বরুড়ায় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

 

অফিস প্রতিনিধি।।

কুমিল্লার বরুড়ায় বিরোধ মেটাতে গিয়ে চেনির কোপে নিহত হয়েছেন মো. জহিরুল ইসলাম (৩৪) নামে স্বেচ্ছাসেবকলীগের এক নেতা। আহত হয়েছেন তার সঙ্গী মো. রানা (৩২) নামে আরো একজন। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে জীবনপুর গ্রামের হাসেম মার্কেটের মো. ছানাউল্লাহর চা দোকানে এই ঘটনা ঘটে। নিহত জহিরুল ইসলাম বরুড়া পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং একই ওয়ার্ডের জিনসার গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে। আহত মো. রানা একই গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে।

নিহতের স্বজন এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার শিলমুড়ী (উঃ) ইউনিয়নের জীবনপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. আবাদের সঙ্গে একই গ্রামের ব্যবসায়ী শিব্বির আহাম্মদের দীর্ঘদিন যাবত পারিবারিক বিরোধ চলে আসছিল। উক্ত বিরোধটিকে নিষ্পত্তির জন্য পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন। বৃহস্পতিবার মো. জহিরুল ইসলাম দুপুর ২টার দিকে জীবনপুর গ্রামের হাসেম মার্কেটের মো. ছানাউল্লাহ নামে এক ব্যক্তির চা দোকানে তার সঙ্গীদের নিয়ে চা খাওয়া অবস্থায় এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছিলেন। এসময় আবাদের ছেলে মো. মাসুদসহ (৩৪) তার সাথের ২/৩ জন মিলে ছেনি দিয়ে মো. জহিরুল ইসলামের উপর হামলা চালায়। এতে জহিরুল ইসলাম এবং তার সঙ্গের মো. রানা আহত হন। স্থানীয়রা জহিরুল ইসলাম ও রানাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জহিরুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত রানা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পুলিশ নিহত জহিরুল ইসলামের লাশ ময়না তদন্তের জন্য থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় পুলিশ দুইজনকে আটক করেছে।

নিহতের ভাই মো. জোবায়ের হোসেন জানান, আবাদ এবং শিবির আহাম্মদের পারিবারিক বিরোধের ঘটনার জের ধরে আবাদের ছেলে মাসুদ এবং তার সাঙ্গপাঙ্গরা আমার ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এ ব্যাপারে আমরা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরুড়া থানা অফিসার ইনচার্জ ইকবাল বাহার মজুমদার জানান, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এই ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনি তাদের নাম প্রকাশ করছি না। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।