নাসিরনগরে তুচ্ছ ঘটনায় মহিলাকে পিটিয়ে হত্যা 

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
গৃহপালিত মুরগী যায় প্রতিবেশীর ডাটা (ডেঙ্গা) ক্ষেতে। এমন তুচ্ছ বিষয়কে ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুরগির মালিক বৃদ্ধা রহিমা বেগমকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠেছে প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। বর্বরোচিত এই ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে দুই মহিলাসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা এলাকার।
রোববার (৭ নভেম্বর) দুপুরে ময়না তদন্তের পর নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর আগে শনিবার দুপুরে নাসিরনগর উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের বেলুয়া গ্রামে ঘটে পৈশাচিক এই ঘটনা। নিহত রহিমা বেগম (৫০) বেলুয়া গ্রামের ভুবন মাদরাসা এলাকার সোলেমান মিয়ার স্ত্রী। এদিকে আটক তিনজন হলেন একই গ্রামের মৃত জরিফ হোসেনের পুত্র মহর ইসলাম, তার স্ত্রী আছিয়া খাতুন এবং মেয়ে জাহানারা বেগম।
নিহতের পরিবার, স্থানীয় এলাকাবাসী এবং পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে রহিমা বেগমের ৪-৫ টি মুরগী পাশের বাড়ির মহর ইসলামের ডেঙ্গা ক্ষেতে যায়। মহর ইসলামের ডেঙ্গা ক্ষেতে মুরগী কেন গেলো, এ নিয়ে রহিমার সাথে তর্কবিতর্ক শুরু হয়। এরই এক পর্যায়ে মহর ইসলামের স্ত্রী তার ছেলে-মেয়েকে নিয়ে বৃদ্ধা রহিমাকে পিটিয়ে আহত করেন।পরে তাকে উদ্ধার করে গুরুতর অবস্থায় নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক রহিমাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার খবর পেয়ে নাসিরনগর থানা পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।  এদিকে নিহতের পরিবারের অভিযোগের প্রক্ষিতে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার দায়ে নিহতের প্রতিবেশী মহর ইসলাম, তার স্ত্রী আছিয়া খাতুন এবং মেয়ে জাহানারা বেগম এই তিনজনকে আটক করে পুলিশ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্ত শেষে মরদেহ হস্তান্তরকালে নিহতের ভাতিজা বিল্লাল আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, মহর ইসলামের ক্ষেতে মুরগী যাওয়াকে কেন্দ্র করে আমার চাচিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন বিল্লাল আহমেদ।
নাসিরনগর থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) আ.স.ম. আতিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পর বিস্তারিত জানা যাবে। এদিকে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে আটক করা হয়েছে তিনজনকে।