিবহণ চলাচলের জন্য, তোরণ বানানোর জন্য না। শুধু ট্রাফিক চাইলে জ্যাম মুক্ত কুমিল্লা করতে পারবে না। চালক, যাত্রী, নগরবাসী সবাই সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে।

এ নিয়ে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. সফিকুল ইসলাম জানান, আইনে স্পষ্ট বলা আছে, তোরণ নির্মাণের জন্য সিটি কর্পোরেশনের পূর্ব অনুমতি নিতে হবে। যা অনেকে মানছেন না। অবৈধ তোরণ, পোস্টার ফেস্টুনের অপসারণের কাজ চলমান। এটি আমাদের নিয়মিত অভিযানের অংশ। ধারাবাহিকভাবে সকল অবৈধ তোরণ অপসারণ করা হবে।