নাঙ্গলকোটে চলাচলের রাস্তা ও বসত ঘর ভেঙে পড়েছে পুকুরে

 

আমোদ প্রতিনিধি।।

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে এক ঠিকাদারের অবহেলায় এলাকাবাসীর চলাচলের রাস্তা, সেমি পাকা বসত ঘর ও ব্যক্তিগত গার্ড ওয়াল পুকুরে ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ছুপুয়া সড়কের ছুপুয়া গ্রামের দক্ষিণ পাড়া এলাকায়।

জানা গেছে, উপজেলার ছুপুয়া বাজার থেকে ল²ীপদুয়া পর্যন্ত এলজিইডির অধীনে পাকা সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ওই এলাকায় রাস্তার পাশের পুকুরের গার্ড ওয়াল নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। ছুপুয়া দক্ষিণ পাড়ার হাফেজ মীর হোসেনের বাড়ি সংলগ্ন পুকুরে গার্ড ওয়াল নির্মাণের জন্য গত ৪দিন যাবৎ দু’টি বৈদ্যুতিক মোটর বসিয়ে পানি সেচ করে যাচ্ছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এতে বর্ষা মৌসুমে হঠাৎ পুকুরের কমে যাওয়ায় চলাচলের একটি রাস্তা, হাফেজ মীর হোসেনের সেমি পাকা বসত ঘরটির দুই তৃতীয়াংশ এবং তার ব্যক্তিগত গার্ড ওয়ালটি পুকুরে ভেঙ্গে পড়ে যায়।

ক্ষতিগ্রস্থ হাফেজ মীর হোসেনের ভাই আলী হোসেন বলেন, আমরা পানি সেচের শুরু থেকে ঠিকাদারের লোকদের বর্ষা মৌসুমে এক সাথে বড় দু’টি মোটর লাগিয়ে পানি সেচ করতে নিষেধ করেছি। কিন্তু তারা আমাদের কথায় কর্ণপাত না করে পানি সেচ চালিয়ে যাওয়ায় হঠাৎ পুকুরের পানি কমার কারনে আমার ভাইয়ের ঘর পুকুরে বিলিন হয়ে গেছে। এতে তাদের প্রায় ৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমি ঠিকাদার অলি আহম্মেদের সাথে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করলে সে আমাকে হুমকি দিয়ে বলে- সরকারি কাজ করছি কার কি ক্ষতি হবে তা আমার দেখার বিষয় না। এ ঘটনায় তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।

তবে এ বিষয়ে ঠিকাদার অলি আহম্মেদ বলেন, সরকারি রাস্তার কাজ করতে গিয়ে তাদের একটি গার্ড ওয়াল ও ঘরের দুটি রুম এবং রাস্তা ভেঙে গেছে। এখন আমাকে বুদ্ধি দেন আমি কি করবো !

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সেমিপাকা ঘরটি প্লান অনুযায়ী নির্মাণ না করায় এবং পুকুরের সাথে ঘরটি নির্মিত হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এরপরও ঠিকাদারের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।